৬৫-র গাছ দাদু পরম যত্নে লালন করে চলেছেন একের পর এক গাছ

Last Updated:
ইতিমধ্যেই তার এই মহতী উদ্যোগ এর জন্য তিনি উপাধি পেয়েছেন "সবুজ ক্ষুদিরামের"
1/4
নাম তার গাছ দাদু। বয়স প্রায় ৬৫ ছুঁই ছুঁই। চাকরি থেকে অবসর নিলেও গাছের প্রতি তার আদর যত্ন ও ভালোবাসা এখনও একটুও কমেনি, বরং বেড়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুর সদর ব্লকের বেলিয়া এলাকার অবসরপ্রাপ্ত বনকর্মী সুভাষ মাহাত। ইতিমধ্যেই তার এই মহতী উদ্যোগ এর জন্য তিনি উপাধি পেয়েছেন "সবুজ ক্ষুদিরামের"
নাম তার গাছ দাদু। বয়স প্রায় ৬৫ ছুঁই ছুঁই। চাকরি থেকে অবসর নিলেও গাছের প্রতি তার আদর যত্ন ও ভালোবাসা এখনও একটুও কমেনি, বরং বেড়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুর সদর ব্লকের বেলিয়া এলাকার অবসরপ্রাপ্ত বনকর্মী সুভাষ মাহাত। ইতিমধ্যেই তার এই মহতী উদ্যোগ এর জন্য তিনি উপাধি পেয়েছেন "সবুজ ক্ষুদিরামের"
advertisement
2/4
দীর্ঘ ৪২ বছর সুভাষ বাবু বন কর্মী হিসেবে কাজ করেছেন বন দফতরে। তাই গাছের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক অনেকটাই গভীর। কারন কর্মজীবনেও তিনি গাছ নিয়েই চর্চা করেছেন। আর সেই সময় তিনি লক্ষ্য করেন, মূলত বট, অশ্বত্থ সহ বড় বড় গাছ কাটা হয়, কিন্তু কেউ এইসব গাছ লাগানো হয় না। যার ফলে এইসব গাছ আস্তে আস্তে লুপ্ত হওয়ার পথে একই সঙ্গে লুপ্ত হচ্ছে এই গাছ গুলির উপর নির্ভরশীল পাখিপক্ষী, বাদুড় প্রভৃতি। যার ফলে প্রভাব পড়ছে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায়। তাই সুভাষ চন্দ্র মাহাত সিদ্ধান্ত নেন বট অশ্বত্থ গাছ গুলির অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার।
দীর্ঘ ৪২ বছর সুভাষ বাবু বন কর্মী হিসেবে কাজ করেছেন বন দফতরে। তাই গাছের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক অনেকটাই গভীর। কারন কর্মজীবনেও তিনি গাছ নিয়েই চর্চা করেছেন। আর সেই সময় তিনি লক্ষ্য করেন, মূলত বট, অশ্বত্থ সহ বড় বড় গাছ কাটা হয়, কিন্তু কেউ এইসব গাছ লাগানো হয় না। যার ফলে এইসব গাছ আস্তে আস্তে লুপ্ত হওয়ার পথে একই সঙ্গে লুপ্ত হচ্ছে এই গাছ গুলির উপর নির্ভরশীল পাখিপক্ষী, বাদুড় প্রভৃতি। যার ফলে প্রভাব পড়ছে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায়। তাই সুভাষ চন্দ্র মাহাত সিদ্ধান্ত নেন বট অশ্বত্থ গাছ গুলির অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার।
advertisement
3/4
তাই তিনি নিজের বাড়িতেই এই সব গাছ সংরক্ষন করা শুরু করেছেন। সুভাষ বাবু জানান, তিনি বিভিন্ন ভাঙা বাড়ি, খড়ের গাদা থেকে এই সমস্ত গাছ গুলি তুলে এনে বাড়িতে লাগান, পরিচর্যা করে বাঁচিয়ে বড় করে তোলেন এইসব গাছ গুলিকে, পরে সেগুলি বিভিন্ন ফাঁকা জায়গায় লাগান।
তাই তিনি নিজের বাড়িতেই এই সব গাছ সংরক্ষন করা শুরু করেছেন। সুভাষ বাবু জানান, তিনি বিভিন্ন ভাঙা বাড়ি, খড়ের গাদা থেকে এই সমস্ত গাছ গুলি তুলে এনে বাড়িতে লাগান, পরিচর্যা করে বাঁচিয়ে বড় করে তোলেন এইসব গাছ গুলিকে, পরে সেগুলি বিভিন্ন ফাঁকা জায়গায় লাগান।
advertisement
4/4
শুধু নিজেই নয়, অপরকেও এই কাজ করার জন্য উদ্বুদ্ধ করেন তিনি। তাই বিনামূল্যে গাছের চারা বিলিও করেন সুভাষ বাবু। অবসরের পর দীর্ঘ ১২ বছর তিনি এই মহতী কাজ করে চলেছেন। তাঁর এই কাজের জন্য বেশকিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তাকে পুরষ্কৃত করেছে। কেউ কেউ ভালো বেসে সুভাষ বাবুর নাম দিয়েছেন গাছ দাদু, সবুজ ক্ষুদিরাম। Input- Partha Mukherjee
শুধু নিজেই নয়, অপরকেও এই কাজ করার জন্য উদ্বুদ্ধ করেন তিনি। তাই বিনামূল্যে গাছের চারা বিলিও করেন সুভাষ বাবু। অবসরের পর দীর্ঘ ১২ বছর তিনি এই মহতী কাজ করে চলেছেন। তাঁর এই কাজের জন্য বেশকিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তাকে পুরষ্কৃত করেছে। কেউ কেউ ভালো বেসে সুভাষ বাবুর নাম দিয়েছেন গাছ দাদু, সবুজ ক্ষুদিরাম। Input- Partha Mukherjee
advertisement
advertisement
advertisement