বুদবুদের দেবশালা পঞ্চায়েতের পরিশা গ্রাম । এখানেই বসবাস রায় পরিবারের । রায় পরিবারের স্বরুপ নারায়ণ ধর্মরাজের গাজন ঘিরে মেতে ওঠেন বাসিন্দারা । তিন দিন ধরে চলে এই গাজন। প্রায় দেড়শো বছরেরও বেশি পুরানো এই গাজন । তবে রায় পরিবারের কোন পুর্ব পুরুষ এই গাজন উৎসব প্রচলন করেছিলেন তার খবর এখন ওই পরিবারের কাছেও অজানা।
দশহারার দিন মূল গাজন হয় এবং তার আগেরদিন হয় রাত গাজন । তিনদিন ধরে কোঠোর নিয়ম পালনের মধ্য দিয়েই ভক্তরা পালন করেন এই ধর্মরাজের গাজন । রাত গাজনের আগের দিনগুলিতে হয় ঘাটপুজো । এই ঘাট পুজো কোন ব্রাম্ভন করেন না , রায় পরিবারেরই কোনো সদস্য করে থাকেন এই ঘাট পুজো। এই গজনে দুটি খুঁটির সঙ্গে বাঁধা একটি কাঠের গুরির উপর দিকে পা এবং নিচের দিকে মাথা করে ঝুলতে থাকেন ভক্তরা । রাত গাজনের দিনে মেতে অঠেন গ্রামবাসীরা । এই রাত গাজনে চৌদোলা করে ধর্মরাজকে নিয়ে আসা হয় । পুজো করেন ব্রাহ্মণ । সেখানে চৌদালা করে গ্রাম প্রদক্ষিণ করানো হয় তাকে। এরপরে নিয়ে আসা হয় মন্দিরে। পদ্ম ফুল দিয়ে পুজো করা হয় ধর্মরাজকে । সে সময় ভক্তরা যান তাল গাছ তুলতে। শুধুমাত্র ভক্তরাই তাল গাছ তুলতে পারবেন। বাকিদের কোন সাহায্য ছাড়াই তাঁদের এই কাজ করতে হয়।
দশহারার দিনে গাজন শুরু হয় দিনের বেলায় । তবে এদিন হয়না রাত গাজন। দশহারার দিন তিন চার ঘন্টা ধরে চলে পুজো , হোম যজ্ঞ । এদিন দেওয়া হয় পাঁঠা বলি। প্রথা অনুসারে একটি পাঁঠা রায় পরিবারের একটি পাঁঠা গ্রাম বা সীন্দাদের ও আর একটি পাঁঠা ভক্তদের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়। এ ভাবেই ধর্ম রাজের গাজনে মেতে ওঠেন গ্রামের মানুষ মেতে ওঠেন। এই তিন দিন যাবৎ উৎসবের মেজাজ থাকে গ্রাম জুড়ে।