Viral News: বিশ্বের এই ছয় জায়গায় মৃত্যু নিষিদ্ধ! বহু যুগ ধরে কেউ মারা যাননি এখানে! কী করে সম্ভব!
- Published by:Piya Banerjee
- news18 bangla
Last Updated:
Viral News: এই ছয় জায়গায় মানুষের মৃত্যু হলেই কপালে কঠিন শাস্তি! এ আবার কেমন নিয়ম? জানুন
অবাক হয়ে যাচ্ছেন নিশ্চয়! এমন কী করে সম্ভব মানুষ জন্মাবে আর মরবে না! তাও কী হয়! মরলেই নাকি শাস্তি! কিন্তু জন্মালে যে মরতেই হবে! তবে এই কয়েকটি জায়গায় কিছুতেই মরা যাবে না! মরলেই বিপদ! জানলে অবাক হবেন! নরওয়ে, ইটালি, জাপান, ফ্রান্সের কিছু শহর ও গ্রাম আছে, যেখানে মানুষের মৃত্যুতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। photo source collected
advertisement
নরওয়ে! নরওয়ের লংইয়ারবাইন শহরে মরে যাওয়া বারণ। প্রায় ৭০ বছর ধরে এখানকার কবরস্থানে শহরের কোনও মৃত ব্যক্তিকে কবর দেওয়া হয়নি। আসলে এই শহরটি সব সময় তুষারে ঢাকা থাকে। সেই কারণে বরফে কবর দিলে মৃতদেহ পচে না বা নষ্ট হয় না। এর ফলে এই সব মৃতদেহে ‘পারমাফ্রস্ট’ নামের একটি ভাইরাস উৎপন্ন হয়। এবং এই ভাইরাসের প্রভাবে স্থানীয় বাসিন্দারা মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন। আর এই জন্যই কেউ অসুস্থ হলে তাঁকে শহরের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়! এই গ্রামে খাতায় কলমে কেউ মরে না! photo source collected
advertisement
২০১২ সালের মার্চ মাসে ইটালির ফ্যালসিয়ানো দেল মেক্সিকো শহরে এক আইন পাশ করে! সেই আইন অনুযায়ী 'ফ্যালসিয়ানো দেল মাসিকো'-র পৌরসভায় বসবাসকারী কোনও ব্যক্তির মৃত্যু বেআইনি। আসলে এই পৌরসভা এলাকার কবরস্থান সম্পূর্ণ ভরাট হয়ে গেছে। সেখানে কাউকে কবর দেওয়ার এতটুকু জায়গা নেই। এ কারণে প্রৌঢ় মানুষদের অধিকাংশই পৌর এলাকায় বাইরে বসবাস করতে হয়। এখানকার মানুষদের মোটা টাকার বিনিময়ে কবর দেওয়া হয় অন্য এক শহরে! ভয়াবহ! photo source collected
advertisement
জাপানের ইতসুকুশিমা একটি পবিত্র স্থান। তাই সেদেশের সরকার এই স্থানটির পবিত্রতা বজায় রাখার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করে। এই পবিত্র স্থানে ১৮৭৮ সাল থেকে মৃত্যু এবং জন্ম দুটোই নিশিদ্ধ করে পুরোহিতরা। মানে এই গ্রামে কারও মৃত্যু বা জন্ম হতে পারবে না! অন্য গ্রামে জন্ম দিয়ে এই গ্রামে এসে থাকা যাবে! গর্ভবতী মহিলা, বয়স্ক এবং অসুস্থ ব্যক্তিদের এই স্থানে যাওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। photo source collected
advertisement
সার্পোরেক্স হল ফ্রান্সের দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত একটি গ্রাম। ২০০৮ সালে এখানে নতুন নিয়ম করা হয়, যেখানে বলা হয়েছিল যে এই এলাকার কবরস্থানে কারও মরে যাওয়া বারণ! মৃত্যুর আগে তাঁদের অন্য শহরে নিয়ে যেতে হবে। কবরস্থানে রাখা যাবে না। শুধু তাই নয়, কেউ এই আদেশ অমান্য করলে তাঁকে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। এই কারণে অনেকেই বয়স হলে এই শহর ছেড়ে চলে যান! photo source collected
advertisement
দক্ষিণ ইটালিতে অবস্থিত সেলিয়া। এখানে মাত্র ৫৩৭ বাস করেন। প্রায় সকলের বয়স ৬৫ বছরের বেশি। শহরের জনসংখ্যা এতটাই কম যে তা রুখতে শহরের মেয়র আদেশ দিয়েছিলেন যে এই শহরে কেউ অসুস্থ হতে বা মারা যেতে পারবেন না। আসলে এই আদেশের প্রধান উদ্দেশ্য, ছিল যাতে নাগরিকরা নিজেদের স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন হন! জানা গিয়েছে এখানে কেউ স্বাস্থ্য সচেতন ছিলেন না! তাই মৃত্যু হত বেশি!photo source collected
advertisement
১৯৯৯ সালে, দক্ষিণ স্পেনের ল্যানজারন শহরটিতে কবরস্থানের ছিল! কবর দেওয়ার মতো জায়গাই ছিল না! তাই এখানে এক নতুন নিষেধের নির্দেশ জারি হয়েছিল। শীঘ্রই যাতে কেউ মারা না যান, সে জন্য নাগরকিদের স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়ার নির্দেশ জারি হয়!। এছাড়াও যাঁরা অসুস্থ এবং বৃদ্ধ তাঁদের পাঠানো হয়েছিল অন্য শহরে। যাতে মৃত্যুর পর কবর দিতে অসুবিধে না হয়! photo source collected
