গোটা দেশে খুবই আড়ম্বরের সঙ্গে পালিত হয় গণেশ চতুর্থী৷ যা বিনয়াক চতুর্থী বা গণেশ পুজো নামেও পরিচিত। বিশেষত পশ্চিম ও মধ্য ভারতের মহারাষ্ট্র, গুজরাত, উত্তর প্রদেশে এই উৎসব হয় খুবই ধুমধাম করে৷ বাড়িতে স্থাপন করা হয় গণেশের মূর্তি। গণেশ পুজো চলে দুই থেকে দশ দিন। এই বছর ২২ অগাস্ট গণেশ চতুর্থীর উদযাপিত হবে। দিনটি শনিবার পড়েছে।
চাঁদের এই অবমাননা গণেশ বরদাস্ত করলেন না, তিনি চন্দ্রকে অভিশাপ দেন যে আজ থেকে তুমি কালো হয়ে যাবে। চন্দ্র তার নিজের ভুল বুঝতে পারে এবং গণেশের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে। তার বারংবার ক্ষমা প্রার্থনার ফলে গণেশ তখন তাকে মুক্তি দিলেন এবং তার জন্য একটি সময়চক্র তৈরী করলেন যাতে ১৫ দিন অন্তর অন্তর চন্দ্র একবার সম্পূর্ণরুপে প্রকাশিত হবেন এবং একবার করে অদৃশ্য থাকবেন।
হিন্দু সমাজে এক কাহিনী প্রচলিত রয়েছে, একবার গণেশ চতুর্থীতে প্রতি বাড়িতে মোদক ভক্ষণ করে ভরা পেটে ইঁদুরে চেপে ফিরছিলেন গণেশ। পথে ইঁদুরের সামনে একটি সাপ এসে পড়লে সে ভয়ে কাঁপতে শুরু করে। এতে গণেশ পড়ে যান ও তার পেট ফেটে সব মোদক রাস্তায় পড়ে যায়। গণেশ উঠে সেগুলি কুড়িয়ে পেটের মধ্যে পুরে পেটের ফাটা জায়গাটি ওই সাপ দিয়ে বেঁধে দেন। আকাশ থেকে চন্দ্র তা দেখে হেসে ফেলেন। তাই গণেশ শাপ দেন যে চতুর্থীর দিন চাঁদ কেউ দেখবে না।