১০০ টাকার বদলে ১১০ বা ১২০ টাকার পেট্রোল ভরলে কী লাভ হয়? আসল সত্যিটা জানুন

Last Updated:
অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘কোরা’-তে এই প্রশ্ন করেছেন অনেকেই। উত্তর দিয়েছেন ভারতীয় রেলওয়ের প্রাক্তন মুখ্য ইঞ্জিনিয়ার অনিমেষ কুমার সিনহা।
1/6
পাম্পে গিয়ে অনেকেই ১২০ টাকার পেট্রোল কেনেন। অনেকে আবার ৫০০ টাকার বদলে ৪৯৫ টাকার পেট্রোল বা ডিজেল ভরেন। কিন্তু ১০০ বা ৫০০ টাকার ভরলেই তো চলে! টাকা দিতেও সুবিধা হয়। এটা কী কোনও টোটকা না কি এর পিছনে অন্য কোনও চালাকি রয়েছে?অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘কোরা’-তে এই প্রশ্ন করেছেন অনেকেই।
পাম্পে গিয়ে অনেকেই ১২০ টাকার পেট্রোল কেনেন। অনেকে আবার ৫০০ টাকার বদলে ৪৯৫ টাকার পেট্রোল বা ডিজেল ভরেন। কিন্তু ১০০ বা ৫০০ টাকার ভরলেই তো চলে! টাকা দিতেও সুবিধা হয়। এটা কী কোনও টোটকা না কি এর পিছনে অন্য কোনও চালাকি রয়েছে?অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘কোরা’-তে এই প্রশ্ন করেছেন অনেকেই।
advertisement
2/6
উত্তর দিয়েছেন ভারতীয় রেলওয়ের প্রাক্তন মুখ্য ইঞ্জিনিয়ার অনিমেষ কুমার সিনহা। তিনি অনেক বিভ্রান্তিরই নিরসন করেছেন। সঙ্গে জানিয়েছেন, তেল ভরানোর সময় গ্রাহকের কী কী বিষয়ে খেয়াল রাখা উচিত, যাতে কেউ বোকা বানাতে না পারে। পাম্প যে পরিমাণ পেট্রোল বিক্রি করে মেশিনে তার কোড সেট করা থাকে। আর সেটা থাকে রাউন্ড ফিগারে। যেমন ১০০, ২০০, ৫০০ বা ১০০০ টাকা। এন্ট্রির জন্য থাকে ওয়ান বাটন সিস্টেম।
উত্তর দিয়েছেন ভারতীয় রেলওয়ের প্রাক্তন মুখ্য ইঞ্জিনিয়ার অনিমেষ কুমার সিনহা। তিনি অনেক বিভ্রান্তিরই নিরসন করেছেন। সঙ্গে জানিয়েছেন, তেল ভরানোর সময় গ্রাহকের কী কী বিষয়ে খেয়াল রাখা উচিত, যাতে কেউ বোকা বানাতে না পারে। পাম্প যে পরিমাণ পেট্রোল বিক্রি করে মেশিনে তার কোড সেট করা থাকে। আর সেটা থাকে রাউন্ড ফিগারে। যেমন ১০০, ২০০, ৫০০ বা ১০০০ টাকা। এন্ট্রির জন্য থাকে ওয়ান বাটন সিস্টেম।
advertisement
3/6
পেট্রোল বা ডিজেল ভরার সময় পাম্পের কর্মীরা ওই বাটন প্রেস করেন। ফলে বেশি পরিশ্রম করতে হয় না। সময় বাঁচে। এখন গ্রাহক মনে করতেই পারেন, নম্বর আসলে পেট্রোল বা ডিজেল কম দেওয়ার কৌশল। পাম্প আসলে জালিয়াতি করছে। এই জন্যই ১২০ টাকার বদলে ১২০ টাকা কিংবা ৫০০ টাকার বদলে ৪৯৫ টাকার পেট্রোল ভরান গ্রাহকরা। তাঁরা মনে করেন, এভাবে কিনলে সঠিক পরিমাণে পাওয়া যাবে।
পেট্রোল বা ডিজেল ভরার সময় পাম্পের কর্মীরা ওই বাটন প্রেস করেন। ফলে বেশি পরিশ্রম করতে হয় না। সময় বাঁচে। এখন গ্রাহক মনে করতেই পারেন, নম্বর আসলে পেট্রোল বা ডিজেল কম দেওয়ার কৌশল। পাম্প আসলে জালিয়াতি করছে। এই জন্যই ১২০ টাকার বদলে ১২০ টাকা কিংবা ৫০০ টাকার বদলে ৪৯৫ টাকার পেট্রোল ভরান গ্রাহকরা। তাঁরা মনে করেন, এভাবে কিনলে সঠিক পরিমাণে পাওয়া যাবে।
advertisement
4/6
কিন্তু আদতে টাকার অঙ্কের সঙ্গে জ্বালানির পরিমাণের কোনও সম্পর্ক নেই। লিটারে তেল দেওয়ার জন্যই পেট্রোল পাম্পের মেশিন ডিজাইন করা হয়েছে। এর প্রতিটা হিসেব লিটারের ভিত্তিতে করা হয়। একে ‘ফ্লো মিটার’ বলে। এখন কেউ যদি পাম্পে গিয়ে বলেন, “৫০ টাকার পেট্রোল দিন।”
কিন্তু আদতে টাকার অঙ্কের সঙ্গে জ্বালানির পরিমাণের কোনও সম্পর্ক নেই। লিটারে তেল দেওয়ার জন্যই পেট্রোল পাম্পের মেশিন ডিজাইন করা হয়েছে। এর প্রতিটা হিসেব লিটারের ভিত্তিতে করা হয়। একে ‘ফ্লো মিটার’ বলে। এখন কেউ যদি পাম্পে গিয়ে বলেন, “৫০ টাকার পেট্রোল দিন।”
advertisement
5/6
তাহলে ৫০ টাকায় কতটা পেট্রোল মিলবে তা ঠিক করার জন্য সফটওয়্যার রয়েছে। অর্থাৎ মেশিন তখন টাকা থেকে লিটারে কনভার্ট করে। সেই অনুযায়ী হিসেব করে কতটা পেট্রোল দেওয়া হবে ঠিক করা হয়।
তাহলে ৫০ টাকায় কতটা পেট্রোল মিলবে তা ঠিক করার জন্য সফটওয়্যার রয়েছে। অর্থাৎ মেশিন তখন টাকা থেকে লিটারে কনভার্ট করে। সেই অনুযায়ী হিসেব করে কতটা পেট্রোল দেওয়া হবে ঠিক করা হয়।
advertisement
6/6
এখন যদি কেউ ১১০ বা ১২০ টাকার পেট্রোল বা ডিজেল কেনেন, তাহলে মেশিন সেটাকে গণনার সময় রাউন্ড অফ করবে। হয়ত ওই টাকায় ১০.২৪ লিটার তেল পাওয়া উচিত ছিল। দেখা যাবে মিলল ১০.২ লিটার। ১১০ বা ১২০ টাকার পেট্রোল কিনলে সঠিক পরিমানে পাওয়া যাবে এর কোনও প্রমাণ নেই। গ্রাহককে পেট্রোল পাম্পের উপর বিশ্বাস করতে হবে। তাই লিটারের হিসেব অনুযায়ী পেট্রোল কেনা উচিত।
এখন যদি কেউ ১১০ বা ১২০ টাকার পেট্রোল বা ডিজেল কেনেন, তাহলে মেশিন সেটাকে গণনার সময় রাউন্ড অফ করবে। হয়ত ওই টাকায় ১০.২৪ লিটার তেল পাওয়া উচিত ছিল। দেখা যাবে মিলল ১০.২ লিটার। ১১০ বা ১২০ টাকার পেট্রোল কিনলে সঠিক পরিমানে পাওয়া যাবে এর কোনও প্রমাণ নেই। গ্রাহককে পেট্রোল পাম্পের উপর বিশ্বাস করতে হবে। তাই লিটারের হিসেব অনুযায়ী পেট্রোল কেনা উচিত।
advertisement
advertisement
advertisement