৫ কোটি বিনিয়োগকারীর ৪৫ হাজার কোটি টাকার কী হবে? প্রয়াত পার্লস গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা নির্মল সিং ভাঙ্গু
- Published by:Siddhartha Sarkar
- trending desk
Last Updated:
Nirmal Singh Bhangoo: সঞ্চয় প্রকল্পের নামে ৪৫ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে পার্লস গ্রুপের বিরুদ্ধে। সর্বস্বান্ত হয়ে গিয়েছেন প্রায় সাড়ে ৫ কোটি মানুষ।
সঙ্গী বলতে একটা ভাঙা সাইকেল। সেটা নিয়ে ঘুরে ঘুরে দুধ বিক্রি করতেন। সেখান থেকে দাঁড় করান বিশাল আর্থিক সাম্রাজ্য। পরবর্তীকালে জড়িয়ে পড়েন ৪৫ হাজার কোটি টাকার চিট ফান্ড কেলেঙ্কারিতে। গ্রেফতার করে পুলিশ। পাঠানো হয় তিহাড় জেলে। ভগ্ন স্বাস্থ্যের কারণে দিল্লির একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। অবশেষে সেখানেই মৃত্যু হল পার্ল গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা নির্মল সিং ভাঙ্গুর।
advertisement
সঞ্চয় প্রকল্পের নামে ৪৫ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে পার্লস গ্রুপের বিরুদ্ধে। সর্বস্বান্ত হয়ে গিয়েছেন প্রায় সাড়ে ৫ কোটি মানুষ। এঁদের মধ্যে মাত্র ২১ লাখ বিনিয়োগকারী টাকা ফেরত পেয়েছেন। কিন্তু বাকি ৫.২৫ কোটি বিনিয়োগকারী এখনও সেই তিমিরেই। নির্মলের মৃত্যুর পর তাঁরা আদৌ টাকা ফেরত পাবেন কি না, এখন সেটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।
advertisement
পঞ্জাবের রোপারের চমকৌর গ্রামের দুধ বিক্রি করতেন নির্মল সিং ভাঙ্গু। ভাঙা সাইকেলে দুধের বড় জার নিয়ে ঘুরতেন বাড়ি বাড়ি। কিন্তু বড় কিছু করার ইচ্ছা ছিল বরাবর। ১৯৭০ সালে চলে আসেন কলকাতায়। কাজ শুরু করেন পিয়ারলেস কোম্পানিতে। তারপর গোল্ডেন ফরেস্ট ইন্ডিয়া লিমিটেড নামের একটি কোম্পানিতেও কিছুদিন চাকরি করেন। এখান থেকেই আর্থিক ব্যবসা চালানোর ঘাঁতঘোঁত শেখেন নির্মল।
advertisement
প্রায় দশ বছর বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজ করার পর ১৯৮০ সালে নিজের কোম্পানি খোলেন নির্মল সিং ভাঙ্গু। নাম দেন ‘পার্লস গোল্ড ফরেস্ট লিমিটেড’। বিনিয়োগকারীদের উচ্চ রিটার্ন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফেঁদে বাসেন চিটফান্ডের ব্যবসা। ব্যবসা দ্রুত বাড়তে থাকে। কিন্তু ২০১৩-১৪ সালে সামনে আসে কেলেঙ্কারি। প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে নির্মলের বিরুদ্ধে।
advertisement
পার্লস গ্রুপের এই কেলেঙ্কারিতে ৫ কোটি বিনিয়োগকারী সর্বস্বান্ত হয়ে যান। ৪৫ হাজার কোটি টাকার কেলেঙ্কারি সামনে এলেও বিনিয়োগকারীদের দাবি, টাকার পরিমাণ আরও বেশি। তাঁদের অভিযোগ, ৬০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন নির্মল। বিনিয়োগকারীদের টাকা ফেরত দিতে ২০১৫ সালে তৈরি করা হয় লোধা কমিটি। এখনও পর্যন্ত ২১ লাখ বিনিয়োগকারীর হাতে টাকা তুলে দেওয়া হয়েছে। ফেরতের অপেক্ষায় রয়েছেন ৫.২৫ কোটি বিনিয়োগকারী। বর্তমানে সেবি-এর তত্ত্বাবধানে বিনিয়োগকারীদের রিফান্ড দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। File Photo: ANI