King Cobra: হঠাৎ সামনে যদি 'কিং কোবরা' চলে আসে? ভয় না পেয়ে মানুন এই পাঁচ মন্ত্র

Last Updated:
বর্ষাকাল চলছে আর এই বর্ষাকাল মানেই সাপের উপদ্রব। গ্রাম-গঞ্জে বিশেষ করে সাপের উপদ্রব মারাত্মক পরিমাণে বেড়েছে।
1/8
অতীতের অভিজ্ঞতা বলছে, অনেক সময়ে সাপে কামড়ানোর পরে রোগীকে আগে ওঝার কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। ফলে সময় নষ্ট হয় এবং রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। তাই দ্রুত প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতর বারবার মানুষকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বর্ষাকাল চলছে আর এই বর্ষাকাল মানেই সাপের উপদ্রব। গ্রাম-গঞ্জে বিশেষ করে সাপের উপদ্রব মারাত্মক পরিমাণে বেড়েছে।
advertisement
2/8
মনে করা হয়, সাপুড়ে যখন সাপ ধরেন, তখন তারা তার দাঁত ভেঙে তার বিষ শেষ করে দেন। এরপর সাপ থেকে আর কোনো বিপদ থাকে না—এমন বিশ্বাস বহু বছর ধরে চালু আছে। কিন্তু আসল সত্য হলো, সাপুড়ে ধরা বিষধর সাপের বিষ অন্যভাবে বের করেন। বিষধর সাপ বা গোখরা নিয়ে ঘোরা সাপুড়ে আসলে কী করেন, যাতে সাপের বিষ চলে যায় এবং তার কামড়ে বিষ প্রবেশের কোনো আশঙ্কা না থাকে?
গ্রামের খেত, খামারে, নদীতে, পুকুরে, জঙ্গলে প্রবল সাপের উৎপাত বেড়ে যায়। এই সময় বিশেষ করে গোখরো সাপের উপদ্রব বেশি পরিমাণে দেখা যায়।
advertisement
3/8
জানেন এমন দেশও আছে যেখানে একটাও সাপ নেই? শুনে চমকে উঠছেন নিশ্চয়ই! কিন্তু সেরকমই দেশের নাম জেনে নিতে পারেন আজ এই প্রতিবেদনে। চলুন এই প্রতিবেদনে জেনে নেওয়া যাক সেই দেশ এমনই বা কেন?
কিন্তু, কিছু সহজ উপায় শঙ্খচূড় সাপ থেকে রেহাই পাওয়া যায়। দেখে নেওয়া যাক কোন কোন সহজ উপায় অবলম্বন করলে এই বিষাক্ত সাপ থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
advertisement
4/8
*নাগ পঞ্চমী ও সাপের পুজোঃ শেতপালে সাপের প্রতি শ্রদ্ধার সবচেয়ে বড় প্রদর্শন নাগ পঞ্চমীর সময় ঘটে। এই উৎসবটি শ্রাবণ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চম দিনে উদযাপিত হয়, যা জুলাই বা অগাস্ট মাসে পড়ে। এইদিনে গ্রামবাসীরা সাপকে দুধ, মিষ্টি এবং ফুল নিবেদন করে। সাপ এবং জীবন্ত সাপের মূর্তি পুজো করা হয় এবং লোকেরা তাদের কাছ থেকে আশীর্বাদ চায়।
১ যদি আপনি কোনও গোখরো সাপ দেখেন তাহলে একদমই চিৎকার চেঁচামেচি করবেন না। শান্ত থাকবেন। সাপকে চলে যাওয়ার পর্যাপ্ত জায়গা দিন।
advertisement
5/8
দুঃখের বিষয় হল যে তথ্যের অভাবে মানুষ এটিকে বিষাক্ত কমন ক্রেইট ভেবে বসে এবং দেখলেই পিষে মেরে ফেলে। এইভাবে বিষহীন হওয়া সত্ত্বেও উলফ স্নেক বিনা কারণে মারা যায়। এই কারণেই এটিকে বিশ্বের সবচেয়ে দুর্ভাগা সাপও বলা হয়।
গোখরো সাপকে বস্তায় ভরার চেষ্টা করবেন না বা কোনও বাক্সে ভরার চেষ্টা করবেন না। তা আপনার জন্য ভয়ের হতে পারে।
advertisement
6/8
মুখের মধ্যে জিভ ঢুকিয়ে নেওয়ার পরে সেটি মুখ গহ্বরের ছাদে আটকে থাকে৷ এই বিশেষ ঘ্রাণেন্দ্রিয়কে বলে vomeronasal system৷ এই ধরনের জিহ্বাকে বলা হয় vomeronasal organ৷ সাপ ছাড়াও ঘোড়া, বিড়াল, কুকুরও এভাবে ঘ্রাণ গ্রহণে অভ্যস্ত৷
কোনওভাবেই সাপের দিকে সরাসরি চোখাচুখি করতে নেই।
advertisement
7/8
আওয়াজ ও স্পর্শ – সাপ জোর আওয়াজ বা হঠাৎ করা আওয়াজকে খুব ভয় পায়। তারা তাদের শ্রবণশক্তি ব্যবহার করে খাবার খোঁজে ও শিকারিদের থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখে। এমন অবস্থায়, যদি হঠাৎ আশপাশে জোরে কোনও শব্দ হয়, তাহলে তারা সঙ্গে সঙ্গে নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে পালাতে শুরু করে। তবে যদি আশ্রয় না পায়, তাহলে আত্মরক্ষার জন্য আক্রমণও করতে পারে। জোরে আওয়াজ তাদের শ্রবণক্ষমতার ক্ষতিও করতে পারে। এছাড়াও, সাপের ত্বক খুবই সংবেদনশীল ও নরম। কেউ যদি তাদের জোরে চেপে ধরে, তাহলে তারা ভয় পেয়ে যায়। এই কারণেই শুধু স্পর্শ করলেও সাপ ভয় পায়।
সাপ যখন চারিদিকে আবদ্ধ থাকে তখনই আক্রমণাত্মক হয়ে পড়ে। তাই ভিড়পূর্ণ স্থান এড়িয়ে চলুন।
advertisement
8/8
খারগোন জেলার মন্ডলেশ্বরের বাসিন্দা মহাদেব গত ন'বছর ধরে সাপ উদ্ধার এবং স্টাডি করছেন। লোকাল ১৮-এর সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন যে ভারতে ২৭০ টিরও বেশি প্রজাতির সাপ রয়েছে। এর মধ্যে কিছু, যেমন বাগানের সাপ, সাধারণত আবাসিক এলাকায় পাওয়া যায়, আবার কিছু গভীর বনে বাস করে আবার কিছু সাপ এতটাই বিরল খুব কমই  দেখা যায়।
অনেকেই আছেন সাপ দেখলেই লাঠি দিয়ে মারতে শুরু করেন। মনে রাখবেন এতে আপনার প্রাণসংশয় পর্যন্ত হতে পারে। সাপ ধরার ক্ষেত্রে সবসময় পেশাদার সর্প বিশারদকে ডাকুন।
advertisement
advertisement
advertisement