Ganesh Chaturthi 2021: ভক্তির শক্তিতে দূর হয় সব বিঘ্ন, গণেশ চতুর্থী অনুষ্ঠানের পূজাবিধি জেনে নিন

Last Updated:
১০ দিনের গণেশ চতুর্থীতে (ganesgh chaturthi) ১৬টি আচার-অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয়। এই আচারগুলিকে চারটি মূল পূজাবিধিতে ভাগ করা যায়!
1/6
#কলকাতা: ভারতে বিভিন্ন পূজা-অর্চনার মধ্যে গণেশ চতুর্থী (Ganesha Chaturthi) অবশ্যই অন্যতম। চলতি বছরে ১০ সেপ্টেম্বর ভগবান গণেশের জন্মবার্ষিকী হিসাবে গণেশ চতুর্থী পালিত হবে। উৎসবটি বিনায়ক চতুর্থী (Vinayaka Chaturthi) বা বিনায়ক চবিথি (Vinayaka Chavithi) নামেও পরিচিত। ভারতে সারা বছর ধরে এই উৎসবটির জন্য ভক্তরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকেন। ভগবান গণেশের আরাধনার এইটি জনপ্রিয় উৎসব সমগ্র ভারত জুড়েই ব্যাপকভাবে পালিত হয়। ভক্তদের মধ্যে গণেশের পুজোর উত্তেজনা, উৎসাহ এবং অতুলনীয় আনন্দ থাকে। বিভিন্ন পূজাবিধির মাধ্যমে ১০ দিন ধরে উৎসবটি উদযাপিত হয়।
#কলকাতা: ভারতে বিভিন্ন পূজা-অর্চনার মধ্যে গণেশ চতুর্থী (Ganesha Chaturthi) অবশ্যই অন্যতম। চলতি বছরে ১০ সেপ্টেম্বর ভগবান গণেশের জন্মবার্ষিকী হিসাবে গণেশ চতুর্থী পালিত হবে। উৎসবটি বিনায়ক চতুর্থী (Vinayaka Chaturthi) বা বিনায়ক চবিথি (Vinayaka Chavithi) নামেও পরিচিত। ভারতে সারা বছর ধরে এই উৎসবটির জন্য ভক্তরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকেন। ভগবান গণেশের আরাধনার এইটি জনপ্রিয় উৎসব সমগ্র ভারত জুড়েই ব্যাপকভাবে পালিত হয়। ভক্তদের মধ্যে গণেশের পুজোর উত্তেজনা, উৎসাহ এবং অতুলনীয় আনন্দ থাকে। বিভিন্ন পূজাবিধির মাধ্যমে ১০ দিন ধরে উৎসবটি উদযাপিত হয়।
advertisement
2/6
১০ দিনের গণেশ চতুর্থীতে ১৬টি আচার-অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয়। এই আচারগুলিকে চারটি মূল পূজাবিধিতে ভাগ করা যায়:
১০ দিনের গণেশ চতুর্থীতে ১৬টি আচার-অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয়। এই আচারগুলিকে চারটি মূল পূজাবিধিতে ভাগ করা যায়:
advertisement
3/6
আহ্বান এবং প্রাণ প্রতিষ্ঠা গণেশ পুজোয় ভক্তদের 'দীপ-প্রজ্বলন' এবং 'সংকল্প' করার পর দেবতার প্রাণ প্রতিষ্ঠা হল প্রথম নিয়ম। এক্ষেত্রে মন্ত্র পাঠের মাধ্যমে প্যান্ডেল বা মন্দিরে বা যে কোনও পূজা স্থানে স্থাপিত গণেশের মূর্তিতে প্রাণ আহ্বান করা হয়। এটি দেবতার মূর্তিকে পবিত্র করার একটি অনুষ্ঠান হিসাবে কথিত রয়েছে।
আহ্বান এবং প্রাণ প্রতিষ্ঠা গণেশ পুজোয় ভক্তদের 'দীপ-প্রজ্বলন' এবং 'সংকল্প' করার পর দেবতার প্রাণ প্রতিষ্ঠা হল প্রথম নিয়ম। এক্ষেত্রে মন্ত্র পাঠের মাধ্যমে প্যান্ডেল বা মন্দিরে বা যে কোনও পূজা স্থানে স্থাপিত গণেশের মূর্তিতে প্রাণ আহ্বান করা হয়। এটি দেবতার মূর্তিকে পবিত্র করার একটি অনুষ্ঠান হিসাবে কথিত রয়েছে।
advertisement
4/6
ষোড়শোপচার মূর্তির প্রাণ প্রতিষ্ঠার পরে ১৬টি ধাপের পুজোর ঐতিহ্য রয়েছে। সংস্কৃত ভাষায়'ষোড়শ' অর্থ ১৬ এবং 'উপচার' মানে হল 'ভগবানকে নিবেদন করা'। গণেশের পা ধুইয়ে দিয়ে বিগ্রহকে পঞ্চামৃত অর্থাৎ দুধ, ঘি, মধু, দই, চিনি দিয়ে স্নান করিয়ে সুগন্ধি তেল ও গঙ্গা জল দেওয়া হয়। স্নান পর্বের পরে বস্ত্র, উত্তরীয় সমর্পণ বিধি পালন করা হয় অর্থাৎ বিগ্রহকে নতুন পোশাক পরানো হয়। ফুল, অখণ্ড চাল (অক্ষতা), মালা, সিঁদুর এবং চন্দন দিয়ে মূর্তি সাজানো হয়। এর পর মোদক, সুপারি, নারকেল (নৈবেদ্য) দিয়ে প্রদীপ জ্বালিয়ে স্তোত্র, মন্ত্র উচ্চারণের মাধ্যমে ভক্তি সহকারে গণেশের আরাধনা করা হয়।
ষোড়শোপচার মূর্তির প্রাণ প্রতিষ্ঠার পরে ১৬টি ধাপের পুজোর ঐতিহ্য রয়েছে। সংস্কৃত ভাষায়'ষোড়শ' অর্থ ১৬ এবং 'উপচার' মানে হল 'ভগবানকে নিবেদন করা'। গণেশের পা ধুইয়ে দিয়ে বিগ্রহকে পঞ্চামৃত অর্থাৎ দুধ, ঘি, মধু, দই, চিনি দিয়ে স্নান করিয়ে সুগন্ধি তেল ও গঙ্গা জল দেওয়া হয়। স্নান পর্বের পরে বস্ত্র, উত্তরীয় সমর্পণ বিধি পালন করা হয় অর্থাৎ বিগ্রহকে নতুন পোশাক পরানো হয়। ফুল, অখণ্ড চাল (অক্ষতা), মালা, সিঁদুর এবং চন্দন দিয়ে মূর্তি সাজানো হয়। এর পর মোদক, সুপারি, নারকেল (নৈবেদ্য) দিয়ে প্রদীপ জ্বালিয়ে স্তোত্র, মন্ত্র উচ্চারণের মাধ্যমে ভক্তি সহকারে গণেশের আরাধনা করা হয়।
advertisement
5/6
উত্তরপূজা বিসর্জনের আগে এই আচারটি করা হয়। অত্যন্ত আনন্দ ও নিষ্ঠার সঙ্গে সমস্ত বয়সের মানুষ এই উৎসবে অংশ নেন। প্যান্ডেল কিংবা মন্দির হোক বা নিজেদের বাড়িতে, গণেশ চতুর্থী পরম আনন্দের সঙ্গে পালিত হয়। ভগবানের পুজোর আনন্দ ভক্তরা গান গেয়ে থাকেন, নাচেন এবং আতসবাজি জ্বালিয়ে পুজো উদযাপন করেন। পুজোর শেষে আসে ভগবানকে বিদায় জানানোর পালা। সুন্দর মন্ত্র, আরতি, ফুল দিয়ে, গণেশকে বিদায় জানানো হয়। নিরঞ্জন আরতি, পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ, প্রদক্ষিণ এই পর্যায়ক্রমে এই ধাপে পুজো করা হয়।
উত্তরপূজা বিসর্জনের আগে এই আচারটি করা হয়। অত্যন্ত আনন্দ ও নিষ্ঠার সঙ্গে সমস্ত বয়সের মানুষ এই উৎসবে অংশ নেন। প্যান্ডেল কিংবা মন্দির হোক বা নিজেদের বাড়িতে, গণেশ চতুর্থী পরম আনন্দের সঙ্গে পালিত হয়। ভগবানের পুজোর আনন্দ ভক্তরা গান গেয়ে থাকেন, নাচেন এবং আতসবাজি জ্বালিয়ে পুজো উদযাপন করেন। পুজোর শেষে আসে ভগবানকে বিদায় জানানোর পালা। সুন্দর মন্ত্র, আরতি, ফুল দিয়ে, গণেশকে বিদায় জানানো হয়। নিরঞ্জন আরতি, পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ, প্রদক্ষিণ এই পর্যায়ক্রমে এই ধাপে পুজো করা হয়।
advertisement
6/6
গণপতি বিসর্জন গণেশ চতুর্থী উৎসবের শেষ অনুষ্ঠান হল বিসর্জন। আগামী বছরে ভগবান যেন আবার আসেন এই বাসনা নিয়েই গণেশের মূর্তি শ্রদ্ধার সঙ্গে জলে ভাসানো হয়। বিসর্জনে যাওয়ার সময় ভক্তরা উচ্চৈস্বরে বলতে থাকেন"গণপতি বাপ্পা মোরিয়া, পুর্চা বর্ষি লাউকারিয়া", অর্থাৎ হে গণপতি বাপ্পা, পরের বছরে তুমি আবার এসো!
গণপতি বিসর্জন গণেশ চতুর্থী উৎসবের শেষ অনুষ্ঠান হল বিসর্জন। আগামী বছরে ভগবান যেন আবার আসেন এই বাসনা নিয়েই গণেশের মূর্তি শ্রদ্ধার সঙ্গে জলে ভাসানো হয়। বিসর্জনে যাওয়ার সময় ভক্তরা উচ্চৈস্বরে বলতে থাকেন"গণপতি বাপ্পা মোরিয়া, পুর্চা বর্ষি লাউকারিয়া", অর্থাৎ হে গণপতি বাপ্পা, পরের বছরে তুমি আবার এসো!
advertisement
advertisement
advertisement