Dr. Akshata Krishnamurthy: প্রথম কোনও ভারতীয়ের হাতে নাসার মঙ্গল অভিযান পরিচালনার ভার; সকলকে উৎসাহ জোগাতে নিজের গল্পই ভাগ করে নিলেন ড. অক্ষতা কৃষ্ণমূর্তি

Last Updated:
Who Is Dr. Akshata Krishnamurthy: তিনিই প্রথম ভারতীয় নাগরিক, যিনি মঙ্গলে রোভার মিশন পরিচালনা করছেন। ফলে ভারতের ইতিহাসে এ এক অভূতপূর্ব মাইলফলক।
1/7
ছোটবেলা থেকেই দু’চোখ ভরে স্বপ্ন দেখতেন। সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপায়িতও করেছেন। এবার এক নয়া অভিযানে যাবেন নাসার রকেট সায়েন্টিস্ট ড. অক্ষতা কৃষ্ণমূর্তি। আর তিনিই প্রথম ভারতীয় নাগরিক, যিনি মঙ্গলে রোভার মিশন পরিচালনা করছেন। ফলে ভারতের ইতিহাসে এ এক অভূতপূর্ব মাইলফলক। এই সাফল্য শুধু অক্ষতারই নয়, সেই সঙ্গে বিশ্বমঞ্চে মহাকাশ সংক্রান্ত বিষয়ে আমাদের দেশের উপস্থিতিকেও আরও জোরালো করল। অক্ষতা আসলে সেই গুটিকয়েক ভারতীয়ের মধ্যে পড়েন, যাঁরা পুরোদস্তুর নাসার কর্মী। তাঁর লিঙ্কডইন প্রোফাইল থেকে জানা যায় যে, অক্ষতা হলেন নাসার প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর এবং মিশন সায়েন্স ফেজ লিড।
ছোটবেলা থেকেই দু’চোখ ভরে স্বপ্ন দেখতেন। সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপায়িতও করেছেন। এবার এক নয়া অভিযানে যাবেন নাসার রকেট সায়েন্টিস্ট ড. অক্ষতা কৃষ্ণমূর্তি। আর তিনিই প্রথম ভারতীয় নাগরিক, যিনি মঙ্গলে রোভার মিশন পরিচালনা করছেন। ফলে ভারতের ইতিহাসে এ এক অভূতপূর্ব মাইলফলক। এই সাফল্য শুধু অক্ষতারই নয়, সেই সঙ্গে বিশ্বমঞ্চে মহাকাশ সংক্রান্ত বিষয়ে আমাদের দেশের উপস্থিতিকেও আরও জোরালো করল। অক্ষতা আসলে সেই গুটিকয়েক ভারতীয়ের মধ্যে পড়েন, যাঁরা পুরোদস্তুর নাসার কর্মী। তাঁর লিঙ্কডইন প্রোফাইল থেকে জানা যায় যে, অক্ষতা হলেন নাসার প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর এবং মিশন সায়েন্স ফেজ লিড।
advertisement
2/7
প্রায় পাঁচ বছর ধরে নাসায় চাকরি করছেন তিনি। এর আগে অবশ্য ইনস্ট্রুমেন্ট সিস্টেমস ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে এমআইটি-তেও চাকরি করেছেন অক্ষতা।নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট astro.akshata-র পাতায় নিজের সেই সাফল্যের কাহিনিই তুলে ধরলেন ড. অক্ষতা কৃষ্ণমূর্তি। কীভাবে ১৩ বছর আগে নাসায় চাকরি করার স্বপ্ন নিয়ে মার্কিন মুলুকে পাড়ি জমিয়েছিলেন, আর কীভাবেই বা সেই স্বপ্নকে বাস্তব করেছেন, সেই গল্পই বিশ্ববাসীকে শোনালেন নিজেই!
প্রায় পাঁচ বছর ধরে নাসায় চাকরি করছেন তিনি। এর আগে অবশ্য ইনস্ট্রুমেন্ট সিস্টেমস ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে এমআইটি-তেও চাকরি করেছেন অক্ষতা।নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট astro.akshata-র পাতায় নিজের সেই সাফল্যের কাহিনিই তুলে ধরলেন ড. অক্ষতা কৃষ্ণমূর্তি। কীভাবে ১৩ বছর আগে নাসায় চাকরি করার স্বপ্ন নিয়ে মার্কিন মুলুকে পাড়ি জমিয়েছিলেন, আর কীভাবেই বা সেই স্বপ্নকে বাস্তব করেছেন, সেই গল্পই বিশ্ববাসীকে শোনালেন নিজেই!
advertisement
3/7
স্বপ্নকে সফল করার দৌড়ের গোড়ার দিকের ঘটনা ব্যাখ্যা করে বলেন, “প্রায় ১৩ বছর আগে আমি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলাম। সেই সময় আমার কাছে প্রায় কিছুই ছিল না। শুধু ছিল নাসায় চাকরি করার স্বপ্ন। আর ছিল পৃথিবী এবং মঙ্গলে যুগান্তকারী বিজ্ঞান এবং রোবোটিক অভিযান পরিচালনা করার স্বপ্ন। যাঁদের সঙ্গে আমার আলাপ হয়েছিল, তাঁরা প্রত্যেকেই বলতেন যে, ভিসায় থাকা একজন বিদেশি নাগরিকের পক্ষে এটা অসম্ভব। ফলে তাঁরা পরামর্শ দিতেন, প্ল্যান বি রাখতে নয়তো নিজের কাজের ক্ষেত্র পুরোপুরি বদলে ফেলতে। তবে আমি খুশি যে, আমি তাঁদের কারও কথায় কান দিইনি। একটা উপায় খুঁজে পাওয়া পর্যন্ত অধ্যবসায় চালিয়ে গিয়েছি!”
স্বপ্নকে সফল করার দৌড়ের গোড়ার দিকের ঘটনা ব্যাখ্যা করে বলেন, “প্রায় ১৩ বছর আগে আমি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলাম। সেই সময় আমার কাছে প্রায় কিছুই ছিল না। শুধু ছিল নাসায় চাকরি করার স্বপ্ন। আর ছিল পৃথিবী এবং মঙ্গলে যুগান্তকারী বিজ্ঞান এবং রোবোটিক অভিযান পরিচালনা করার স্বপ্ন। যাঁদের সঙ্গে আমার আলাপ হয়েছিল, তাঁরা প্রত্যেকেই বলতেন যে, ভিসায় থাকা একজন বিদেশি নাগরিকের পক্ষে এটা অসম্ভব। ফলে তাঁরা পরামর্শ দিতেন, প্ল্যান বি রাখতে নয়তো নিজের কাজের ক্ষেত্র পুরোপুরি বদলে ফেলতে। তবে আমি খুশি যে, আমি তাঁদের কারও কথায় কান দিইনি। একটা উপায় খুঁজে পাওয়া পর্যন্ত অধ্যবসায় চালিয়ে গিয়েছি!”
advertisement
4/7
এখানেই শেষ নয়, রকেট সায়েন্টিস্ট অক্ষতা আরও জানান যে, তিনি এমআইটি থেকে এরোনটিক্স এবং অ্যাস্ট্রোনটিক্সে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তারপরে নাসায় চাকরিতে প্রবেশ করেছেন। তবে সেই পথ এতটাও মসৃণ ছিল না। তিনি লিখেছেন, “এমআইটি-তে পিএইচডি করা থেকে শুরু করে নাসায় ফুল টাইম চাকরি পাওয়া - কোনওটাই সহজ ছিল না। আজ আমি একাধিক দুর্দান্ত মহাকাশ অভিযানে কাজ করছি। তার মধ্যে অন্যতম হল প্রিসার্ভেন্স রোভার। আর এই রোভার নমুনা সংগ্রহ করে পৃথিবীতে নিয়ে আসবে।”
এখানেই শেষ নয়, রকেট সায়েন্টিস্ট অক্ষতা আরও জানান যে, তিনি এমআইটি থেকে এরোনটিক্স এবং অ্যাস্ট্রোনটিক্সে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তারপরে নাসায় চাকরিতে প্রবেশ করেছেন। তবে সেই পথ এতটাও মসৃণ ছিল না। তিনি লিখেছেন, “এমআইটি-তে পিএইচডি করা থেকে শুরু করে নাসায় ফুল টাইম চাকরি পাওয়া - কোনওটাই সহজ ছিল না। আজ আমি একাধিক দুর্দান্ত মহাকাশ অভিযানে কাজ করছি। তার মধ্যে অন্যতম হল প্রিসার্ভেন্স রোভার। আর এই রোভার নমুনা সংগ্রহ করে পৃথিবীতে নিয়ে আসবে।”
advertisement
5/7
সব শেষে অক্ষতা লিখেছেন, “কোনও স্বপ্ন কখনওই খুব বড় কিংবা পাগলের মতো নয়। নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন। আর কাজ চালিয়ে যান। আমি হলফ করে বলতে পারি যে, কঠোর পরিশ্রম করলে সেই জায়গা অর্জন করা যাবে। প্রায় দশ লক্ষ মানুষকে অনুপ্রেরণা জোগানোই আমার লক্ষ্য। সেই সঙ্গে তাঁরা যাতে বড় স্বপ্ন দেখতে পারেন, সেই বিষয়েও তাঁদের উৎসাহ দিতে চাই। যাতে তাঁরা সেরা জীবনযাপন করতে পারেন।”
সব শেষে অক্ষতা লিখেছেন, “কোনও স্বপ্ন কখনওই খুব বড় কিংবা পাগলের মতো নয়। নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন। আর কাজ চালিয়ে যান। আমি হলফ করে বলতে পারি যে, কঠোর পরিশ্রম করলে সেই জায়গা অর্জন করা যাবে। প্রায় দশ লক্ষ মানুষকে অনুপ্রেরণা জোগানোই আমার লক্ষ্য। সেই সঙ্গে তাঁরা যাতে বড় স্বপ্ন দেখতে পারেন, সেই বিষয়েও তাঁদের উৎসাহ দিতে চাই। যাতে তাঁরা সেরা জীবনযাপন করতে পারেন।”
advertisement
6/7
বিজ্ঞান কিংবা মহাকাশের ক্ষেত্রেই শুধু নয়, অন্যান্য ক্ষেত্রেও অক্ষতার অবদান অনস্বীকার্য। অগণিত তরুণী-যুবতীদের অনুপ্রেরণা জোগানোর লক্ষ্যে একটি ই-বুকও রয়েছে তাঁর। যার নাম Your Ultimate Guide to a Space Career। এই ক্ষেত্রে পরবর্তীকালে যাঁরা আসার স্বপ্ন দেখেন, তাঁদের জন্য মূল্যবান রোডম্যাপ ছকে দেওয়া হয়েছে এই ই-বুকে।
বিজ্ঞান কিংবা মহাকাশের ক্ষেত্রেই শুধু নয়, অন্যান্য ক্ষেত্রেও অক্ষতার অবদান অনস্বীকার্য। অগণিত তরুণী-যুবতীদের অনুপ্রেরণা জোগানোর লক্ষ্যে একটি ই-বুকও রয়েছে তাঁর। যার নাম Your Ultimate Guide to a Space Career। এই ক্ষেত্রে পরবর্তীকালে যাঁরা আসার স্বপ্ন দেখেন, তাঁদের জন্য মূল্যবান রোডম্যাপ ছকে দেওয়া হয়েছে এই ই-বুকে।
advertisement
7/7
এসএসপিআই সোসাইটি অফ স্যাটেলাইট প্রফেশনাল ইন্টারন্যাশনাল ওয়েবসাইটের একটি পোস্ট থেকে জানা গিয়েছে, অক্ষতার এই কৃতিত্ব সব দিক থেকেই ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করেছে। ইতিমধ্যেই তিনি সম্মানীয় নাসা অনার গ্রুপ অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড, দ্য ইমার্জিং স্পেস লিডার অ্যাওয়ার্ড এবং ২০১৭ ল্যুইগি জি. ন্যাপোলিট্যানো অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হয়েছেন।
এসএসপিআই সোসাইটি অফ স্যাটেলাইট প্রফেশনাল ইন্টারন্যাশনাল ওয়েবসাইটের একটি পোস্ট থেকে জানা গিয়েছে, অক্ষতার এই কৃতিত্ব সব দিক থেকেই ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করেছে। ইতিমধ্যেই তিনি সম্মানীয় নাসা অনার গ্রুপ অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড, দ্য ইমার্জিং স্পেস লিডার অ্যাওয়ার্ড এবং ২০১৭ ল্যুইগি জি. ন্যাপোলিট্যানো অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হয়েছেন।
advertisement
advertisement
advertisement