৩০-৪০ কাপ চা রোজ! ছানার পদ হলে কথাই নেই! আর কী কী খেতে ভালবাসতেন নেতাজি!

Last Updated:
Netaji Subhash Chandra Bose: নেতাজির মন ছটফট করত, তবু জেলে থাকায় বাঙালি খাবার বহুদিন ছুঁয়েও দেখতে পারেননি।
1/6
নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু অনেক জায়গায় তাঁর খাবারের কথা লিখেছেন। বাঙালি হওয়ায় বাঙালি খাবার ছিল তাঁর দুর্বলতা। প্রচুর চা পান করতেন। একইভাবে তিনি ছানার তৈরি যে কোনও খাবার পছন্দ করতেন। তবে স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় জেলে পরিবেশিত খাবারেই তাঁকে দীর্ঘদিন সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে।
নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু অনেক জায়গায় তাঁর খাবারের কথা লিখেছেন। বাঙালি হওয়ায় বাঙালি খাবার ছিল তাঁর দুর্বলতা। প্রচুর চা পান করতেন। একইভাবে তিনি ছানার তৈরি যে কোনও খাবার পছন্দ করতেন। তবে স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় জেলে পরিবেশিত খাবারেই তাঁকে দীর্ঘদিন সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে।
advertisement
2/6
নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু ১৯২৫ থেকে ১৯২৭ পর্যন্ত মায়ানমারের (বার্মা) মান্ডলা জেলে ছিলেন। তখন তিনি প্রায়ই বৌদি বিভাবতী বসুকে জেলের খাবারের কথা লিখতেন। সেসব চিঠিতে তিনি জানাতেন, কারাগারে কী ধরনের খাবার পান। শ্যালিকাকে লেখা বহু চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, জেলে ঠিকমতো ভাত বা খাবার পাওয়া যায় না। খাবারের মধ্যে পেঁপে, বেগুন ও পালংশাক খেয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়।
নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু ১৯২৫ থেকে ১৯২৭ পর্যন্ত মায়ানমারের (বার্মা) মান্ডলা জেলে ছিলেন। তখন তিনি প্রায়ই বৌদি বিভাবতী বসুকে জেলের খাবারের কথা লিখতেন। সেসব চিঠিতে তিনি জানাতেন, কারাগারে কী ধরনের খাবার পান। শ্যালিকাকে লেখা বহু চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, জেলে ঠিকমতো ভাত বা খাবার পাওয়া যায় না। খাবারের মধ্যে পেঁপে, বেগুন ও পালংশাক খেয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়।
advertisement
3/6
জেলে ভালো খাবারের ব্যবস্থা করার জন্য বিশেষ করে সরস্বতী পূজা, দোল ও দীপালীর সময় যাতে ভাল খাবার পরিবেশন করা হয় তা নিয়ে সুপারিনটেনডেন্টকে কিছু চিঠিও লিখেছিলেন সুভাষ চন্দ্র বসু। কীভাবে তিনি ও তার সঙ্গীরা ভাল খাবার রান্না করে পারেন তা নিয়েও লিখেছিলেন। তিনি রসগোল্লা ও চমচমের কথাও উল্লেথ করেছিলেন।
জেলে ভালো খাবারের ব্যবস্থা করার জন্য বিশেষ করে সরস্বতী পূজা, দোল ও দীপালীর সময় যাতে ভাল খাবার পরিবেশন করা হয় তা নিয়ে সুপারিনটেনডেন্টকে কিছু চিঠিও লিখেছিলেন সুভাষ চন্দ্র বসু। কীভাবে তিনি ও তার সঙ্গীরা ভাল খাবার রান্না করে পারেন তা নিয়েও লিখেছিলেন। তিনি রসগোল্লা ও চমচমের কথাও উল্লেথ করেছিলেন।
advertisement
4/6
অন্য চিঠিতে তিনি জেলে পাওয়া আচার ও মশলার কথাও উল্লেখ করেছেন। তবে তিনি চিঠিতে লিখেছেন, এখানে খাবারের জন্য যেসব উপাদান আসে তাতে বাঙালি ধাঁচের খাবার পাওয়া যায় না। তিনি বাঙালি খাবারের অনুরাগী ছিলেন। ডাল-ভাত, লুচি, দই ইত্যাদি ছিল তাঁর পছন্দের। তিনি প্রায়ই খাওয়ার পর কলা খেতেন। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, আমরা বাঙালি খাবার রান্না করি। কিন্তু এখানে বাঙালি খাবারের কিছুই পাওয়া যায় না।
অন্য চিঠিতে তিনি জেলে পাওয়া আচার ও মশলার কথাও উল্লেখ করেছেন। তবে তিনি চিঠিতে লিখেছেন, এখানে খাবারের জন্য যেসব উপাদান আসে তাতে বাঙালি ধাঁচের খাবার পাওয়া যায় না। তিনি বাঙালি খাবারের অনুরাগী ছিলেন। ডাল-ভাত, লুচি, দই ইত্যাদি ছিল তাঁর পছন্দের। তিনি প্রায়ই খাওয়ার পর কলা খেতেন। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, আমরা বাঙালি খাবার রান্না করি। কিন্তু এখানে বাঙালি খাবারের কিছুই পাওয়া যায় না।
advertisement
5/6
তিনি খিচুড়ির মতো খাবারও পছন্দ করতেন। আর প্রায়ই মুগ ডাল খেতেন। একবার তিনি জেলে পাওয়া চা সম্পর্কে তাঁর বড় ভাই শরৎচন্দ্র বসুকে একটি চিঠি লিখেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, দার্জিলিং চা কারাগারে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে। চিঠিতে তিনি লিখেছিলেন, এখানে তাঁকে যে চা দেওয়া হয় বা মিয়ানমারে আসে, তা ইংল্যান্ডের। সারা দিনে ৩০-৪০ কাপ চা পান করতে পারতেন নেতাজি।
তিনি খিচুড়ির মতো খাবারও পছন্দ করতেন। আর প্রায়ই মুগ ডাল খেতেন। একবার তিনি জেলে পাওয়া চা সম্পর্কে তাঁর বড় ভাই শরৎচন্দ্র বসুকে একটি চিঠি লিখেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, দার্জিলিং চা কারাগারে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে। চিঠিতে তিনি লিখেছিলেন, এখানে তাঁকে যে চা দেওয়া হয় বা মিয়ানমারে আসে, তা ইংল্যান্ডের। সারা দিনে ৩০-৪০ কাপ চা পান করতে পারতেন নেতাজি।
advertisement
6/6
জেলে একবার তাঁর জন্য ছানার পোলাও, ছানার কালিয়া, ধোকার ডালনার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেই কথাও চিঠিতে উল্লেখ করেছিলেন নেতাজি।
জেলে একবার তাঁর জন্য ছানার পোলাও, ছানার কালিয়া, ধোকার ডালনার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেই কথাও চিঠিতে উল্লেখ করেছিলেন নেতাজি।
advertisement
advertisement
advertisement