31 December Weather Update: ৫ ডিগ্রির নিচে পারদ! হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় কাবু কলকাতা-সহ উত্তর, দক্ষিণ! ৩১ ডিসেম্বর আরও ঠান্ডা বঙ্গে? আবহাওয়ার বড় আপডেট

*রাজ্যজুড়ে শীতের দাপট ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। উত্তরের পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গেও শীতের প্রভাব স্পষ্টভাবে অনুভূত হচ্ছে। আগামী কয়েকদিন শুষ্ক আবহাওয়ার সঙ্গে সকালের দিকে কুয়াশার প্রভাব বজায় থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তাপমাত্রা ক্রমশ নামতে থাকায় সকাল ও রাতের দিকে ঠান্ডার তীব্রতা বাড়ছে। তবে নতুন বছরের শুরুতে উষ্ণতা কিছুটা বাড়বে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।

*মঙ্গলবার সৈকত নগরী দিঘায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকায় ঠাণ্ডার তীব্রতা স্পষ্ট। সকাল ও রাতের দিকে কনকনে ঠাণ্ডা অনুভূত হচ্ছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছুটা স্বস্তি মিললেও ভোর ও সন্ধ্যার সময় ঠাণ্ডার দাপট স্পষ্ট। ভোরের দিকে কুয়াশা থাকায় সমস্যায় পড়ছেন পর্যটকরা।

*হাওয়া অফিসের মতে, আগামী কয়েকদিন উপকূলীয় জেলা পূর্ব মেদিনীপুরে শুষ্ক আবহাওয়া বজায় থাকবে। পাশাপাশি ভোরের দিকে কুয়াশার সম্ভাবনাও রয়েছে। কুয়াশার কারণে সকালের সময় দৃশ্যমানতা কমে যেতে পারে। তাই ভোরের দিকে যান চলাচলের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। জাতীয় সড়ক ও রাজ্য সড়কে ধীরে গাড়ি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

*পূর্ব মেদিনীপুরের পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলাতেও আগামী কয়েকদিন ঘন কুয়াশার দাপট দেখা যেতে পারে। ফলে সকালবেলায় সাধারণ মানুষ ও যানবাহন চালকদের সমস্যায় পড়তে হতে পারে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আপাতত দক্ষিণবঙ্গের সর্বত্রই শুকনো আবহাওয়া বজায় থাকবে। বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই জানান হয়েছে। শীতের এই পরিস্থিতি আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস।

*আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বর্ষ বিদায়ে শীতের আমেজ থাকবে সমুদ্র নগরী দিঘার পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। তবে তার পর পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে তাপমাত্রা দুই থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়তে পারে। সেই কারণেই নতুন বছরের শুরুতে শীতের দাপট কিছুটা কমে সামান্য উষ্ণতার ইঙ্গিত মিলছে বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস।

*পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, বীরভূম, কলকাতা, পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা ও মালদহ জেলায় হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা দেখা গিয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যজুড়ে বর্ষ বিদায়ে তাপমাত্রার পতন স্পষ্ট। মঙ্গলবার সকাল থেকেই দিঘা-সহ বিভিন্ন এলাকায় ঘন কুয়াশায় ঢেকে যায় পথঘাট। বেলা বাড়লেও হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডা থেকে এখনও রেহাই মিলছে না।