৫০-এ অনিল কুম্বলে, মাথায় ব্যান্ডেজ নিয়েও ঘায়েল করেছেন প্রতিপক্ষকে, কেরিয়ারের কিছু দুর্দান্ত মুহূর্ত...
- Published by:Arka Deb
- news18 bangla
Last Updated:
৫০ বছরে পা দেওয়ার দিনে একদম দেখে নেওয়া যাক কুম্বলের কেরিয়ারের দুর্দান্ত কয়েকটি মূহুর্ত।
৫০ বছরে পড়লেন ভারতের কিংবদন্তি স্পিনার অনিল কুম্বলে। ১৯৭০ সালের ১৭ অক্টোবর জন্মানো কুম্বলেকে মহাতারকাদের তালিকায় কখনওই রাখেননি বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু পরিসংখ্যানের বিচারে তিনিই ভারতের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বোলার। আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটে মোট ৯৫৬টি উইকেটের মালিক তিনি৷ ৬১৯টি টেস্ট উইকেট, ৩৩৭টি ওয়ান-ডে উইকেট। এক ইনিংসে দশ উইকেট নেওয়ার অমর কীর্তিও তিনিই গড়েছেন। ৫০ বছরে পা দেওয়ার দিনে একদম দেখে নেওয়া যাক কুম্বলের কেরিয়ারের দুর্দান্ত কয়েকটি মূহুর্ত।
advertisement
১২ রানে ৬ উইকেট, ভারত বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ একদিনের ম্যাচ, কলকাতা, ১৯৯৩: তিরানব্বইয়ের শীত। প্রথমে ব্যাট করে ভারত তুলল ৫০ ওভারে ২২৫ রান। সহজ টার্গেট তাড়া করতে গিয়ে চমৎকার খেলছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ব্যাটসম্যানরা। মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে তুলে ফেলেছিলেন ৫৭ রান। তার পরই শুরু কুম্বলে ম্যাজিক। ৬.১ ওভারে মাত্র ১২ রান- ক্যারিবিয়ানদের ৬ উইকেট তুলে নেন কুম্বলে। ১২৩ রানে অল আউট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ম্যান অফ দ্য ম্যাচ, বলা বাহুল্য, অনিল কুম্বলে।
advertisement
৩৩ রানে ৫ উইকেট, নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়ান-ডে, ওয়েলিংটন, ১৯৯৩-৯৪: প্রথমে ব্যাট করে ভারত ২৫৬ রান তোলে। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে শেষ পর্যন্ত কুম্বলের সৌজন্যে ১২ রানে জয় ছিনিয়ে নেয় টিম ইন্ডিয়া। কেবল ৫ উইকেট নেওয়াই নয়, কুম্বলে মাত্র ৩.৩০ ইকোনমি রেটে বল করে চাপে ফেলে দিয়েছিলেন কিউয়িদের। এ বারও ম্যান অফ দ্য ম্যাচ তিনিই।
advertisement
advertisement
৭৫ রানে ৪ এবং ৭৪ রানে ১০ উইকেট। অবিস্মরণীয় দিল্লি টেস্ট। ভারত বনাম পাকিস্তান। ১৯৯৯:কুম্বলের কেরিয়ারের উজ্জ্বলতম মূহুর্ত। ভারতীয় তথা বিশ্বক্রিকেটেরও সেরা মূহুর্তগুলির একটি৷ এই টেস্টের সেকেন্ড ইনিংসে একাই পাকিস্তানের সবকটি উইকেট তুলে নিয়ে নজির তৈরি করেন কুম্বলে। জিম লেকারের পর দ্বিতীয় বোলার হিসেবে ক্রিকেটের ইতিহাসে ইনিংসে ১০ উইকেট পান তিনি। ১৯ বছর পর পাকিস্তানকে হারিয়ে টেস্ট জেতে ভারত। বলা বাহুল্য, ম্যাচের সেরা হন কুম্বলেই।
advertisement
১৪১ রানে ৮ এবং ১৩৮ রানে ৪ উইকেট। ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া। সিডনি টেস্ট, ২০০৪: ২০০৩-০৪ সালের অস্ট্রেলিয়া সফরের চতুর্থ টেস্ট। পিচ ছিল বোলারদের বধ্যভূমি। হাই-স্কোরিং ম্যাচ শেষ পর্যন্ত ড্র হলেও কুম্বলে অজিদের বিরুদ্ধে তাঁর অন্যতম সেরা বোলিং করেন। এই ম্যাচে সচিন তেন্ডুলকর প্রথম ইনিংসে অপরাজিত ২৪১ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হন। কিন্তু কুম্বলের অবদানও ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।