*এবার ফেরার পালা। আটদিন মাসির বাড়িতে কাটিয়ে নিজের বাড়িতে ফেরার পালা। আজ উল্টো রথ। উল্টো রথের দড়িতে টান পড়ার আগেই নিয়ম মেনে রথে চড়ে বসলেন জগন্নাথ দেব। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অন্যতম প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী মহিষাদলের রথ যাত্রা। মহিষাদল রথ যাত্রার বয়স প্রায় আড়াইশো বছর। জনপ্রিয়তার নিরিখে পুরীধামের জগন্নাথ দেবের ও হুগলির মাহেশের রথের পর মহিষাদলের রথের নাম আসে। করোনা ভীতি কাটিয়ে দু'বছর পর এ বছর রথযাত্রা শুরু হয় ১ জুলাই শুক্রবার। নিয়ম মেনে ৯ জুলাই উল্টোরথ, রথযাত্রা উৎসবের শেষদিন। প্রতিবেদন ও ছবি: সৈকত শী।
*উল্টো রথ উপলক্ষে মহিষাদলে প্রস্তুতি তুঙ্গে। মহিষাদলের ঘাঘরা গ্রামে গুন্ডিচাবাটি মাসির বাড়ি থেকে নিজের মন্দিরে ফিরে আসবেন জগন্নাথ দেব ও রাজবাড়ীর কুল দেবতা গোপাল জিউ। মহিষাদল রথে জগন্নাথ দেবের সঙ্গে সুভদ্রা ও বলরাম থাকেন না, রথে চাপেন রাজবাড়ীর কুল দেবতা গোপাল জিউ। গোপাল জিউ এবং জগন্নাথদেব মাসির বাড়িতে পুজো পাঠের পর রথে চড়ে বসেছেন।
*বিকালের পর রথ মাসির বাড়ি থেকে মহিষাদল রথতলায় ফিরে আসার উদ্দেশ্যে রওনা দেবে। ৯ দিনের সবচেয়ে উৎকৃষ্ট ভোগ নিবেদিত হয় শেষদিন। ভোগ হিসেবে ৫ রকম ভাজা সহযোগে পরমান্ন, পনির, কামিনী চালের অন্ন, পটলের তরকারি নিবেদন করা হয়। উল্টো রথের দিন মহিষাদলে আসা পুণ্যার্থীদের জন্যে খিচুড়ি প্রসাদের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
*রথের দিন মহিষাদলে প্রায় এক লক্ষ পুণ্যার্থীর সমাগম ঘটেছিল। উল্টো রথের দড়িতে টান দেওয়ার জন্যে বহু বহু পুণ্যার্থী ইতিমধ্যেই মহিষাদল হাজির হয়েছে। রথ পরিচালন কমিটি ও প্রশাসন মনে করছে এদিনও উল্টো রথে মহিষাদলে বহু মানুষের সমাগম ঘটবে। যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেই মত তৎপর প্রশাসন। উল্টো রথযাত্রার আগে ঝাঁট দিয়ে গোটা মাঠ পরিস্কার করা হয়, ঝাঁট দেন মহিষাদলের বিধায়ক তথা রথ পরিচালন কমিটির সভাপতি তিলক চক্রবর্তী নিজেও।
*রথ পরিচালন কমিটির সভাপতি তিলক চক্রবর্তী জানান, 'মহিষাদলের রথ যাত্রা মহিষাদল বাসীর তথা পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মানুষের কাছে আলাদা আবেগের আবেগের জায়গা। রথের দিন প্রায় এক লক্ষ লোকের সমাগম হয়েছিল। রথের আজকে শেষ দিন। উল্টো রথেও বহু পুণ্যার্থী মহিষাদলে আসবে। পুণ্যার্থীদেরজন্য খিচুড়ি প্রসাদের ব্যবস্থা করা হয়েছে। উল্টোরথ সুষ্ঠভাবে পরিচালনা করার জন্য প্রশাসন তৎপর।