Jemimah Cries: ‘নিজেদের দুর্বলতার কথা কেউ বলে না’- কাঁদতে ‘দম’ লাগে, জেমিমার ব্যাটে ধামাকার পর সামনে তুলে আনলেন নিজের কঠিন লড়াইয়ের কথা

jemim : হাউ হাউ করে কাঁদছে মেয়েটি৷ বিশ্বকাপের ফাইনালে দলকে তুলে দিয়েছে, নিজে শতরান করেছে, ম্যাচ ফিনিশ করেছে৷ এত কান্নার কারণ একটাই এই লড়াইটা ছিল নিজের সঙ্গে নিজের৷ আত্মবিশ্বাস যখন তলানিতে যখন রাতের পর সকাল আর হচ্ছে না তখন জেমিমার ব্যাট কথা বলল৷ বৃহস্পতিবার দিন টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ৩৩৮ রান করে অস্ট্রেলিয়া। আর সেই রান তাড়া করে ভারতের জয়ে জেমিমা রডরিগেজের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ অপরাজিত সেঞ্চুরির।

ভারত এই কৃতিত্ব অর্জন করেছে, মহিলাদের ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বোচ্চ ওয়ানডে রান তাড়া করার বিশ্ব রেকর্ড স্থাপন করেছে।  ঐতিহাসিক ইনিংসের পর, জেমিমা জানান নিজের দুর্বলতা নিয়ে কেউ কথা বলে না৷ শক্ত হাতে শতরানের পর জানান কীভাবে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে লড়াই করছিলেন৷  আবেগের বিস্ফোরণে ভেসে যাওয়া জেমিমা জানিয়েছেন রোজ ফোন করে মায়ের কাছে কাঁদতেন৷

১২৭ রানের ইনিংসের জন্য ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতার পর, জেমিমা রদ্রিগেজ প্রকাশ করেন যে তিনি মানসিকভাবে সুস্থ ছিলেন না। পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই তিনি উদ্বেগ অনুভব করছিলেন, বেশ কিছুদিন ফর্মে ছিলেন না, তারওপর বিশ্বকাপের মধ্যেও ম্যাচে দল থেকে বাদ পড়েছিলেন৷ এই পরিস্থিতির সঙ্গে যুঝতে এমনকি প্রতিদিন কাঁদছিলেন। তিনি আরও প্রকাশ করেছিলেন যে ২০২২ সালের মহিলা বিশ্বকাপে অংশ না নেওয়া সত্ত্বেও ভাল ফর্মে থাকা তাঁকে প্রভাবিত করেছিল।

"গত মাসটা সত্যিই কঠিন ছিল, এটা স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে এবং এখনও মনে পড়ছে না। গত বছর এই বিশ্বকাপ থেকে আমি বাদ পড়েছিলাম," জেমিমা বলেন। আমি ভাল ফর্মে ছিলাম। কিন্তু সব কিছু ঘটতেই থাকল এবং আমি কিছুই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছিলাম না। এই সফরে আমি প্রায় প্রতিদিনই কেঁদেছিলাম।"

"আমি মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলাম, উদ্বেগের মধ্যে ছিলাম। আমি জানতাম আমাকে পরিবর্তন আনতে হবে, এবং ঈশ্বর সবকিছুর যত্ন নিয়েছিলেন। শুরুতে, আমি কেবল খেলছিলাম এবং নিজের সাথে কথা বলছিলাম।" খেলা যখন শেষ ওভারে চলে গেল, আমি কেবল শান্ত থাকার চেষ্টা করলাম কারণ আমার বিশ্বাস ছিল যে ঈশ্বর আমার সঙ্গে আছেন। আমি কেবল সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলাম এবং তিনি আমার জন্য লড়াই করেছিলেন। আমার ভেতরে অনেক কিছু বাকি ছিল, কিন্তু আমি শান্ত থাকার চেষ্টা করছিলাম।"

১৯৭৩ সালে টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার পর থেকে জেমিমা রডরিগেজ দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে মহিলা বিশ্বকাপের নকআউট ম্যাচে সেঞ্চুরি করেন। অন্যটি ছিল ২০২২ বিশ্বকাপের ফাইনালে ইংল্যান্ডের পরাজয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ন্যাট সাইভার-ব্রান্টের ১৪৮ রান।

জেমিমার ইনিংসটিই প্রথমবারের মতো কোনও খেলোয়াড় কোনও মেগা টুর্নামেন্টের নকআউট খেলায় সফল রান তাড়া করে সেঞ্চুরি করলেন। বিশ্বকাপের খেলায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সফল রান তাড়া করে সেঞ্চুরি করা প্রথম খেলোয়াড়ও তিনি।