বাইকে বা স্কুটিতে কেন মহিলারা একপাশে পা রেখে বসেন? ইতিহাস জানলে চমকে জানবেন আপনিও

Last Updated:
আপনি নিশ্চয়ই অনেক সময়েই লক্ষ্য করেছেন যে মা, পিসি কিংবা পরিবারের অন্য কোনও মহিলা যখন মোটরসাইকেলের পিছনে বসেন, তখন সবসময় একদিকে পা ঝুলিয়েই বসেন। এই রীতি শুধু পুরনো প্রজন্মেই নয়, ১৯৮০-৯০ এর দশকের মহিলারাও একইভাবে মেনে চলেছেন।
1/6
 আপনি নিশ্চয়ই অনেক সময়েই লক্ষ্য করেছেন যে মা, পিসি কিংবা পরিবারের অন্য কোনও মহিলা যখন মোটরসাইকেলের পিছনে বসেন, তখন সবসময় একদিকে পা ঝুলিয়েই বসেন। এই রীতি শুধু পুরনো প্রজন্মেই নয়, ১৯৮০-৯০ এর দশকের মহিলারাও একইভাবে মেনে চলেছেন।
আপনি নিশ্চয়ই অনেক সময়েই লক্ষ্য করেছেন যে মা, পিসি কিংবা পরিবারের অন্য কোনও মহিলা যখন মোটরসাইকেলের পিছনে বসেন, তখন সবসময় একদিকে পা ঝুলিয়েই বসেন। এই রীতি শুধু পুরনো প্রজন্মেই নয়, ১৯৮০-৯০ এর দশকের মহিলারাও একইভাবে মেনে চলেছেন।
advertisement
2/6
সেলফ সাপোর্ট বিশিষ্ট বাইক: যদিও আজকাল প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি বাইক থেকে এই কিক ফিচার বাদ দিচ্ছে। তার পরিবর্তে অবশ্য ইঞ্জিনটাকে এতটাই শক্তিশালী বানাচ্ছে, যাতে তা নিজে থেকেই ভাল ভাবে স্টার্ট নেয়।
কিন্তু কখনও ভেবেছেন কি, এমনটা হয় কেন? পুরুষরা তো এভাবে বসেন না, তাহলে মহিলারা কেনই বা নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে একপাশে বসেন? এর পেছনে আসলে কোনও বৈজ্ঞানিক কারণ নেই, বরং শত শত বছরের পুরনো রক্ষণশীল সামাজিক প্রথাই এই রীতির মূল কারণ। এই তথ্য অনেকেরই অজানা।
advertisement
3/6
 এবার সেই গোপন কারণ সামনে আনলেন পাকিস্তানের জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর জেনিথ ইরফান (Zenith Irfan)। ইন্সটাগ্রামে তাঁর ফলোয়ার সংখ্যা এক লক্ষেরও বেশি। বায়ো অনুযায়ী, তিনি পাকিস্তানের প্রথম মহিলা যিনি গোটা দেশ জুড়ে মোটরসাইকেলে ভ্রমণ করেছেন। এক ভিডিওতে জেনিথ জানান, বাইকার হয়ে তিনি তাঁর প্রয়াত বাবার স্বপ্ন পূরণ করেছেন।
এবার সেই গোপন কারণ সামনে আনলেন পাকিস্তানের জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর জেনিথ ইরফান (Zenith Irfan)। ইন্সটাগ্রামে তাঁর ফলোয়ার সংখ্যা এক লক্ষেরও বেশি। বায়ো অনুযায়ী, তিনি পাকিস্তানের প্রথম মহিলা যিনি গোটা দেশ জুড়ে মোটরসাইকেলে ভ্রমণ করেছেন। এক ভিডিওতে জেনিথ জানান, বাইকার হয়ে তিনি তাঁর প্রয়াত বাবার স্বপ্ন পূরণ করেছেন।
advertisement
4/6
আরও মজার বিষয় হল, ট্রাফিক পুলিশ যখন এই ধরণের চালকদের থামায়, তখন তারা প্রায়শই পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার শুরু করে দেয়। এরকম একটি ঘটনার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় এই মুহূর্তে তুমুল ভাইরাল হচ্ছে, যেখানে স্কুটারে থাকা একজন মহিলাকে একজন ট্রাফিক পুলিশ অফিসারের সঙ্গে লজ্জাজনক ভাবে নাগাড়ে তর্ক করতে দেখা যাচ্ছে।
সম্প্রতি একটি ভিডিও পোস্ট করে জেনিথ ইরফান খোলসা করেছেন সেই চিরচেনা প্রশ্নের উত্তর— কেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে, বিশেষত ভারত ও পাকিস্তানে, মহিলারা মোটরসাইকেলের পিছনে বসার সময় একপাশে পা ঝুলিয়ে বসেন।কেন বাইকে একদিকে পা ঝুলিয়ে বসেন মহিলারা? জেনিথ ইরফান জানালেন ইতিহাসভিডিওতে জেনিথ ইরফান মূলত পাকিস্তানের প্রসঙ্গ তুলেছিলেন, তবে তিনি স্বীকার করেছেন যে মহিলাদের এভাবে বসা ভারতেও সমানভাবে প্রচলিত। তাঁর কথায়, এটি পাকিস্তানি সংস্কৃতি নয়, বরং ব্রিটিশ সংস্কৃতির প্রভাব।
advertisement
5/6
গাড়ির দাম বড় অঙ্কের কমতে পারে। ছোট গাড়ির জিএসটি (ইঞ্জিনের আকার ১,২০০ সিসির নিচে) ২৮% স্ল্যাব থেকে থেকে ১৮% স্ল্যাবে নামিয়ে আনা হয়েছে। সেই সঙ্গে দাম কমবে দুই চাকার গাড়িরও।
জেনিথের মতে, এই প্রথার সূচনা হয়েছিল ১৪শ-১৫শ শতকে। ঐতিহাসিক সূত্র অনুযায়ী, প্রিন্সেস অ্যান অফ বোহেমিয়া তাঁর ঘোড়ায় চড়ার সময় একদিকে পা ঝুলিয়েই বসেছিলেন এবং এভাবেই তিনি প্রায় ১০০০ মাইল (১৬০০ কিলোমিটার) দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়েছিলেন। সেই সময়ে মহিলাদের পুরুষদের মতো দুই পা ফাঁক করে বসা সমাজে অশ্লীল বলে গণ্য হতো। জেনিথ জানান, আসলে এটি দক্ষিণ এশিয়ার সংস্কৃতির অংশ নয়।
advertisement
6/6
 কিন্তু ব্রিটিশ শাসন কালে তাঁদের সংস্কৃতি ভারত ও পাকিস্তানসহ গোটা দক্ষিণ এশিয়ায় ঢুকে পড়ে। আর মোটরবাইক চালু হওয়ার পর সেই ব্রিটিশ প্রথাই অভ্যাসে পরিণত হয়— ফলে মহিলারা বাইকের পেছনে বসার সময় একপাশে পা ঝুলিয়ে বসতে শুরু করেন।
কিন্তু ব্রিটিশ শাসন কালে তাঁদের সংস্কৃতি ভারত ও পাকিস্তানসহ গোটা দক্ষিণ এশিয়ায় ঢুকে পড়ে। আর মোটরবাইক চালু হওয়ার পর সেই ব্রিটিশ প্রথাই অভ্যাসে পরিণত হয়— ফলে মহিলারা বাইকের পেছনে বসার সময় একপাশে পা ঝুলিয়ে বসতে শুরু করেন।
advertisement
advertisement
advertisement