Knowledge News: পৃথিবী থেকে কি জল শুষে নিচ্ছে চাঁদ?

Last Updated:
চাঁদের জল নিয়ে একটি নতুন গবেষণায় জানা গিয়েছে যে এই জল আসলে পৃথিবীর। গবেষকরা বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করেছেন কীভাবে পৃথিবীর আয়নোস্ফিয়ার থেকে জলের আয়ন দূরবর্তী মহাকাশে চুম্বকমণ্ডল পার করে চাঁদের পৃষ্ঠে পৌঁছায়।
1/7
•চাঁদে জল রয়েছে(Water on Moon), এই তথ্য নিশ্চিত। ২০০৮-এ ভারতের চন্দ্রযান মিশন প্রথম জানায় চাঁদে জলের উপস্থিতির কথা । এই নিয়ে বিস্তর গবেষণা হয়েছিল, কিন্তু চাঁদে জল কোথা থেকে এসেছে তা জানা যায়নি৷ অর্থাৎ জলের উৎস কী(Source of Water), তা জানা যায়নি। কিন্তু নতুন এক গবেষণায় এর উত্তর পাওয়া গিয়েছে। জানা যাচ্ছে চাঁদে যে জল রয়েছে তা এসেছে পৃথিবী  (Earth) থেকেই। শুধু তাই নয়, এই গবেষণায় আরও দেখা গিয়েছে যে পৃথিবী থেকে চাঁদে এখনও জল যাচ্ছে! (ছবি:  shutterstock)
•চাঁদে জল রয়েছে(Water on Moon), এই তথ্য নিশ্চিত। ২০০৮-এ ভারতের চন্দ্রযান মিশন প্রথম জানায় চাঁদে জলের উপস্থিতির কথা । এই নিয়ে বিস্তর গবেষণা হয়েছিল, কিন্তু চাঁদে জল কোথা থেকে এসেছে তা জানা যায়নি৷ অর্থাৎ জলের উৎস কী(Source of Water), তা জানা যায়নি। কিন্তু নতুন এক গবেষণায় এর উত্তর পাওয়া গিয়েছে। জানা যাচ্ছে চাঁদে যে জল রয়েছে তা এসেছে পৃথিবী (Earth) থেকেই। শুধু তাই নয়, এই গবেষণায় আরও দেখা গিয়েছে যে পৃথিবী থেকে চাঁদে এখনও জল যাচ্ছে! (ছবি: shutterstock)
advertisement
2/7
•আলাস্কা ফেয়ারব্যাঙ্কস জিওফিজিক্যাল ইনস্টিটিউট বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের নেতৃত্বে এই গবেষণায় ইঙ্গিত মিলেছে যে চাঁদের জল পৃথিবীর উচ্চ বায়ুমণ্ডল থেকে হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন আয়ন নিয়ে চাঁদে পৌঁছায়। চাঁদে যে জল রয়েছে, তার মূল উৎস কী, সেটা জানতে আলাস্কা বিশ্ববিদ্যালয়ের গুন্টার কোচেসকার নেতৃত্বে এই গবেষণাটি হচ্ছে৷ চাঁদের উত্তর ও দক্ষিণ মেরুতে জলের চিহ্ন মিলেছে৷ (ছবি: Wikimedia Commons)
•আলাস্কা ফেয়ারব্যাঙ্কস জিওফিজিক্যাল ইনস্টিটিউট বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের নেতৃত্বে এই গবেষণায় ইঙ্গিত মিলেছে যে চাঁদের জল পৃথিবীর উচ্চ বায়ুমণ্ডল থেকে হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন আয়ন নিয়ে চাঁদে পৌঁছায়। চাঁদে যে জল রয়েছে, তার মূল উৎস কী, সেটা জানতে আলাস্কা বিশ্ববিদ্যালয়ের গুন্টার কোচেসকার নেতৃত্বে এই গবেষণাটি হচ্ছে৷ চাঁদের উত্তর ও দক্ষিণ মেরুতে জলের চিহ্ন মিলেছে৷ (ছবি: Wikimedia Commons)
advertisement
3/7
•চাঁদে জলের আবিষ্কার, মহাকাশ গবেষকদের কাছে অত্যন্ত উৎসাহজনক তথ্য বলে বিবেচিত৷ আমেরিকা, ইউরোপ ও চিন তাদের যাত্রীদের চাঁদে পাঠানোর প্রস্তুতি নিয়েছে বহু বছর ধরে। চাঁদের জলের প্রমাণ, নভশ্চরদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য৷ বহু দেশ মঙ্গল মিশনের জন্য চাঁদে ঘাঁটি তৈরি করতে চায়। নাসার আর্টেমিস মিশন চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে তাদের বেস ক্যাম্পও তৈরি করবে বলে জানা গিয়েছে। কোচস্কা উল্লেখ করেছেন যে বহু বছর আগে পৃথিবীতে উদ্ভূত জলের আয়নগুলি এখন চাঁদে উপস্থিত থাকায়, চাঁদে অভিযানকারীদের সুবিধা হতে পারে৷ (ছবি: NASA)
•চাঁদে জলের আবিষ্কার, মহাকাশ গবেষকদের কাছে অত্যন্ত উৎসাহজনক তথ্য বলে বিবেচিত৷ আমেরিকা, ইউরোপ ও চিন তাদের যাত্রীদের চাঁদে পাঠানোর প্রস্তুতি নিয়েছে বহু বছর ধরে। চাঁদের জলের প্রমাণ, নভশ্চরদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য৷ বহু দেশ মঙ্গল মিশনের জন্য চাঁদে ঘাঁটি তৈরি করতে চায়। নাসার আর্টেমিস মিশন চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে তাদের বেস ক্যাম্পও তৈরি করবে বলে জানা গিয়েছে। কোচস্কা উল্লেখ করেছেন যে বহু বছর আগে পৃথিবীতে উদ্ভূত জলের আয়নগুলি এখন চাঁদে উপস্থিত থাকায়, চাঁদে অভিযানকারীদের সুবিধা হতে পারে৷ (ছবি: NASA)
advertisement
4/7
•নতুন গবেষণায়, এটি অনুমান করা হয়েছে যে চাঁদের কাছে ৩৫০০ কিউবিক কিলোমিটার জল পৃষ্ঠের উপর বরফ আকারে বা পৃষ্ঠের নীচে জলের আকারে উপস্থিত রয়েছে। যা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল থেকে আসা আয়ন দিয়ে তৈরি। এই গবেষণার কিছু তথ্য নিয়ে প্রকাশিত একটি রিপোর্টে মনে করা হচ্ছে যে, জল রয়েছে এমন সব জায়গা ভবিষ্যতে গবেষণার কাজ বা সাময়িক থাকার ব্যবস্থার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে৷ এর উপর আরও অনুসন্ধানের সুযোগও থাকছে৷ (ছবি: NASA)
•নতুন গবেষণায়, এটি অনুমান করা হয়েছে যে চাঁদের কাছে ৩৫০০ কিউবিক কিলোমিটার জল পৃষ্ঠের উপর বরফ আকারে বা পৃষ্ঠের নীচে জলের আকারে উপস্থিত রয়েছে। যা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল থেকে আসা আয়ন দিয়ে তৈরি। এই গবেষণার কিছু তথ্য নিয়ে প্রকাশিত একটি রিপোর্টে মনে করা হচ্ছে যে, জল রয়েছে এমন সব জায়গা ভবিষ্যতে গবেষণার কাজ বা সাময়িক থাকার ব্যবস্থার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে৷ এর উপর আরও অনুসন্ধানের সুযোগও থাকছে৷ (ছবি: NASA)
advertisement
5/7
•গবেষণায় বলা হয়েছে যে হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন আয়নগুলি পৃথিবীর চৌম্বকমণ্ডলের গোড়ায় আটকে পৃথিবী থেকে চাঁদে পৌঁছয়৷ পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র থেকে ম্যাগনেটোস্ফিয়ার তৈরি হয়, যা মহাকাশ থেকে আসা ক্ষতিকারক চার্জযুক্ত কণার বিকিরণ থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করে। (ছবি: Wikimedia Commons)
•গবেষণায় বলা হয়েছে যে হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন আয়নগুলি পৃথিবীর চৌম্বকমণ্ডলের গোড়ায় আটকে পৃথিবী থেকে চাঁদে পৌঁছয়৷ পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র থেকে ম্যাগনেটোস্ফিয়ার তৈরি হয়, যা মহাকাশ থেকে আসা ক্ষতিকারক চার্জযুক্ত কণার বিকিরণ থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করে। (ছবি: Wikimedia Commons)
advertisement
6/7
•NASA এবং ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার গবেষণায় ইতিমধ্যেই প্রকাশ করা হয়েছে যে ম্যাগনেটোস্ফেয়ার এই অংশের মধ্য দিয়ে চাঁদের উত্তরণের সময় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে জলে আয়ন উপস্থিত থাকে। চাঁদের ম্যাগনেটোস্ফিয়ারের এই উপস্থিতিকে ম্যাগনেটোটেল বলা হয়। এটি কিছু সময়ের জন্য পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র রেখাকে প্রভাবিত করে। চাঁদ যখন এই জায়গায় অবস্থান করে, তখন এই ভাঙা ফিল্ড লাইনগুলি যুক্ত হয় এবং এমন পরিস্থিতিতে হাইড্রোজেন অক্সিজেন আয়নগুলি পৃথিবীতে ফিরে আসতে শুরু করে৷ তখন চাঁদের সাথে সংঘর্ষে তাপমাত্রা কমে জল জমতে শুরু করে। (ছবি: @NASA_Marshall)
•NASA এবং ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার গবেষণায় ইতিমধ্যেই প্রকাশ করা হয়েছে যে ম্যাগনেটোস্ফেয়ার এই অংশের মধ্য দিয়ে চাঁদের উত্তরণের সময় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে জলে আয়ন উপস্থিত থাকে। চাঁদের ম্যাগনেটোস্ফিয়ারের এই উপস্থিতিকে ম্যাগনেটোটেল বলা হয়। এটি কিছু সময়ের জন্য পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র রেখাকে প্রভাবিত করে। চাঁদ যখন এই জায়গায় অবস্থান করে, তখন এই ভাঙা ফিল্ড লাইনগুলি যুক্ত হয় এবং এমন পরিস্থিতিতে হাইড্রোজেন অক্সিজেন আয়নগুলি পৃথিবীতে ফিরে আসতে শুরু করে৷ তখন চাঁদের সাথে সংঘর্ষে তাপমাত্রা কমে জল জমতে শুরু করে। (ছবি: @NASA_Marshall)
advertisement
7/7
•কোচস্কা বলেছেন যে এটি চাঁদে এক ধরণের বৃষ্টি। এই বৃষ্টির জলের আয়নগুলি পৃথিবীতে ফিরে আসে এবং আসার পথে চাঁদের পৃষ্ঠে পড়ে। চাঁদের পৃষ্ঠে জমে থাকা জল বা বরফে পরিণত এলাকা নিয়ে আরও গবেষণা হচ্ছে৷ এই জল, জীবনে যাপনে সাহায্য করতে পারে কি না, সেটা নিয়েই ভবিষ্যৎ গবেষণা হবে৷ (ছবি: Pixabay)
•কোচস্কা বলেছেন যে এটি চাঁদে এক ধরণের বৃষ্টি। এই বৃষ্টির জলের আয়নগুলি পৃথিবীতে ফিরে আসে এবং আসার পথে চাঁদের পৃষ্ঠে পড়ে। চাঁদের পৃষ্ঠে জমে থাকা জল বা বরফে পরিণত এলাকা নিয়ে আরও গবেষণা হচ্ছে৷ এই জল, জীবনে যাপনে সাহায্য করতে পারে কি না, সেটা নিয়েই ভবিষ্যৎ গবেষণা হবে৷ (ছবি: Pixabay)
advertisement
advertisement
advertisement