প্রাইভেসি পলিসি সংক্রান্ত বিভ্রান্তির যে কোনও উত্তর দিতে প্রস্তুত; কেন্দ্রকে জানাল WhatsApp
- Published by:Ananya Chakraborty
- news18 bangla
Last Updated:
গতকাল সরাসরি বিষয়টি নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠায় তারা
গতকালই জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp)-এর নয়া প্রাইভেসি পলিসি পরিবর্তনের আবেদন জানিয়ে ও একাধিক প্রশ্ন নিয়ে সংস্থার কর্ণধারকে চিঠি পাঠিয়েছিল কেন্দ্র। এবার সেই চিঠির জবাব দিল হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ। তারা জানাল, প্রাইভেসি পলিসিতে যে পরিবর্তনের প্রস্তাব তারা করেছিল অর্থাৎ ফেসবুক (Facebook)-এর সঙ্গে তথ্য শেয়ার করা, সেই প্রস্তাব নিয়ে আর এগোনো হচ্ছে না। এবং এই নিয়ে যাবতীয় প্রশ্নের মুখোমুখি হতে, উত্তর দিতে তারা তৈরি।
advertisement
কিছু দিন আগে জানা যায়, প্রাইভেসি পলিসিতে পরিবর্তন করতে চলেছে হোয়াটসঅ্যাপ। তাদের তরফে জানানো হয়, আগামীদিনে অ্যাপটির আপডেটেড ভার্সন ব্যবহার করতে গেলে প্রত্যেককে 'agree and accept' অপশনে ক্লিক করতে হবে। এই agree অপশনের লিস্টেই প্রাইভেসি সংক্রান্ত পরিবর্তিত তথ্য দেওয়া থাকবে। এই অপশনটির অ্যাক্সেপ্ট বোতামে ক্লিক না করলে অ্যাপটি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে যাবে। এবং এই আপডেটেড ভার্সন ব্যবহার করলে ব্যবহারকারীর তথ্য সংস্থার অন্যান্য প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে শেয়ার করা হতে পারে, বিশেষ করে এই সংস্থারই অন্য প্ল্যাটফর্ম ফেসবুকের সঙ্গে। বিষয়টি জানার পর থেকেই হইচই পড়ে যায় সব মহলে। বহু মানুষ এই অ্যাপ ব্যবহার করা বন্ধ করে দেয়।
advertisement
advertisement
দেশের মানুষের তথ্য সুরক্ষার স্বার্থে সরকারের তরফে চিঠিটি পাঠানোর পাশাপাশি বেশ কিছু তথ্য চেয়ে একটি প্রশ্নমালাও পাঠানো হয়। সেখানে সংস্থার ডেটা শেয়ারিং প্রোটোকল ও বিজনেস প্র্যাক্টিস সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। পাশাপাশি ভারতীয়দের কী ধরনের তথ্য সংস্থা কোন কাজে কোন পরিষেবার জন্য কার সঙ্গে শেয়ার করছে, তাও জানতে চায় কেন্দ্র।
advertisement
advertisement
advertisement
প্রসঙ্গত, হোয়াটসঅ্যাপের তরফে কিছু দিন আগে জানানো হয় ব্যবহারকারীর তথ্য তাদের অধীনস্থ যেকোনও সংস্থা এমনকি ফেসবুক (Facebook)-এও শেয়ার হতে পারে। এর পাশাপাশি সব সময়ে ব্যবহারকারীর লোকেশন ডেটাও ট্র্যাক করতে পারবে অ্যাপটি। তার পরই ঘটে বিপত্তি। এই অতি জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ ছেড়ে বের হতে শুরু করে মানুষজন। এমনকি বর্তমানে ভারতের মতো দেশে মাত্র ১৮ শতাংশ মানুষ এই অ্যাপ ব্যবহার করতে রাজি।
advertisement
এই পরিস্থিতিতে দেশের মানুষের তথ্য সুরক্ষার স্বার্থে সরকারের তরফে গতকাল হোয়াটসঅ্যাপের কর্ণধার ক্যাথকার্টকে একটি চিঠিটি পাঠানো হয়। পাশাপাশি বেশ কিছু তথ্য চেয়ে একটি প্রশ্নমালাও পাঠানো হয়। খবর মোতাবেকে, এটা শুধু ভারতের সঙ্গেই হচ্ছে কি না তাও জানতে চাওয়া হয়। সরকারের তরফে বলা হয়, ভারতীয়দের ক্ষেত্রে সিকিওরিটি পলিসি, ইনফরমেশন সিকিওরিটি পলিসি, সাইবার-সিকিওরিটি পলিসি, প্রাইভেসি পলিসি ও এনক্রিপশন পলিসিতে সংস্থার পলিসি ও বাকি দেশের ক্ষেত্রে তাদের পলিসিতে কতটা পার্থক্য রয়েছে, তা স্পষ্ট করতে হবে।
advertisement