বৈদিক অ্যাস্ট্রোলজিতে শুক্র গ্রহকে বেজায় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আর কেন দেওয়া হবে নাই বা বলুন! কারও কুষ্টিতে এই গ্রহটির অবস্থান শক্তিশালী হয়ে উঠলে যেমন অফুরন্ত ভালোবাসার সন্ধান মেলে, তেমনি পরিবারিক জীবনে কোনও ধরনের অশান্তি মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কাও আর থাকে না। শুধু তাই নয়, শুক্র গ্রহের শুভ প্রভাবে আরও একাধিক উপকার মেলে। যেমন ধরুন- অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটে, বাড়ি-গাড়ির মালিক হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হয়, কর্মক্ষেত্রে উন্নতির পথ প্রশস্থ হয় এবং সামাজিক সম্মান বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো। আর যদি কোনও কারণে এই গ্রহটি দুর্বল হয়ে পরে, তাহলে কিন্তু অসুবিধে রয়েছে !
কারণ সেক্ষেত্রে স্কিন, চোখ, রিপ্রোডাকটিভ সিস্টেম এবং ডায়জেস্টিভ সিস্টেম সংক্রান্ত নানাবিধ রোগ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার সম্ভাবনা যায় বেড়ে। বিশেষত হাজারো চেষ্টার পরেও বাবা-মা হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হতে চায় না। সেই সঙ্গে লেজুড় হয় নানাবিধ পরিবারিক সমস্যা এবং টাকা-পয়সা সংক্রান্ত নানা ঝামেলা। ফলে স্বাভাবিকভাবেই জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠতে সময় লাগে না। তাই তো বলি বন্ধু, শুক্র গ্রহ যাতে কোনও ভাবেই দুর্বল হয়ে না পরে সেদিকে খেয়াল রাখাটা একান্ত প্রয়োজন।
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই দুটি মন্ত্র প্রতি শুক্রবার রাত দশটা থেকে বারোটার মধ্যে পাঠ করা শুরু করলে শুক্র গ্রহ এতটাই শক্তিশালী হয়ে ওঠে যে নানাবিধ উপকার মিলতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, কারও উপর শুক্র গ্রহের সুপ্রভাব পরলে য়ে কেবল উপরে আলোচিত উপকারগুলিই পাওয়া যায়, তেমন নয়। সেই সঙ্গে আরও কিছু উপকার মেলে।
ক্রিয়েটিভ কাজে দারুন উন্নতি মেলে: আপনি কি কোনও ক্রিয়েটিভ কাজের সঙ্গে যুক্ত? তাহলে বন্ধু নিয়মিত এই মন্ত্রগুলি পাঠ করতে ভুলবেন না যেন! কারণ শাস্ত্রে এমন উল্লেখ পাওয়া যায় যে কারও জন্ম কুষ্টিতে শুক্র গ্রহ শক্তিশালী হয়ে উঠলে ক্রিয়েটিভ কাজে একের পর এক সফলতা লাভের সম্ভাবনা যায় বেড়ে। বিশেষত যারা গান এবং নাচের সঙ্গে যুক্তি তাদের উন্নতি লাভের সম্ভাবনা সবথেকে বেশি থাকে।
সম্মান বৃদ্ধি পায়: যেমনটা আগেও আলোচনা করা হয়েছে যে শুক্র গ্রহকে প্রসন্ন করতে পারলে সামাজিক সম্মান তো বৃদ্ধি পায়ই, সেই সঙ্গে কর্মক্ষেত্রেও গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো। তাই তো বলি বন্ধু, সারাক্ষণ যদি লাইম লাইটে থাকার স্বপ্ন পূরণ করতে হয়, তাহলে শুক্র মন্ত্র জপ করার মধ্যে দিয়ে শুক্র গ্রহকে বন্ধু বানাতে দেরি করবেন না যেন!