জলজ বাস্তুতন্ত্র ধ্বংসের মুখে,কী নিষেধাজ্ঞা জারি করল মৎস্য দফতর? জেনে নিন...
- Published by:Soumendu Chakraborty
- hyperlocal
- Reported by:Dipika Sarkar
Last Updated:
দুর্গাপুর ব্যারেজের মৎস্যজীবীদের বন্ধ করতে হবে চায়না জালের ব্যবহার,নিদান খোদ মৎস্যমন্ত্রীর।
দেশীয় মাছ সহ জলজ প্রাণী ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে চায়না দুয়ারি জাল। তাই ইতিমধ্যেই রাজ্য মৎস্য দফতর ওই জাল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। কিন্তু দুর্গাপুর ব্যারেজের জলধার সহ দামোদর নদে অবাধে চলছে ওই জালের ব্যবহার। প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞাকে তোয়াক্কা না করে কিছু মৎস্যজীবীরা চায়না জাল সহ মশারি জাল ব্যবহার করে চলেছে। ফলে মাছের রেনুপোনা, কচ্ছপ, সাপ সহ জলজ প্রাণী ও পাখির মত অনেক গুরুত্বপূর্ণ জীবকে নির্বিচারে ধরে ফেলছে। মাছের সংখ্যাও কমছে বলে দাবি মৎস্য জীবীদের এক অংশের।( ছবি ও তথ্য : দীপিকা সরকার)
advertisement
কী এই চায়না জাল! কেনইবা নিষিদ্ধ করা হয়েছে? চায়না জালের ফাঁদ এতটাই ছোট, যে বড় মাছের পাশাপাশি সব বয়সের মাছের পোনা ও ডিমসহ অন্যান্য জলজ প্রাণী সহজেই ধরা পড়ে যায়।ফলে জলজ বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য নষ্ট করে।কারণ এতে ছোট-বড় সব ধরনের প্রাণী আটকে পড়ে। যা দীর্ঘমেয়াদে দেশীয় মাছের প্রজাতিকে বিলুপ্তির দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে দাবি মৎস্য বিশেষজ্ঞদের।( ছবি ও তথ্য : দীপিকা সরকার)
advertisement
সেচ কার্যে ও শিল্পে ব্যবহারের জন্য ১৯৫৫ সালে দামোদর নদের ওপর দুর্গাপুর ব্যারেজ গড়ে ওঠে। ওই ব্যারেজের বিশাল জলাধারে মাছের উৎস শুরু হয়। এক হাজারের অধিক মানুষ ওই জলাধারে মাছ শিকার করে জীবন-জীবিকা অর্জন করছেন। আর এই জলাধারের বিখ্যাত মাছ গলদা চিংড়ি।যা ইতিমধ্যেই বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। কিন্তু বর্তমানে কুচো চিংড়ি, রুই, কাতলা, বোয়াল, শিঙ্গি, তেলাপিয়া, গজার, পুঁটি, খোলসে, পাবদা সহ বিভিন্ন দেশি প্রজাতির মাছ মেলে৷(ছবি ও তথ্য : দীপিকা সরকার)
advertisement
মৎস্যজীবীরা নানান জাল ব্যবহার করে ওই সমস্ত দেশীয় প্রজাতির মাছ ধরে আয় করেন৷ দেশীয় প্রজাতির মাছের চাহিদাও ব্যাপক রয়েছে৷ দুর্গাপুর দামোদর নদের পাশে প্রায় ৫ টি মাছের আড়ৎ রয়েছে। মৎস্যজীবীরা ওই সমস্ত রকমের মাছ আড়তদারকে বিক্রি করেন। আড়ৎ থেকে কলকাতা, শিলিগুড়ি সহ বেশ কয়েকটি জেলায় রফতানি হয়।( ছবি ও তথ্য: দীপিকা সরকার)
advertisement
মৎস্যজীবী কৃষ্ণ সরকার জানান, বেশকিছু মৎস্যজীবী অসৎপথে মাছ শিকার করছে৷ তারা চায়না দুয়ারি জাল ও মশারি জাল ব্যবহার করে মাছ ধরে। ফলে মাছের চারা মরে যাচ্ছে। আমরাও চাই এই জাল ব্যবহার বন্ধ হোক।আড়তদার গৌতম বিশ্বাস জানান, চায়না জাল ব্যবহারের কারণে জলাধারে ও নদে মাছের পরিমাণ ব্যপক হরে কমেছে কয়েক বছরে।বিষয়টির ওপর প্রশাসন দৃষ্টিপাত করলে খুবই ভাল হয়।( ছবি ও তথ্য : দীপিকা সরকার)
advertisement
মাস খানেক আগেই রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী বিপ্লব রায়চৌধুরী তাঁর দফতরের একটি বৈঠকে চায়না জাল নিষিদ্ধ করেন। পদক্ষেপের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি জানান, ‘‘এই চায়না দুয়ারি জাল এমনই একটি ফাঁদ যাতে মাছ-সহ যে কোনও প্রাণী এক বার ঢুকে গেলে, আর বেরিয়ে আসার কোনও উপায় থাকে না।’’ তিনি জানান, এই বিশেষ ধরনের ফাঁদে কচ্ছপ, সাপ, গোসাপের মত বড় প্রাণী থেকে শুরু করে মৌরলার মতো ছোট মাছের চারা এমনকি, পানকৌড়ির মত জলচর পাখিও মারা পড়ে নির্বিচারে। তাই শেষ পর্যন্ত চায়না জাল নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।( ছবি ও তথ্য : দীপিকা সরকার)








