SIM Card Fraud: SIM হঠাৎ বন্ধ! কতটা ভয়ঙ্কর এই ফাঁদ, পলক ফেলতেই খালি হবে অ্যাকাউন্ট! সাবধানেই বা থাকবেন কীভাবে?
- Published by:Ananya Chakraborty
- Reported by:Trending Desk
Last Updated:
SIM Card Fraud: সিম কার্ড পরিষেবা দেওয়ার নাম করে জালিয়াতি চালিয়ে যাচ্ছে। ব্যবহারকারীদের কাছে সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্টের আবেদন, যদি কোনও সন্দেহজনক কল অথবা মেসেজ আসে, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে তা রিপোর্ট করতে হবে।
advertisement
ব্যবহারকারীদের কাছে সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্টের আবেদন, যদি কোনও সন্দেহজনক কল অথবা মেসেজ আসে, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে তা রিপোর্ট করতে হবে। বিশেষ করে SIM সোয়্যাপ ফ্রডের বিষয়ে সতর্ক থাকার বিষয়ে জোর দেোয়া হয়েছে। কারণ বহু ব্যবহারকারী Department of Telecommunications-এর কাছে এই অভিযোগ জানিয়েছে যে, সিম কার্ড বন্ধ করে দেওয়া নিয়ে বারবার আনওয়ান্টেড কল আসছে।
advertisement
স্পষ্ট করে DoT জানিয়ে দিয়েছে যে, সিম কার্ড বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলে Department of Telecommunications, TRAI অথবা কোনও টেলিকম সংস্থা ব্যবহারকারীদের কল করবে না কিংবা কোনও রকম মেসেজ পাঠাবে না। এই ধরনের কল অথবা মেসেজে পাত্তা না দেওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি কেওয়াইসি তথ্য চায় অথবা সন্দেহজনক লিঙ্ক রয়েছে, এমন ধরনের মেসেজ অথবা ইমেলের থেকে সাবধান হওয়াটাও জরুরি।
advertisement
সিম সোয়্যাপ ফ্রড আসলে কী? আজকালকার ডিজিটাল যুগে ব্যবহারকারীরা টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশনের মাধ্যমে নিজেদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল সুরক্ষিত করে রাখেন। এর অর্থ হল, যে কোনও ট্র্যানজ্যাকশন সম্পন্ন করার জন্য একটি ওয়ান-টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি)-এর প্রয়োজন হবে। একই সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে লগ-ইন করার জন্যও ওটিপি-র প্রয়োজন হবে।
advertisement
যদিও সাইবার অপরাধীরা এই সিস্টেমকে কাজে লাগাচ্ছে। আর সেটিকে কাজে লাগিয়ে ব্যবহারকারীর মোবাইল নম্বরের সঙ্গে লিঙ্ক করা একটি নতুন সিম কার্ড নিচ্ছে তারা। আসলে ব্যবহারকারীরা নিজেদের নম্বরে একটি নতুন সিম কার্ড অ্যাক্টিভেট করেন, তার জন্য সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং কৌশল ব্যবহার করে থাকে এই সাইবার অপরাধীরা। এর ফলে ব্যবহারকারীদের কাছে আসা সমস্ত ওটিপি জালিয়াতদের কাছে চলে যাবে। এভাবেই চলছে প্রতারণা।
advertisement
এদিকে সাম্প্রতিক সময়ে নিরাপত্তা জোরালো করার জন্য সিম কার্ড ইস্যু করার নিয়মও বদলে গিয়েছে। ব্যবহারকারীরা নিজেরাও বুঝতে পারেন না যে, তাঁরা প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। আর এটি প্রতিরোধ করার জন্য নতুন সিম দেওয়ার সময় বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন বাধ্যতামূলক করেছে Department of Telecommunications। নতুন সিম কার্ড অ্যাক্টিভেট হওয়ার পর ২৪ ঘণ্টার জন্য ইনকামিং এসএমএস ডিজেবল করা থাকে। যদি সাইবার অপরাধী সফল ভাবে ব্যবহারকারীর সিম সোয়্যাপও করে, তাহলে এই সময় তারা কোনও ওটিপি অ্যাক্সেস করতে পারবে না।
advertisement
নিজেকে সুরক্ষিত রাখার উপায়: DoT-র বক্তব্য, যে কোনও ধরনের জালিয়াতি এড়ানোর জন্য সতর্ক থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিজের ব্যক্তিগত তথ্য কারও সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া চলবে না। সোশ্যাল মিডিয়ায় শুধুমাত্র বন্ধু এবং পরিবারের সঙ্গেই তথ্য ভাগ করে নেওয়া যেতে পারে। অজ্ঞাতপরিচয় নম্বর বা সন্দেহজনক জায়গা থেকে কল অথবা মেসেজ এলে ভেবেচিন্তে পা ফেলতে হবে। মেসেজে থাকা সন্দেহজনক লিঙ্কে ক্লিক করা চলবে না।