Hypersonic Missile 3X: ভারতের নতুন হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ET-LDHCM, BrahMos-এর চেয়ে ৩ গুণ দ্রুত, অধিক পাল্লার, আরও মারাত্মক নির্ভুল ক্ষমতাসম্পন্ন
- Published by:Siddhartha Sarkar
Last Updated:
India’s New Hypersonic Missile 3X Faster Than BrahMos: এক্সটেন্ডেড ট্র্যাজেক্টরি লং ডিউরেশন হাইপারসনিক মিসাইল (ET-LDHCM) ভারতের যুদ্ধকৌশলগত সুবিধা বৃদ্ধি করবে, বিশেষ করে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষেত্রে এবং চিনের প্রভাবের ভারসাম্য বজায় রাখার ক্ষেত্রে।
ইরান-ইজরায়েল সংঘাত চলছেই। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যেও উত্তেজনা ক্রমবর্ধমান। বিশ্বব্যাপী এই ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধির মধ্যে ভারত তার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আধুনিকীকরণের প্রচেষ্টা জোরদার করছে। BrahMos, অগ্নি-৫ এবং আকাশ ক্ষেপণাস্ত্রের পরে এবার প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (ডিআরডিও) এখন বিষ্ণু প্রকল্পের অধীনে পরবর্তী প্রজন্মের ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। বলা হচ্ছে যে নতুন এই হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র BrahMos-এর ক্ষমতাকেও ছাপিয়ে যাবে , নতুন এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ভারতকে হাইপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি বিকাশকারী নির্বাচিত কয়েকটি দেশের মধ্যে স্থান দিতে পারে। (Representative/AP)
advertisement
এই প্রকল্পের অধীনে তৈরি এক্সটেন্ডেড ট্র্যাজেক্টরি লং ডিউরেশন হাইপারসনিক মিসাইল (ET-LDHCM) ভারতের যুদ্ধকৌশলগত সুবিধা বৃদ্ধি করবে, বিশেষ করে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষেত্রে এবং চিনের প্রভাবের ভারসাম্য বজায় রাখার ক্ষেত্রে। BrahMos-এর সঙ্গে এর তুলনা কেন চলছে? সম্পূর্ণরূপে দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি ET-LDHCM হাইপারসনিক গতিতে বর্ধিত পরিসরে নির্ভুল আঘাত হানতে সক্ষম, যা এটিকে BrahMos-এর তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি মারাত্মক করে তোলে। এয়ার-ব্রেথিং ধারণার উপর ভিত্তি করে একটি অত্যাধুনিক স্ক্র্যামজেট ইঞ্জিন দিয়ে সজ্জিত এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ঘূর্ণায়মান কম্প্রেসারের পরিবর্তে দহনের জন্য বায়ুমণ্ডলীয় অক্সিজেন ব্যবহার করে, যা প্রচলিত সিস্টেমের তুলনায় অনেক বেশি গতি এনে দেয়। ম্যাক-৮ (প্রায় ১১,০০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা) গতিতে পৌঁছতে সক্ষম ET-LDHCM কয়েক মিনিটের মধ্যেই দূরবর্তী লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। তুলনামূলকভাবে, BrahMos ম্যাক-৩ বা প্রায় ৩,৬৭৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে ভ্রমণ করে। (Representative Image)
advertisement
গতি, পরিসীমায় BrahMos-কে ছাড়িয়ে গিয়েছে: গতি এবং পাল্লা উভয় দিক থেকেই ET-LDHCM বর্তমান BrahMos-এর চেয়ে এগিয়ে। প্রাথমিকভাবে, ব্রহ্মোসের পাল্লা ছিল ২৯০ কিলোমিটার, যা পরে ৪০০-৪৫০ কিলোমিটারে উন্নীত করা হয়। এদিকে, ET-LDHCM-এর পাল্লা ১,৫০০ কিলোমিটার, যা নাগালের দিক থেকে BrahMos-এর চেয়ে তিনগুণ বেশি শক্তিশালী। (Representative Image)
advertisement
ET-LDHCM ১,০০০ থেকে ২,০০০ কেজি ওজনের ওয়ারহেড বহন করতে সক্ষম। এই উন্নত ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রচলিত এবং পারমাণবিক উভয় ধরনের ওয়ারহেড দিয়ে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে পারে। এটি DRDO দ্বারা এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে এটি কম উচ্চতায় উড়তে পারে, যা সহজেই রাডার শনাক্তকরণ এড়াতে সাহায্য করে। স্থল, আকাশ বা সমুদ্র থেকে আঘাত হানতে পারে: ET-LDHCM-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল অপারেশনাল নমনীয়তা। এটি যে কোনও জায়গা থেকে উৎক্ষেপণ করা যেতে পারে, স্থল, আকাশ বা সমুদ্র, যা ভারতের কৌশলগত পরিসীমাকে আরও শক্তিশালী করে। (Representative Image)
advertisement
প্রচলিত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের বিপরীতে ET-LDHCM এলাকার ভৌগোলিক অবস্থার সঙ্গেও খাপ খাইয়ে নিতে পারে এবং উড়ানের মাঝখানে এর পথও পরিবর্তন করতে পারে। এই ক্ষমতা এটিকে শত্রু ঘাঁটিগুলিকে সুনির্দিষ্টভাবে ধ্বংস করার ক্ষমতা দেয়। ঘণ্টায় ১১,০০০ কিলোমিটার গতি এবং ১,৫০০ কিলোমিটার পাল্লার ফলে ET-LDHCM BrahMos-এর চেয়ে আরও শক্তিশালী তো বটেই!(Representative Image)
advertisement
২০০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসেও কাজ করে: রেঞ্জ এবং গতি ছাড়াও চরম তাপমাত্রা সহ্য করার ক্ষমতা যে কোনও ক্ষেপণাস্ত্র বা যুদ্ধবিমানের কার্যকারিতা নির্ধারণের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ET-LDHCM তীব্র তাপ পরিস্থিতিতেও কাজ করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এটি ২০০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে সক্ষম বলে জানা গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত শুধুমাত্র রাশিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চিন এই ধরনের প্রযুক্তি তৈরি করেছে। ET-LDHCM-এর সফল পরীক্ষা ভারতকে এই অভিজাত দেশগুলির মধ্যে স্থান দেবে। (Photo: AFP)