রক্তে ক্রিয়েটিনিন বেড়ে যাওয়ার উপসর্গ হল– পায়ের পা ও গোড়ালি ফুলে যাওয়া, প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত, ঘনঘন প্রস্রাব, সর্বক্ষণ ক্লান্তি, ফোলা চোখ-মুখ, বমি-বমিভাব ও বমি, পেশিতে টান ধরা।
ক্রিয়েটিনিন এক প্রকার বর্জ্য পদার্থ যা পেশির ব্যবহারে উৎপন্ন হয়। অতিরিক্ত পরিমাণে প্রোটিন খেলেও ক্রিয়েটিনিন তৈরি হয়। রক্তে যদি ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেশি থাকে, তবে সতর্ক হতেই হবে। কারণ, ক্রিয়েটিনিন বড়া মানেই অকেজো হচ্ছে কিডনি! ক্রিয়েটিনিন কমাতে কী কী খাবেন?
কম প্রোটিন খান– গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বেশি প্রোটিন খেলে ক্রিয়েটিনিন বেড়ে যায়। বিশেষ করে রান্না করা রেড মিট ক্রিয়েটিনিন-এর মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। রান্নায় ব্যবহৃত তাপ মাংসে থাকা ক্রিয়েটিন-কে ক্রিয়েটিনিন-এ পরিণত করে। অত্যধিক মাংস না খেয়ে ডায়েটে রাখুন সবজির স্যুপ বা স্ট্যু, ডালের স্যুপ।
বেশি ফাইবার খান–গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ফাইবার বেশি খেলে রক্তে ক্রিয়েটিনি-এর মাত্রা কমে। বেশি করে ফল, সবজি, দানাশস্য খান।
ক্রিয়েটিনিন কমাতে রেড মিট খাওয়া ছাড়তেই হবে। ফল-শাক-সবজি ক্রিয়েটিনিন কমায়। এমন খাবার খান যাতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আছে
ক্রিয়েটিনি কমাতে একেবারেই খাবেন না আলু, টম্যাটো, ক্যানড খাবার, দুগ্ধজাত খাবার, কলা, কমলালেবু, আচার, প্রক্রিয়াজাত মাংস, ব্রাউন রাইস।
সোডিয়াম কম খেতে হবে– যে-সব খাবারে অতিরিক্ত নুন রয়েছে,সেগুলি রক্তচাপ বাড়িয়ে দিতে পারে। প্রক্রিয়াজাত খাবারে উচ্চ পরিমাণে ফসফরাস ও সোডিয়াম থাকে যা কিডনির সমস্যা করে। কাজেই প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন।
কতটা জল খাবেন?– ডিহাইড্রেশনের ফলে ক্রিয়েটিনিন বেড়ে যায়। এদিকে যাঁদের কিডনির অসুখ রয়েছে, তাঁদের জল মেপে খেতে হবে। কাজেই কতটা জল খাবেন? দিনের কোন সময়ে খাবেন? এই বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
ধূমপান ও মদ্যপান– ধূমপান কিডনির অসুখের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। অন্যদিকে গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কম পরিমাণে মদ খেলে কিডনির অসুখের ঝুঁকি কমে। এও দেখা গিয়েছে, বেশি মদ্যপানে কিডনির অসুখের ঝুঁকি বাড়ে।