তরুণী একা থাকতেন, একদিন ইনস্টাগ্রামে এল একটি মেসেজ 'আমি রাহুল'…! মন দিয়ে ফেললেন, তারপর যা ঘটল!

তরুণী একা থাকতেন। নিজের ছোট্ট ঘর আর স্মার্টফোনটাই ছিল তাঁর জগত। দিনগুলো কাটত নিঃসঙ্গতায়, আর রাতগুলো ভরে উঠত নিঃশব্দ স্ক্রলিং-এ। ঠিক এমন এক রাতে ইনস্টাগ্রামের ইনবক্সে ভেসে এল একটি বার্তা— “হাই, আমি রাহুল…” মেয়েটির চোখে হাসি ফুটল, মন হড়কে গেল কিছুটা। একাকীত্বের সেই দেয়ালে যেন কেউ প্রথমবারের মতো শব্দ তুলল।

বন্ধুত্ব হল, কথা হল, ভালবাসা এল… কিংবা বলা ভাল, ভালবাসার ছায়ায় লুকিয়ে ছিল এক ভয়ঙ্কর ফাঁদ। কিন্তু কে ছিল সে? সত্যিই কি রাহুল? না কি এই পরিচয়ের আড়ালে ছিল এক জটিল ষড়যন্ত্র?

বন্ধুত্ব হল, কথা হল, ভালবাসা এল… কিংবা বলা ভাল, ভালবাসার ছায়ায় লুকিয়ে ছিল এক ভয়ঙ্কর ফাঁদ। কিন্তু কে ছিল সে? সত্যিই কি রাহুল? না কি এই পরিচয়ের আড়ালে ছিল এক জটিল ষড়যন্ত্র?

ঘটনার সূত্রপাত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ইনস্টাগ্রামে। সেখানে এক হিন্দু মেয়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব করেন এক মুসলিম যুবক, নিজের পরিচয় গোপন করে নাম রাখেন ‘রাহুল শর্মা’। মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে মেয়েটিকে প্রেমের ফাঁদে ফেলেন তিনি। একদিন মেয়েটিকে বলেন, বন্ধুর বাড়িতে নিয়ে যাবেন, কিন্তু সেখানে নিয়ে গিয়ে মেয়েটির সঙ্গে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন।

শুধু তাই নয়, মেয়েটিকে না জানিয়ে একটি মন্দিরে গিয়ে তাঁকে বিয়ে করেন অভিযুক্ত। বিয়ের সময় কোনও পুরোহিত না থাকায় নিজেরাই মন্ত্রপাঠ করে বিবাহরীতি সম্পন্ন করেন। পরে যখন মেয়েটির মামা অভিযুক্তের পরিচয়পত্র দেখতে চান, তখনই পুরো বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। জানা যায়, যিনি রাহুল বলে পরিচয় দিয়েছিলেন, তাঁর আসল নাম সোহেল খান।

 তরুণী ভোপালের ঝাগরিয়া বস্তিতে একা থাকতেন। তাঁর বাবা-মা মারা গিয়েছেন অনেক আগেই। পাশেই থাকা মামা তাঁকে দেখাশোনা করতেন। এই নিঃসঙ্গ অবস্থার সুযোগ নেয় অভিযুক্ত সোহেল খান।

প্রায় তিন মাস আগে ইনস্টাগ্রামে ‘রাহুল শর্মা’ নামে এক যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয় তরুণীর। ধীরে ধীরে যোগাযোগ গাঢ় হয়, প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। অভিযুক্ত ভিদিশা থেকে ভোপালে এসে থাকতেন নাদারা বাসস্ট্যান্ডের কাছে একটি ভাড়াবাড়িতে এবং চুনকাম বা সাদা করার কাজ করতেন।

পরে অভিযুক্ত মেয়েটিকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকেন, এমনকি তাঁর ব্যক্তিগত চ্যাট ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দেন। ভয়ে মেয়েটি তাঁর কথায় রাজি হন। বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত তাঁকে একটি মন্দিরে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন এবং মেয়েটির বাড়িতেই থাকতে শুরু করেন। এরপর মেয়েটির মামা সন্দেহ হলে পরিচয়পত্র চেয়ে বসেন। তখনই আসল পরিচয় ফাঁস হয়ে যায়।

ঘটনার ভিত্তিতে কাটারা হিলস থানায় ধর্মীয় স্বাধীনতা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করছেন এসআই কৌশলেন্দ্র সিং বাঘেল।