বিশ্বকাপের ইতিহাসে ম্যাচ বলের বিবর্তন যেন রোমাঞ্চকর এক দলিল, দেখুন ছবিতে
- Published by:Rohan Chowdhury
- news18 bangla
Last Updated:
FIFA world cup match balls evolution from Telstar to Al Rihla has been stunning story of success. বিশ্বকাপে ম্যাচ বলের বিবর্তন যেন রোমাঞ্চকর এক দলিল, দেখলেই চমক
১৯৩০ সালের ৩০ জুলাই। উরুগুয়ের এস্তাদিও সেন্তেনারিওতে ৯৩ হাজার দর্শককে সাক্ষী রেখে মাঠে গড়ায় প্রথম ফুটবল বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ। আর্জেন্টিনা ও স্বাগতিক উরুগুয়ে উভয় দলই বিপক্ষ দলের বল দিয়ে খেলতে নারাজ। শেষমেশ ফিফা কমিটির হস্তক্ষেপে প্রথমার্ধে ব্যবহার হয় আর্জেন্টিনার সরবরাহকৃত বল, দ্বিতীয়ার্ধে উরুগুয়ের। অফিসিয়াল ম্যাচ বল চালু করতে তাদের সময় লেগেছিল প্রায় ৪০ বছর। তবে প্রথম বিশ্বকাপে বলটিকে টি মডেল হিসেবেই বর্ণনা করা হয়েছে
advertisement
advertisement
advertisement
ইতরাস্কো ইউনিকো, ১৯৯০ এই বিশ্বকাপের বলেও আয়োজকদের ঐতিহ্যবাহী প্রতীকের সাথে মিল রেখে প্রাচীন ইতালির ইতরাস্কান সভ্যতাকে সম্মান জানিয়ে বিশ্বকাপ বলের নাম রাখা হয় ইতরাস্কো ইউনিকো। বলটির ডিজাইন দেখতে ট্যাঙ্গো বলটির মতো হলেও ত্রিভুজাকৃতির কালো প্যাটার্নগুলো ছিল ইতরাস্কান সিংহের মাথা দিয়ে চমৎকারভাবে সজ্জিত
advertisement
কুয়েস্ট্রা, ১৯৯৪ এবারই প্রথম যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ। অ্যাডিডাস বলের মূল থিম হিসেবে বাছাই করেছিল মহাকাশ ভ্রমণকে। বলের বাইরের আবরণের মধ্যে ব্যবহার করা হয় পলিস্টারের ফোম, যাতে এটি কিছুটা নরম এবং নিয়ন্ত্রণ করতে সুবিধা হয়। দারুণ এই পরিবর্তনের কারণে কুয়েস্ট্রা পারফরম্যান্সে ছাড়িয়ে যায় এর পূর্বসূরিদের। এক কথায় এই কুয়েস্ট্রা বলের হাত ধরেই বিশ্বকাপের বলের বিপ্লব শুরু হয়
advertisement
ট্রিকালার, ১৯৯৮ সালের আগ পর্যন্ত বলের রং ছিলো সাদা-কালো। এই বিশ্বকাপ থেকেই সেই রীতি ভেঙে বেরিয়ে আসে ফিফা ও অ্যাডিডাস। সেই বছর ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের বলটিতে প্রথমবারের মতো দেখা যায় তিন রঙের সমাহার। এর ডিজাইন দেখতে ট্যাঙ্গোর মতো হলেও এর ত্রিভুজাকৃতির প্যাটার্নগুলোতে ব্যবহার করা হয় লাল, নীল ও সাদা রঙের ফ্লেয়ার। যা ফ্রান্সের পতাকার প্রতীক হিসেবে মনে করা হয়
advertisement
ফেভারনোভা, ২০০২ সালে কোরিয়া-জাপানের মাটিতে বিশ্বকাপ হয় সম্পূর্ণ নতুন এক বল দিয়ে। অ্যাডিডাসের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ডেভিড বেকহাম বলটি বেশ পছন্দ করে বলেছিলেন, ফুটবলের ইতিহাসের সবচেয়ে নিখুঁত বল ছিল ফেভারনোভা। আবার জিয়ানলুইগি বুফন দ্বিমত পোষণ করে বলেছিলেন, ‘এটি কোনো সুস্থ বল নয়, এই বলতো পাগলের মতো লাফায়!’
advertisement
advertisement
advertisement
advertisement
advertisement
টেলস্টার ১৮ ২০১৮ সালে আবারও ফিরে আসে ১৯৭০ বিশ্বকাপের টেলস্টার। বলটির ডিজাইনও করা হয়েছিল সত্তরের সেই বলের মতো করেই। ১৯৯৪ সালের পর এই প্রথম বিশ্বকাপের মাঠে গড়াল সাদা কালো ফুটবল। এর উপরে শুধু অ্যাডিডাসের লোগোতে ব্যবহার করা হয়েছিল সোনালি রঙ। সাদা পৃষ্ঠের কালো মোজাইকের মতো দেখতে প্যাটার্নগুলো বলটিকে দিয়েছিল ক্লাসিক এক রূপ
advertisement
advertisement
advertisement
১৯৭৮ ফিফা বিশ্বকাপে ব্যবহৃত সবচেয়ে জনপ্রিয় বলগুলোর একটি ট্যাঙ্গো। এই বল নিয়ে খোদ অ্যাডিডাস বেশ চিন্তিত হয়ে পড়েছিল। তাই ব্যাকআপ হিসেবে আগের বিশ্বকাপের টেলস্টারও বানিয়ে রাখে। সাদা বলের উপরে ত্রিভুজাকৃতির কালো প্যানেলের কারণে বলটি ঘাসের উপর বেশ ভাল গড়াত, তাই প্রথম কয়েক ম্যাচের মধ্যে ফুটবলারদের কাছে বেশ প্রিয় হয়ে ওঠে ট্যাঙ্গো