GK: বলুন তো কোন প্রাণীর দুধ টুথপেস্টের মতো থকথকে বেশি ঘনত্বের জন্য? সঠিক উত্তর অজানা ৯৯%-এর কাছেই! আপনিও জানলে চমকে হাঁ হয়ে যাবেন!

গভীর সমুদ্রের তলদেশের মতো সেখানে বসবাসকারী প্রাণীও রহস্যের আধার৷ তাদের নিয়ে এখনও বহু রহস্য মানুষের কাছে অজানা৷ সেরকমই একটি প্রাণী হল তিমিমাছ৷ পৃথিবীতে একাধিক প্রজাতির তিমিমাছ আছে৷ প্রাণিবিজ্ঞানীরা তাঁদের গবেষণা চালাচ্ছেন তিমি নিয়ে৷

প্রসঙ্গত নামের পাশে ‘মাছ’ থাকলেও তিমি আদতে স্তন্যপায়ী প্রাণী৷ স্তন্যপায়ী (Mammals)-দের মতোই তারা শাবক প্রসব করে৷ সদ্যোজাত শাবকরদের মা-তিমি স্তন্যপানও করায়৷ বলছেন বিশিষ্ট প্রাণিবিজ্ঞানী ওলাভ ওফ্টেডাল৷

সমুদ্রের অতলে তিমিশাবকদের একমাত্র খাবার থাকে স্তনদুগ্ধই৷ জন্মের পর থেকে ৮ মাস পর্যন্ত এর উপরই নির্ভরশীল থাকে তারা৷ গড়ে প্রতিদিন ৪০০ লিটার পর্যন্ত দুধ পান করে তিমিশাবক৷ দৈনিক গড়ে ওজন বাড়তে পারে ৯০ কেজি পর্যন্ত৷

তিমির দুধ অনেক দিক থেকেই বিশেষত্বে ভরা৷ এর অন্যতম বিশেষত্ব হল এর ঘনত্ব৷ অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীর দুধের তুলনায় তিমির দুধ অনেক বেশি ঘন৷ যেখানে গরুর দুধে স্নেহজাতীয় পদার্থ বা ফ্যাট থাকে ৪ শতাংশ, সেখানে তিমির দুধে এর পরিমাণ ৩৫ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত প্রায়৷

অত্যন্ত বেশি ঘনত্বের জন্য তিমির দুধ texture-এর দিক থেকে টুথপেস্টের মতোই ঘন৷ তুলনা হতে পারে ক্রিম চিজ বা মাখনের texture-এর সঙ্গেও৷ বলছেন বিজ্ঞানীরা৷

তিমির দুধের রংও সাদা নয়৷ সাধারণত হাল্কা ক্রিম বা আইভরি রঙের হয় এই প্রাণীর দুধ৷ মাঝে মাঝে দেখা যায় হাল্কা সবুজ বা হাল্কা হলুদ আভাও৷ প্রাণিবিজ্ঞানীদের মত, গভীর সমুদ্রের প্রাণী হওয়ার কারণেই অভিযোজনের ফলে তিমির দুধের ঘনত্ব এতটা বেশি৷