Tutor and Housewife Love: স্ত্রী ‘পালিয়েছেন’ গৃহশিক্ষকের সঙ্গে, শ্বশুরবাড়ি জামাইকে বলছে বিয়ে করে নিতে, কিন্তু জামাই যা করছেন...
- Published by:Debalina Datta
- hyperlocal
- Reported by:Mainak Debnath
Last Updated:
Tutor and Housewife Love: বউকে খুঁজতেই বাঁকুড়া থেকে গোপাল ছুটে এসেছেন নদিয়ায়। কখনও তাঁর শ্বশুরবাড়ি আবার কখনও পুলিশ থানায় গিয়ে খোঁজ নিচ্ছেন।
কৃষ্ণনগর: পুলিস সুপার অফিসের আধিকারিকদের কাছে নিজের অভিযোগ পত্র নিয়ে ঘুরছিলেন গোপাল চন্দ্র দাস। পরণে কালো জামা ও কালো হাফপ্যান্ট। পিঠে ব্যাগ। তাতে রয়েছে বিভিন্ন নথিপত্র। উস্কোখুস্কো চুল। আধিকারিকরাও তাঁকে যত্ন সহকারে বোঝাচ্ছিলেন। মন দিয়ে শুনলেও, তাতে গোপালের মন মানছিল না। চিন্তায়, উদ্বিগ্নে বারবার ব্যাকুল হয়ে পড়ছিলেন। Photo- Representative (Meta AI)
advertisement
advertisement
পুলিশ সুপার অফিসে এসেও অফিসারদেরকে বউকে খুঁজে দেওয়ার আর্জি জানাচ্ছেন। বিষয়টি লিখিতভাবেও পুলিশকে জানিয়েছেন তিনি। চিন্তা বেড়েছে তাঁর দুই সন্তানকে নিয়ে। কারণ স্ত্রীর সঙ্গেই রয়েছেন তাঁর দুই সন্তান। দীর্ঘ সময় হতে চলল তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ গোপালের। অসম্পূর্ণ সংসার তাঁকে হতাশই করেছে। ইতিবাচক সাড়া মেলেনি তাঁর শ্বশুরবাড়ি থেকেও। উল্টে, দ্বিতীয় বিয়ে করার উপদেশ দিয়েছেন তাঁর শ্বশুর-শাশুড়ি। Photo- Representative
advertisement
বাঁকুড়া জেলার সোনামুখী থানার ডিহিপাড়া এলাকার বাসিন্দা গোপাল। পেশার চাষি। আর্থিক অবস্থাও সেরকম ভাল নয়। আগে অন্য রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতেন। ১২ বছর আগে নবদ্বীপের নয়ন বিশ্বাসের সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছিল। গোপাল ও নয়নের প্রেমের সম্পর্কটি বিয়ের রূপ নেয়। যদিও তাঁদের মধ্যে রেজিস্ট্রি হয়নি। তারপর তাদের দুই সন্তান হয়। মেয়ের বয়স ১০ বছর এবং ছেলের বয়স ৮ বছর। এর আগে গোপাল আর নয়ন গুজরাটে একসঙ্গে কাজ করতে গিয়েছিল। Photo- Representative (Meta AI)
advertisement
কিন্তু বিগত কয়েক বছর ধরে সে নবদ্বীপে বাপের বাড়িতেই ছিল। সেখানেই তাঁদের সন্তানকে পড়াতেন গৃহশিক্ষক রাজীব বসু। সেই সময় নয়নদেবীর সঙ্গে রাজীবের সম্পর্ক তৈরি হয়। যদিও তাঁর অভিযোগ, ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসের ৫ তারিখ স্ত্রী-পুত্র-কন্যাকে ওই গৃহশিক্ষক জোর করেই অন্য রাজ্য নিয়ে গিয়েছে। কাজ থেকে শ্বশুরবাড়ি ফিরে গোপাল গোটা বিষয়টি জানতে পারেন। কার্যত মাথায় বাজ ভেঙে পড়ে তাঁর। দীর্ঘ আট মাস ধরে খোঁজখুঁজি করেন তিনি। কিন্তু শেষপর্যন্ত গতবছর সেপ্টেম্বর মাসে নবদ্বীপ থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। Photo- Representative (Meta AI)
advertisement
কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার এসপির কাছেও বউ হারানোর অভিযোগ করেছেন। সেইসঙ্গে তাঁর স্ত্রী-পুত্র-কন্যাকে ফিরিয়ে দেওয়ারও আর্জি জানান। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি নম্বর থেকে ফোনে দু-একবার কথা হয়েছিল স্ত্রী’র সঙ্গে। তখন নাকি নির্যাতনের কথা জানিয়েছিল তাঁরা। গোপালের অভিযোগ, ওই গৃহশিক্ষকের বাড়ির লোকের সঙ্গে দেখা করতে গেলেও তাঁকে নাকি মারধর করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, নবদ্বীপের শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলতে গেলেও, তাঁরা গোপালকে দ্বিতীয় বিয়ে করার উপদেশ দেন।
advertisement