Mock Drill in India Explained: ৭ মে ‘যুদ্ধের সাইরেন’ কানে এলে আতঙ্কিত হবেন না, কী করা উচিত জেনে নিন বিশদে, সব প্রশ্নের উত্তর রইল এখানে
- Published by:Siddhartha Sarkar
- news18 bangla
Last Updated:
অনেকের মনেই ঘোরাফেরা করছে কেবল একটাই প্রশ্ন- তাহলে কি যুদ্ধের সম্ভাবনা নিকট ভবিষ্যতেই? প্রশ্ন অনেক, আর, তাকে কেন্দ্র করেই জন্ম নিতে পারে একাধিক গুজব। সেই সব গুজবে বিভ্রান্ত হওয়া কোনও মতেই উচিত হবে না। অতএব, ৭ মে, ২০২৫ তারিখে যদি হঠাৎ করেই একটা খুব জোর আওয়াজের এবং কিছুটা ভয় ধরানো সাইরেনের আওয়াজ শোনা যায়, তাহলে আতঙ্কিত হয়ে পড়লে চলবে না।
২২ এপ্রিল, ২০২৫ তারিখে জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে সন্ত্রাসবাদী হামলার জের যে বহু দূর গড়াতে চলেছে, তা বিশেষজ্ঞরা সঙ্গে সঙ্গেই অনুমান করে নিতে সক্ষম হয়েছিলেন। কেন না, বিষয় এই প্রথম নয়। এর আগেও উরি, পুলওয়ামায় আক্রমণ হয়েছে। এবারের ঘটনার দায়ও স্বীকার করেছে পাক জঙ্গি সংগঠন। নিয়ন্ত্রণ রেখা ধরে গুলি চালিয়েছে পাকিস্তান। আফগানিস্তান সীমান্ত থেকে সেনা এনে মোতায়েন করেছে ভারত-পাক বর্ডারে। তাদের সব সেনার ছুটিও বাতিল করে দিয়েছে প্রতিবেশী দেশ। ভারতেও এখন সেই যুদ্ধেরই আবহ। সমালোচক মহল সিন্ধু জল চুক্তি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত রাখাকে জল যুদ্ধের তকমা তো দিয়েই ফেলেছে! আটারি ওয়াঘা সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার মধ্যেও রয়েছে এক যুদ্ধকালীন তৎপরতা। ভারতের আকাশে পাক বিমানের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। আর এবার, হলেই বা মক ড্রিল, ৭ মে, ২০২৫ তারিখে দেশে বেজে উঠতে চলেছে ‘ওয়ার সাইরেন’। (Representative Image/AI)
advertisement
খুব স্বাভাবিক ভাবেই এই পরিস্থিতি আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করেছে দেশ জুড়ে। অনেকের মনেই ঘোরাফেরা করছে কেবল একটাই প্রশ্ন- তাহলে কি যুদ্ধের সম্ভাবনা নিকট ভবিষ্যতেই? প্রশ্ন অনেক, আর, তাকে কেন্দ্র করেই জন্ম নিতে পারে একাধিক গুজব। সেই সব গুজবে বিভ্রান্ত হওয়া কোনও মতেই উচিত হবে না। অতএব, ৭ মে, ২০২৫ তারিখে যদি হঠাৎ করেই একটা খুব জোর আওয়াজের এবং কিছুটা ভয় ধরানো সাইরেনের আওয়াজ শোনা যায়, তাহলে আতঙ্কিত হয়ে পড়লে চলবে না। (Photo: AP)
advertisement
সব সময়ে মনে রাখতে হবে যে, এটি কোনও জরুরি পরিস্থিতি নয়, বরং একটি মক ড্রিল, অর্থাৎ যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার একটি অনুশীলন। এই সময়কালে ওয়ার সাইরেন বাজবে যা মানুষকে যুদ্ধ বা বিমান হামলার মতো পরিস্থিতিতে কী করতে হবে তা জানাবে। ১৯৭১ সালের যুদ্ধের পর এই প্রথম ভারত সরকার এমন একটি মক ড্রিলের নির্দেশ দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে, সবার জন্যই এটা জানা গুরুত্বপূর্ণ- এই সাইরেন আসলে কী? এগুলো কোথায় লাগানো হয়? এগুলো কেমন শুনতে হয়? কতদূর পর্যন্ত শোনা যায় তার আওয়াজ? আর যখন এটি বাজে, তখন নাগরিকের কী করা উচিত? এখানে এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর রইল! (File Photo)
advertisement
ওয়ার সাইরেন কোথায় ইনস্টল করা হয়ে থাকে?- এই সাইরেনগুলো সাধারণত প্রশাসনিক ভবন, পুলিশ সদর দফতর, ফায়ার স্টেশন, সামরিক ঘাঁটি এবং শহরের জনাকীর্ণ এলাকায় উঁচু কোনও জায়গায় ইনস্টল করা হয়। উদ্দেশ্য হল সাইরেনের শব্দ যতদূর সম্ভব পৌঁছানো। বিশেষ করে দিল্লি-নয়ডার মতো বড় শহরগুলিতে সংবেদনশীল এলাকায় এগুলো স্থাপন করা হতে পারে। শুধু তা-ই নয়, এটি দেশের প্রতিটি শহরেও ইনস্টল করা হতে পারে। (Photo: AP)
advertisement
advertisement
এর শব্দ কেমন, এটি কত দূর পর্যন্ত যেতে পারে?- যুদ্ধের সাইরেনের শব্দ অত্যন্ত জোরে হয়। সাধারণত এটি ২-৫ কিলোমিটার পর্যন্ত শোনা যায়। শব্দের মধ্যে একটি চক্রাকার ধরন রয়েছে। অর্থাৎ, এটি ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায়, তারপর হ্রাস পায় এবং এই ক্রম কয়েক মিনিট ধরে চলতে থাকে। একটি অ্যাম্বুলেন্সের সাইরেন যেখানে ১১০-১২০ ডেসিবেল শব্দ করে, সেখানে একটি যুদ্ধ সাইরেন ১২০-১৪০ ডেসিবেল শব্দ করে। (Photo: AP)
advertisement
ভারতে প্রথম কবে ওয়ার সাইরেন বেজে ওঠে?- ভারতে, ১৯৬২ সালের চিন যুদ্ধ, ১৯৬৫ সালের ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ এবং ১৯৭১ সালের ভারত পাকিস্তান যুদ্ধের সময় ওয়ার সাইরেন ব্যবহার করা হয়েছিল। সেই সময়ে দিল্লি, মুম্বই, কলকাতা এবং অমৃতসরের মতো শহরে এই সাইরেনগুলি বিশেষভাবে ইনস্টল করা হয়েছিল। এছাড়াও, কার্গিল যুদ্ধের সময় সীমান্তবর্তী এলাকায় এগুলো ব্যবহার করা হয়েছিল। (Photo: AP)
advertisement
সাইরেন বাজলে কী করা উচিত?- সাইরেন বাজানোর অর্থ হল লোকজনকে অবিলম্বে নিরাপদ স্থানে চলে যেতে হবে। কিন্তু তা বলে মক ড্রিলের সময় আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। খোলা জায়গা থেকে দূরে থাকতে হবে। নিজের ঘর বা নিরাপদ কোনও বাড়ির ভিতরে চলে যেতে হবে। টিভি, রেডিও এবং সরকারি সতর্কতাবার্তার প্রতি মনোযোগ দিতে হবে। গুজব এড়িয়ে চলতে হবে এবং প্রশাসনের নির্দেশাবলী অনুসরণ করতে হবে। (Photo: AP)