রক্তে যখন পটাশিয়ামের মাত্রা ৩.৫ mmol এর থেকে কমে যায়, তখন-ই বুঝতে হবে শরীরে পটাশিয়ামের ঘাটতি হয়েছে। ডাক্তারি পরিভাষায় একে বলে হাইপোক্যালেমিয়া।
পটাশিয়াম শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি মিনারেল ও ইলেকট্রোলাইট যা ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখে, কোষে-কোষে পুষ্টির জোগান দেয়, পেশি ও স্নায়ুর স্বাস্থ্য বজায় রাখে। শরীর নিজে থেকে পটাশিয়াম তৈরি করতে পারে না, কাজেই খাবারের মাধ্যমে শরীরে পটাশিয়ামের জোগান দিতে হয়।
কলা– রোজ একটা কলা খেলেই শরীরে পটাশিয়ামের ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব। মাঝারি মাপের একটি কলায় ৪০০ থেকে ৪৫০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম রয়েছে
তরমুজ– ২ টুকরো বা ৫৭২ গ্রাম তরমুজে থাকে শরীরে আপনার দৈনিক পটাশিয়াম চাহিদার ১৪ শতাংশ
মিষ্টি আলু– ১ কাপ বা ৩২৮ গ্রাম মিষ্টি আলুতে রয়েছে শরীরে আপনার দৈনিক পটাশিয়াম চাহিদার ১৬ শতাংশ।
ডাবের জল– ডাবের জল ডিহাইড্রেশন রোধ করে। এতে রয়েছে ইলেকট্রোলাইট যা কোষে-কোষে জল পৌঁছায়। ডাবের জলে থাকা প্রাকৃতিক চিনি এক্সারসাইজেরসময় শক্তি যোগায়। ১ কাপ বা ২৪০ মিলি ডাবের জলে শরীরে আপনার দৈনিক পটাশিয়াম চাহিদার ১৩ শতাংশ থাকে।
বিনস– বিনস-এ কলার থেকেও বেশি পটাশিয়াম থাকে। ১ কাপ বা ১৭৯ গ্রাম বিনস-এ শরীরে আপনার দৈনিক পটাশিয়াম চাহিদার ২১ শতাংশ থাকে। কালো বিনস-এ থাকে শরীরে আপনার দৈনিক পটাশিয়াম চাহিদার ১৩ শতাংশ
পালং শাক– ৩ কাপ বা ৯০ গ্রাম পালং শাকে রয়েছে শরীরে আপনার দৈনিক পটাশিয়াম চাহিদার ১১ শতাংশ। পালং শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন কে, ফোলেট ও ম্যাগনেশিয়াম।
আলু– একটি মাঝারি মাপের সেদ্ধ আলুতে থাকে শরীরে আপনার দৈনিক পটাশিয়াম চাহিদার ১২ শতাংশ।
কমলালেবু– পটাশিয়ামের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস হল কমলালেবু। একটি কমলালেবুতে প্রায় ২৩০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম থাকে।