• কৌশিকী অমাবস্যা অন্য সমস্ত অমাবস্যার থেকে একটু আলাদা। কারণ তন্ত্রমতে ও শাস্ত্রমতে ভাদ্র মাসের এই তিথিটি একটু বিশেষ ৷ কারণ অনেক কঠিন ও গুহ্য সাধনায় এই দিনে আশাতীত ফল মেলে ৷ এই দিন সাধকরা কুন্ডলিনী চক্রকে জয় করে ৷ বৌদ্ধ ও হিন্দুতন্ত্রে এই দিনের এক বিশেষ মহাত্ম্য আছে, তন্ত্রমতে এই রাতকে তারারাত্রি বলা হয় ৷ এই রাতের একটি বিশেষ মুহূর্তে স্বর্গ ও নরকের মাঝের দুয়ার উন্মুক্ত হয়, সেই সময় সাধক নিজের ইচ্ছা মতো ধ্বনাত্মক অথবা ঋণাত্মক শক্তি নিজের সাধনার মধ্যে আত্মস্থ করে, ও সিদ্ধি লাভ করে। ছবি: News18 Bangla
• মা কৌশিকীর জন্মেরও একটা ইতিহাস রয়েছে ৷ মহাসরস্বতী দেবীর কাহিনীতে বলা আছে, পুরাকালে একবার শুম্ভ ও নিশুম্ভ কঠিন সাধনা করে ব্রহ্মাকে তুষ্ট করে ৷ চতুরানন তাদের বর প্রদান করেন যে, কোনো পুরুষ তাদের বধ করতে পারবে না ৷ শুধুমাত্র কোনও অ-যোনি সম্ভূত নারী তাদের বধ করতে পারবে অর্থাৎ এমন এক নারী যে কোনো মাতৃগর্ভ থেকে উৎপন্ন হয়নি ৷ তার হাতেই এই দুই অসুর ভাই এর মৃত্যু হবে ৷ ছবি: News18 Bangla
• পৃথিবীতে এমন নারী কোথায়? এমনকি আদ্যাশক্তি মহামায়াও মানকা রানির গর্ভে জন্ম নিয়েছেন ৷ তাই তিনিও ওদের নাশ করতে পারবেন না ৷ তবে কি উপায়? পূর্বজন্মে পার্বতী যখন সতী রূপে দক্ষযজ্ঞস্থলে আত্মাহুতি দেন, তখন এই জন্মে তাঁর গাত্র বর্ণ কালো মেঘের মতো হয় ৷ তাই ভোলানাথ আদর করে তাকে কালিকা বলে ডাকতেন। ছবি: News18 Bangla
• একদিন দানব ভাইদের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে দেবতারা যখন ক্লান্ত হয়ে কৈলাশে আশ্রয় নিলেন, শিব তখন সব দেবতাদের সামনেই পার্বতীকে বললেন “কালিকা, তুমি ওদের উদ্ধার করো ৷” সবার সামনে কালী বলে ডাকাতে পার্বতী অত্যন্ত ক্ষুব্ধ, অপমানিত ও ক্রোধিত মনে মানস সরোবের ধারে কঠিন তপস্যা করলেন ৷ তপস্যা শেষে শীতল মানস সরোবর এর জলে স্নান করে নিজের দেহের সব কালো কোশিকা পরিত্যাগ করলেন ৷ এরপর পার্বতীর গাত্রবর্ণ হল পূর্নিমার চাঁদের মতো ৷ ছবি: News18 Bangla