Shantiniketan: শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতীর মলিন ভবনে নিঃসঙ্গে একাকী দিন কাটছে বিশ্বকবির স্মৃতিধন্য সাবেক ছাপাখানার
- Published by:Arpita Roy Chowdhury
- local18
- Reported by:Souvik Roy
Last Updated:
Shantiniketan: বোলপুর গেলে কবিগুরুর ছাপাখানা দেখে আসুন, কেমন অবস্থায় রয়েছে আজ সেই ছাপাখানা? জেনে নিন বিস্তারিত
লাল মাটির জেলা বীরভূমের বোলপুরের বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছাপাখানা কয়েকবছর আগেই বন্ধ হয়েছিল। এ বার ছাপাখানা ভবনটিও হারিয়ে যেতে পারে। এমনই আশঙ্কা শান্তিনিকেতনের আশ্রমিক, বিশ্বভারতীর প্রাক্তনী থেকে শুরু করে পর্যটকদের একাংশের। কারণ, ভবনটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে বলে দীর্ঘদিনের অভিযোগ। যদিও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ভবনটি নিয়ে তাঁরা আগামীতে ভাবনাচিন্তা করবেন। বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রসঙ্গত ১৯১৭-র ৮ জানুয়ারি আমেরিকার নেব্রাস্কা স্টেটের লিঙ্কন শহরে অলিভার থিয়েটারে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 'ন্যাশনালিজম'-এর উপরে বক্তৃতা দিয়েছিলেন।ছবি ও তথ্য: সৌভিক রায়
advertisement
advertisement
১৩২৫-এর আশ্বিন, ১৯১৮-য় প্রকাশিত হয় শান্তিনিকেতন প্রেসে মুদ্রিত প্রথম বই, রবীন্দ্রনাথের গানের দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের করা স্বরলিপি-সহ সংকলন গীত-পঞ্চাশিকা। তার পরে বহু ইতিহাসের সাক্ষী এই ছাপাখানা। তবে২০১৯ সালে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক সাতটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে চিঠি দিয়ে ছাপাখানা বন্ধ করতে বলে। তাই শতাব্দী প্রাচীন বিশ্বভারতীর ছাপাখানাও বন্ধ হয়ে যায়। তবে থেকে আজও বন্ধ রয়েছে ছাপাখানা।ছবি ও তথ্য: সৌভিক রায়
advertisement
জানা যায় সেই সময় ,ছাপাখানা বিভাগে ম্যানেজার-সহ মোট ৩৯ জন কর্মী ছিলেন। তার পরে ছ'বছর কেটে গিয়েছে। বিশ্বভারতী সূত্রে খবর, লিঙ্কনের বাসিন্দাদের দেওয়া মুদ্রণযন্ত্রটি উত্তরায়ণে কোণার্ক বাড়ির বারান্দায় প্রদর্শনীর অঙ্গ হিসেবে রাখা হয়েছে। কিন্তু ছাপাখানার ভবনটি জীর্ণ হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ। অভিযোগ, বাড়িটির বিভিন্ন অংশে ফাটল ধরতে শুরু করেছে।ছবি ও তথ্য: সৌভিক রায়
advertisement
ছাপাখানার ভিতরে থাকা মুদ্রণযন্ত্র ও বই বাঁধানোর জিনিসপত্র নষ্ট হতে বসেছে। কিছু মূল্যবান জিনিস নষ্টও হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ।বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অতিগ ঘোষ বলেন, "বিশ্বভারতীর প্রেস বন্ধ হলেও আমাদের প্রকাশনা বন্ধ হয়নি। তবে এই ছাপাখানাটি কী করা যায় সে বিষেয়ও আগামিদিনে ভাবনাচিন্তা করা হবে।"সব মিলিয়ে সকলেই চাইছেন অন্ততপক্ষে ছাপাখানাটি আবার নিজের ছন্দে ফিরে আসুক।ছবি ও তথ্য: সৌভিক রায়