প্লাস্টিকের দাপটে হারাচ্ছে দাদু-ঠাকুরদার আমলের 'এই' জিনিস! শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে মরিয়া দুর্গাপুরের 'মোড়া গ্রাম'

Last Updated:
Handcrafts: আজও বেতের মোড়া তৈরি করেই জীবিকা নির্বাহ করেন দুর্গাপুরের মোড়া শিল্পীরা।
1/6
প্লাস্টিক সামগ্রীর দাপটে আজও ঐতিহ্যবাহী মোড়া শিল্প বাঁচিয়ে রাখতে মরিয়া দুর্গাপুরের মোড়া শিল্পীরা। বাঁশ দিয়ে তৈরী ঐতিহ্যবাহী মোড়ার বর্তমানে কদর থাকলেও খাটনির মূল্য দিতে নারাজ ক্রেতারা বলে দাবি শিল্পীদের।( ছবি ও তথ্য: দীপিকা সরকার)
পশ্চিম বর্ধমান, দীপিকা সরকার: প্লাস্টিক সামগ্রীর দাপটে আজও ঐতিহ্যবাহী মোড়া শিল্প বাঁচিয়ে রাখতে মরিয়া দুর্গাপুরের মোড়া শিল্পীরা। বাঁশ দিয়ে তৈরি ঐতিহ্যবাহী মোড়ার বর্তমানে কদর থাকলেও খাটনির মূল্য দিতে নারাজ ক্রেতারা, দাবি শিল্পীদের।
advertisement
2/6
দুর্গাপুর- ফরিদপুর ব্লকের প্রতাপপুরে আজও কয়েকশো মোড়া শিল্পী রয়েছেন। যাঁরা বংশ পরম্পরায় আজও মোড়া সহ বেতের নানান রংবেরঙের সামগ্রী তৈরি করে চলেছেন বাঁশ দিয়ে।( ছবি ও তথ্য :দীপিকা সরকার)
দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের প্রতাপপুরে আজও কয়েকশো মোড়া শিল্পী রয়েছেন। যাঁরা বংশ পরম্পরায় আজও মোড়া-সহ বেতের নানান রঙবেরঙের সামগ্রী তৈরি করে চলেছেন বাঁশ দিয়ে। (ছবি ও তথ্য :দীপিকা সরকার)
advertisement
3/6
শিল্পীদের দাবি, সরকারি সহযোগীতা থাকলে ওই হস্তশিল্প আরও চাঙ্গা হয়ে উঠবে।ইতিমধ্যেই মিলেছে সরকারি প্রশিক্ষণ। ব্লক প্রশাসনের দাবি, ওই হস্ত শিল্প বাঁচিয়ে রাখতে নানান পদক্ষেপের মধ্যে দিয়ে প্রচেষ্টা চলছে।( ছবি ও তথ্য : দীপিকা সরকার
শিল্পীদের দাবি, সরকারি সহযোগীতা থাকলে ওই হস্তশিল্প আরও চাঙ্গা হয়ে উঠবে। ইতিমধ্যেই মিলেছে সরকারি প্রশিক্ষণ। ব্লক প্রশাসনের দাবি, ওই হস্তশিল্প বাঁচিয়ে রাখতে নানান পদক্ষেপের মধ্যে দিয়ে প্রচেষ্টা চলছে। ( ছবি ও তথ্য : দীপিকা সরকার
advertisement
4/6
রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার গঠন হতেই ওই শিল্পীরা তাঁদের মোড়া শিল্প নিয়ে নতুন করে রোজগারের দিশা দেখেন। রাজ্য সরকার গ্রাম্য এলাকার অর্থনীতি চাঙ্গা করতে হস্তশিল্প ও কুটির শিল্প সহ ঐতিহ্যবাহী শিল্প গুলির উপর প্রাধান্য দেয়।এলাকার মহিলাদের স্বনির্ভর করতে তাঁদের নিয়ে স্বনির্ভর গোষ্ঠী করে নানান কাজে যুক্ত করা হয়।( ছবি ও তথ্য : দীপিকা সরকার)
রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার গঠন হতেই ওই শিল্পীরা তাঁদের মোড়া শিল্প নিয়ে নতুন করে রোজগারের দিশা দেখেন। রাজ্য সরকার গ্রাম্য এলাকার অর্থনীতি চাঙ্গা করতে হস্তশিল্প ও কুটির শিল্প-সহ ঐতিহ্যবাহী শিল্পগুলির উপর প্রাধান্য দিচ্ছে। এলাকার মহিলাদের স্বনির্ভর করতে তাঁদের নিয়ে স্বনির্ভর গোষ্ঠী করে নানান কাজে যুক্ত করা হয়। (ছবি ও তথ্য : দীপিকা সরকার)
advertisement
5/6
বিডিও অর্ঘ্য মুখোপাধ্যায় বলেন, মোড়ার পাশাপাশি বাঁশের তৈরী নানান গৃহসজ্জার জিনিসপত্র যাতে তাঁরা তৈরী করেন সেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল।এগুলি বিক্রির জন্য আমরা মেলার আয়োজন করে থাকি। ইসিএলের পরিত্যক্ত কয়লা খনির জমিতে ও বনদপ্তরের জমিতে বাঁশ চাষের জন্য আমরা ইতিমধ্যেই আলোচনা করেছি। ( ছবি ও তথ্য : দীপিকা সরকার)
বিডিও অর্ঘ্য মুখোপাধ্যায় বলেন, "মোড়ার পাশাপাশি বাঁশের তৈরী নানান গৃহসজ্জার জিনিসপত্র যাতে তাঁরা তৈরী করেন সেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এগুলি বিক্রির জন্য আমরা মেলার আয়োজন করে থাকি। ইসিএলের পরিত্যক্ত কয়লা খনির জমিতে ও বন দফতরের জমিতে বাঁশ চাষের জন্য আমরা ইতিমধ্যেই আলোচনা করেছি।" (ছবি ও তথ্য : দীপিকা সরকার)
advertisement
6/6
মোড়া শিল্পী শান্তি বাদ্যকর ও জবা বাদ্যকর বলেন,আমাদের বাদ্যকর পাড়ার বাসিন্দাদের চাষের জমি নেই। এছাড়াও কয়লা খনিঅঞ্চল হওয়ায় চাষও কম হয়।সেই কারণে বাদ্যকর পাড়ার বাসিন্দাদের মোড়া শিল্পের ওপর ভরসা করে জীবন- জীবিকা চলে।( ছবি ও তথ্য : দীপিকা সরকার)
মোড়া শিল্পী শান্তি বাদ্যকর ও জবা বাদ্যকর বলেন, "আমাদের বাদ্যকর পাড়ার বাসিন্দাদের চাষের জমি নেই। এছাড়াও কয়লা খনি অঞ্চল হওয়ায় চাষও কম হয়। সেই কারণে বাদ্যকর পাড়ার বাসিন্দাদের মোড়া শিল্পের উপর ভরসা করেই জীবন-জীবিকা চলে।" (ছবি ও তথ্য : দীপিকা সরকার)
advertisement
advertisement
advertisement