Travel: চেনা তবু চেনা নয়... এই শীতেই ঘুরে আসুন কলকাতার চেনা-অচেনা জায়গা গুলোয়...
- Published by:Soumendu Chakraborty
- news18 bangla
Last Updated:
কলকাতায় পারদ পতন জারি আছে। দিনে বেরোলেও সেই গরম আর নেই। বরং উত্তুরে হাওয়ার দাপটে, রোদ মেখে অনেকেরই মন চাইছে ঘুরে বেড়াতে।
কলকাতায় পারদ পতন জারি আছে। দিনে বেরোলেও সেই গরম আর নেই। বরং উত্তুরে হাওয়ার দাপটে, রোদ মেখে অনেকেরই মন চাইছে ঘুরে বেড়াতে। তা হলে দেরি না করে বেরিয়ে পড়ুন। এই বেলায় চেনা কলকাতার আনাচকানাচ আরও এক বার ঘুরে নিন। ভিক্টোরিয়া, আলিপুর চিড়িয়াখানা, জাদুঘরের ভিড় এড়াতে চাইলে বেছে নিতে পারেন এই শহরেরই অন্য কয়েকটি জায়গা। প্রতীকী ছবি
advertisement
মার্বেল প্যালেস: কলকাতার বুকে রয়েছে এমন অনেক প্রসিদ্ধ রাজবাড়ি। তেমনই এক অসাধারণ স্থাপত্যের নিদর্শন মিলবে মার্বেল প্যালেসে গেলে। জোড়াসাঁকোর কাছে মুক্তারাম বাবু স্ট্রিটে রয়েছে এই প্রাসাদ। ১৮৩৫ সালে রাজা রাজেন্দ্র মল্লিক এই প্রাসাদটি তৈরি করেন। শিল্পরসিক রাজেন মল্লিকের আর্ট গ্যালারিও আছে এখানে। দেওয়ালে হাডসনের দেড়শো বছর আগের তৈলচিত্র মুগ্ধ করবে। মার্বেল প্যালেসের সেরা আকর্ষণ হল এখানকার চিড়িয়াখানা ও পক্ষীশালা। বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ও হরিণের দেখা মিলবে সেখানে। প্রাসাদোপম এই বাড়ির নীচের তলায় রয়েছে সংগ্রহশালা। বিশাল বিশাল ফুলদানি থেকে ঝাড়লণ্ঠন, মূর্তি সংরক্ষিত রয়েছে।
advertisement
advertisement
হরিণালয়: আলিপুর চিড়িয়াখানা ঘোরা হয়ে গিয়েছে। এ বছরের শীতে ঘুরে আসুন নিউটাউন ইকো পার্কের মিনি জ়ু থেকে। নামে ‘হরিণালয়’ হলেও, এখানে রয়েছে কুমির, জ়েব্রা, জিরাফ, জলহস্তী থেকে শুরু করে দেশি-বিদেশি পশু-পক্ষী। এখানে এমন অনেক বন্যপ্রাণীর দেখা মিলবে, যেগুলি আলিপুর চিড়িয়াখানায় নেই। ১২.৫ হেক্টর জুড়ে ছড়ানো জায়গাটিতে প্রথমেই নজর কাড়বে এখানকার সুসজ্জিত আবহ। ঝকঝকে রাস্তা, ফুলের বাহার আর রয়েছে মানানসই ক্যাফে। পরবর্তী কালে এখানে বাঘ, সিংহ, চিতাবাঘও আনার পরিকল্পনা রয়েছে। ঘুরে নিতে পারেন ইকো পার্কের সপ্তম আশ্চর্য, চাপতে পারেন টয় ট্রেনেও।
advertisement
advertisement
এয়ারক্র্যাফট মিউজিয়াম: কলকাতার নিউ টাউনে রয়েছে এয়ারক্র্যাফট মিউজিয়াম। গোটা ভারতবর্ষে এই ধরনের সংগ্রহশালা রয়েছে মাত্র দু'টি। প্রথমটি রয়েছে বিশাখাপত্তনমে, এবং দ্বিতীয়টি কলকাতায়। এখানে রাখা হয়েছে ২৯ বছরের পুরনো অবসরপ্রাপ্ত যুদ্ধবিমান, টি-ইউ ১৪২। দৈর্ঘ্যে ৫৩ মিটার এবং প্রস্থে ৫০ মিটার বিমানটির ওজন ১৮৫ টন। ভারতীয় নৌসেনার তত্ত্বাবধানে সেটি তামিলনাড়ু থেকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। সংগ্রহশালাটি তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব রয়েছে হিডকো। প্রতীকী ছবি
advertisement
advertisement
ফোর্ট উইলিয়ামের পাশ দিয়ে বহু বার গেলেও কখনও তা ঘুরে দেখা হয়নি? এই বছর পরিকল্পনা করে ফেলুন। তবে চাইলেই ফোর্ট উইলিয়াম ঘুরে দেখা যায় না। আগাম অনুমতি প্রয়োজন হয়। ছবি তোলার ব্যাপারেও নিষেধাজ্ঞা থাকে। শহরের ভিতর আর একটি শহর দেখতে কলকাতার হেরিটেজ ওয়াকের সঙ্গী হতে হবে। ইমেল করে নির্ধারিত অর্থ, তথ্য দিয়ে বুকিং করে করতে হবে। একসঙ্গে ১৫-১৬ জন হলে তবেই স্লট বুকিং হয়। নিয়ে যেতে হয় পরিচয়পত্র। প্রতীকী ছবি
advertisement
প্রিন্সেপ ঘাট: শীতের পড়ন্ত বিকালে নৌকায় ভেসে দ্বিতীয় হুগলি সেতু, গঙ্গার বুকে সূর্যাস্তের শোভা দেখতে চাইলে একটা দিন চলে যান প্রিন্সেপ ঘাট। সন্ধ্যার পর সেই ঘাটের আমেজ একেবারে ভিন্ন। ভিড়ভাট্টা যতই থাক, গঙ্গার পারে বন্ধুবান্ধব মিলে আড্ডা দিতে মন্দ লাগবে না। তার সঙ্গেই পেয়ে যাবেন রকমারি খাবার। এই স্থান ১৮৪১ সালে কলকাতায় হুগলি নদীর তীরে, ব্রিটিশ শাসনকাল পণ্ডিত জেমস প্রিন্সেপের স্মরণে নির্মিত হয়েছিল। প্রতীকী ছবি