Kaushiki Amavasya: কৌশিকী অমাবস্যায় তারাপীঠে হোটেল ভাড়া বাড়ল দ্বিগুণ, তিনগুণ! স্টিং অপারেশনে চাঞ্চল্যকর তথ্য, এসি, নন-এসি রুমের ভাড়া জানলে চোখ কপালে উঠবে
- Published by:Shubhagata Dey
- local18
Last Updated:
Hotel Tariff become extremely high in Tarapith: কৌশিকী অমবস্যাতেই তারাপীঠে হোটেলের ভাড়া এক লাফে বাড়ল প্রায় দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ। নিউজ 18 বাংলার স্ট্রিং অপারেশনে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য, প্রশাসনের নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চলছে তারাপীঠে হোটেল রাজ।
*অক্ষয় ধীবর, তারাপীঠ: কৌশিকী অমবস্যা মানেই পুণ্যার্থীদের ঢল। এবার এই কৌশিকী অমবস্যাতেই তারাপীঠে হোটেলের ভাড়া এক লাফে বাড়ল প্রায় দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ। নিউজ 18 বাংলার স্ট্রিং অপারেশনে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য, প্রশাসনের নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চলছে তারাপীঠে হোটেল রাজ। জেলা প্রশাসনের কড়া নির্দেশ রয়েছে, এ বছর কোনওরকম তিনদিনের প্যাকেজে হোটেল বুকিং করা যাবে না, পুণ্যার্থীরা একদিনের জন্য হোটেল চাইলেও তাঁকে একদিনের জন্য ভাড়া দিতে হবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে সেই নিয়ম মানা হচ্ছে না আদৌ।
advertisement
advertisement
advertisement
*উৎসবের আগেই আকাশ ছুঁয়েছে তারাপীঠের হোটেল ভাড়া। একদিনের জন্য মিলছে না হোটেলের ঘর। অন্তত তিনদিনের জন্য বুক করতে হচ্ছে হোটেল। আর সেই বুকিংয়ের জন্য খসাতে হচ্ছে মোটা টাকা। তারাপীঠে প্রায় ৪০০ হোটেল রয়েছে। নিউজ 18 বাংলার স্ট্রিং অপারেশনে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য, কোথাও নন এসি রুমের তিনদিনের ভাড়া ৬ হাজার তো কোথাও আবার এসি রুমের ভাড়া পড়ছে ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা।
advertisement
advertisement
*নন-এসি রুম আগেঃ ৬০০ টাকা। এখন সেই ভাড়া ২,৫০০ টাকা থেকে ৩০০০ টাকা। এসি রুম আগে ছিল ১,৫০০ টাকা থেকে ২,৫০০। সেই একই ঘর এখন ৮,০০০ হাজার থেকে ১৫,০০০ টাকা। তারাপীঠ-রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় এ প্রসঙ্গে জানান, হোটেল প্যাকেজ সিস্টেম উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে, কৌশিকী অমাবস্যায় অতিরিক্ত হোটেল ভাড়া রুখতে হোটেল অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিশেষ 'হেল্প ডেক্স' চালু করার জন্য। নির্দিষ্টভাবে কেউ অভিযোগ করলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
advertisement
*কৌশিকী অমাবস্যার এই পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে পৌরাণিক ইতিহাস। কথিত রয়েছে, সাধক বামাক্ষ্যাপা, ১২৭৪ বঙ্গাব্দে কৌশিকী অমাবস্যায় তারাপীঠ মহাশ্মশানে শ্বেতশিমূল বৃক্ষের তলায় সিদ্ধিলাভ করেছিলেন। ধ্যানমগ্ন বামাক্ষ্য়াপা সেদিন তারা মায়ের দেখা পেয়েছিলেন। এছাড়াও এই পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে আরও একটি ঐতিহাসিক ঘটনা।
advertisement
*পুরাণ অনুসারে, মহিষাসুরের অত্যাচারে হাত থেকে দেবতাদের রক্ষা করতে মা দূর্গা মহিষাসুর বধ করেছিলেন ঠিকই। তবে এই শান্তি খুব বেশি দিনের জন্য ছিল না। শোনা যায়, শুম্ভ-নিশুম্ভের অত্যাচারে পুনরায় দেবতারা অস্থির হয়ে পড়েন। তখন দেবী মহামায়া নিজের ইচ্ছাশক্তিকে জাগ্রত করে নতুন এক দেবীমূর্তির জন্ম দেন, তিনি হলেন দেবী কৌশিকী। এই ভাদ্র মাসের অমাবস্যাতেই শুম্ভ-নিশুম্ভকে বধ করেছিলেন দেবী কৌশিকী। শোনা যায়, এরপর থেকে এই অমাবস্যা কৌশিকী অমাবস্যা নামে পরিচিতি লাভ করে।