Operation Sindoor: অপারেশন সিঁদুর আবহে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে সাবধান, ভুয়ো বিজ্ঞপ্তির বিরুদ্ধে সতর্কতা জারি প্রশাসনের! কোন কোন পোস্টে নেমে আসতে পারে শাস্তির খাঁড়া?
- Published by:Ananya Chakraborty
- Reported by:Trending Desk
Last Updated:
Operation Sindoor: সোশ্যাল মিডিয়ায় প্ল্যাটফর্ম জুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে একাধিক ভুলভাল তথ্য। যার জেরে উত্তেজনা এবং আতঙ্কের উদ্রেক হয়েছে জনসাধারণের মধ্যে। ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করছে সরকারও
advertisement
এদিকে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের কাছে এক উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিক বলেন যে, অপারেশন সিঁদুর নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ছড়িয়ে পড়া ভুলভাল তথ্যগুলির উপর ক্রমাগত নজরদারি চালাচ্ছে তথ্য প্রযুক্তি এবং তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রক। এমনকী যে কোনও অবৈধ বা যাচাই না করা তথ্য ব্লক করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্ল্যাটফর্মগুলিকে ওই মন্ত্রকের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
advertisement
গত মাসে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পরে বেশ কয়েকটি সাইবার আক্রমণের মুখোমুখি হওয়ার পর বিদ্যুৎ মন্ত্রক ব্যাঙ্ক-সহ বেশ কিছু আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং টেলিকম অপারেটরদের মতো গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামোর দায়িত্বে থাকা সংস্থাগুলিও হাই অ্যালার্টের আওতায় রয়েছে। ওই আধিকারিক আরও জানান যে, কিছু পরিকাঠামোতে কিছু DDoS আক্রমণ হয়েছে, কিন্তু আমরা সেগুলি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। এখন আমরা হাই অ্যালার্টে রয়েছি। কারণ এই ধরনের প্রচেষ্টা অবশ্যই করা হবে।
advertisement
এই DDoS (Distributed Denial of Service) অ্যাটাক হল একটি সাইবার হামলা। যেখানে একজন আক্রমণকারী বা হামলাকারী একটি ওয়েবসাইট, সার্ভার অথবা একাধিক উৎস থেকে ক্ষতিকর ট্র্যাফিক-সহ নেটওয়ার্ককে আচ্ছন্ন করে ফেলে। যার জেরে বৈধ ব্যবহারকারীদের কাছে এটি ধীর গতির হয়ে ওঠে। এমনকী অনেক সময় এর অ্যাক্সেসও পান না তাঁরা।
advertisement
advertisement
advertisement
আসলে বুধবার ভোরের দিক থেকেই সোশ্যাল মিডিয়া যেন ভুল তথ্যের ক্যাম্পেনের যুদ্ধক্ষেত্র হয়ে উঠেছে। এমনকী ভিডিও গেমের ফুটেজ নিয়ে অনেকেই ভারতের অভিযান বলে সেটিকে দাবি করতে শুরু করেন। অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে ভাঙা বিমানের ছবি। যেখানে দাবি করা হয়েছে যে, ভারতীয় রাফাল জেট গুলি করে নামিয়েছে পাকিস্তান। প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (পিআইবি)-র ফ্যাক্ট চেক ইউনিট এই ভিডিও যাচাই করে জানায় যে, এগুলি পুরনো ছবি আর ভিডিও। এখানেই শেষ নয়, এয়ার স্ট্রাইক বা বিমান হানা সংক্রান্ত বিষয়ে অন্যান্য ভাইরাল দাবিরও ফ্যাক্ট চেক করেছে পিআইবি-র ওই ইউনিট।
advertisement
যেমন - একটি মেসেজ ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। যা দেখতে অনেকটা অফিসিয়াল সরকারি বিজ্ঞপ্তির মতোই। ওই বিজ্ঞপ্তিতে নির্দেশ এসেছে যে, ভারত এবং পাকিস্তানের সীমান্তে ক্রমবর্ধমান অশান্তি ও উত্তেজনার জেরে ভারতীয় নাগরিকদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী মজুত করে রাখতে হবে। এর মধ্যে অন্যতম হল - নষ্ট হয় না, এমন খাবার, প্রয়োজনীয় ওষুধ, জ্বালানি এবং এমার্জেন্সি কন্ট্যাক্ট প্রভৃতি। (Image- AP)
advertisement
নাগরিক সুরক্ষা প্রোটোকলের প্রতিফলন হিসেবে এসেছে এই বিজ্ঞপ্তি। যা কোনও অফিসিয়াল এজেন্সির তরফে জারি করা হয়নি। প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (পিআইবি)-র ফ্যাক্ট চেক বা তথ্য যাচাই ইউনিট এই ভুল তথ্য সামনে তুলে ধরেছে। যেখানে বলা হয়েছে যে, “সরকারের তরফে এমন কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি। সাবধান! বিশ্বাসযোগ্য তথ্য পাওয়ার জন্য শুধুমাত্র অফিসিয়াল সরকারি উৎসকেই বিশ্বাস করতে হবে। সতর্ক থাকুন এবং তথ্য না যাচাই করে তা শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন।” (Image - AP)
advertisement
কিন্তু এই ক্ল্যারিফিকেশন আসা সত্ত্বেও ভুয়ো বিজ্ঞপ্তি এখনও ছড়িয়ে পড়ছে। যা রীতিমতো সোশ্যাল মিডিয়ার ভূমিকা নিয়ে উদ্বেগজনক প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে। আসলে এহেন জাতীয় বিপর্যয়ের কালে যাচাই করা করা তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ছে। তাই সাধারণ মানুষের কাছে প্রশাসনের আর্জি, কোনও রকম আপডেটের জন্য শুধুমাত্র অফিসিয়াল চ্যানেলগুলির উপরেই ভরসা করতে হবে। সেই সঙ্গে যাচাই না করা কোনও তথ্য কিংবা বার্তা শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ এই ধরনের বার্তা সাধারণ মানুষের মধ্যে অপ্রয়োজনীয় ভাবে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়। (Image - AP)
advertisement
প্রসঙ্গত গত ২২ এপ্রিল ২০২৫ তারিখ জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের বৈসরণ ভ্যালিতে ভয়ঙ্কর জঙ্গি হামলা নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা দেশকে। ওই ঘটনার বলি হয়েছিলেন ২৬ জন। আর সেই হামলার পাল্টা জবাব দিতে অপারেশন সিঁদুর নামে একটি অভিযান শুরু করেছে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী। পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে লস্কর-ই-তইবা এবং জইশ-ই-মহম্মদ-সহ জঙ্গি গোষ্ঠীর ৯টি ঘাঁটিকে নিশানা করে এই অভিযান চালানো হয়েছে। (Image - AP)
advertisement