৩০-৪০ কাপ চা রোজ! ছানার পদ হলে কথাই নেই! আর কী কী খেতে ভালবাসতেন নেতাজি!
- Published by:Suman Majumder
Last Updated:
Netaji Subhash Chandra Bose: নেতাজির মন ছটফট করত, তবু জেলে থাকায় বাঙালি খাবার বহুদিন ছুঁয়েও দেখতে পারেননি।
advertisement
নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু ১৯২৫ থেকে ১৯২৭ পর্যন্ত মায়ানমারের (বার্মা) মান্ডলা জেলে ছিলেন। তখন তিনি প্রায়ই বৌদি বিভাবতী বসুকে জেলের খাবারের কথা লিখতেন। সেসব চিঠিতে তিনি জানাতেন, কারাগারে কী ধরনের খাবার পান। শ্যালিকাকে লেখা বহু চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, জেলে ঠিকমতো ভাত বা খাবার পাওয়া যায় না। খাবারের মধ্যে পেঁপে, বেগুন ও পালংশাক খেয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়।
advertisement
advertisement
অন্য চিঠিতে তিনি জেলে পাওয়া আচার ও মশলার কথাও উল্লেখ করেছেন। তবে তিনি চিঠিতে লিখেছেন, এখানে খাবারের জন্য যেসব উপাদান আসে তাতে বাঙালি ধাঁচের খাবার পাওয়া যায় না। তিনি বাঙালি খাবারের অনুরাগী ছিলেন। ডাল-ভাত, লুচি, দই ইত্যাদি ছিল তাঁর পছন্দের। তিনি প্রায়ই খাওয়ার পর কলা খেতেন। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, আমরা বাঙালি খাবার রান্না করি। কিন্তু এখানে বাঙালি খাবারের কিছুই পাওয়া যায় না।
advertisement
তিনি খিচুড়ির মতো খাবারও পছন্দ করতেন। আর প্রায়ই মুগ ডাল খেতেন। একবার তিনি জেলে পাওয়া চা সম্পর্কে তাঁর বড় ভাই শরৎচন্দ্র বসুকে একটি চিঠি লিখেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, দার্জিলিং চা কারাগারে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে। চিঠিতে তিনি লিখেছিলেন, এখানে তাঁকে যে চা দেওয়া হয় বা মিয়ানমারে আসে, তা ইংল্যান্ডের। সারা দিনে ৩০-৪০ কাপ চা পান করতে পারতেন নেতাজি।
advertisement