সাপের কামড়ের 'রাজধানী'! আবহাওয়া অনুযায়ী বদলে যায় এই সাপের বিষের প্রভাব! নতুন গবেষণায় যা জানা গেল...!

Last Updated:
Russells Viper Snake: আশ্চর্যের বিষয় হল—এই সাপের বিষ একেক অঞ্চলে একেক রকম প্রভাব ফেলে! কেন এমন হয়? সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা এই রহস্যের সমাধান করেছেন বলে দাবি করেছেন।
1/7
ভারতকে বলা হয় ‘সাপের কামড়ের রাজধানী’। প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ সাপের কামড়ে মারা যান। এই মৃত্যুর অনেকটাই ঘটে এক বিষধর সাপ রাসেল ভাইপার-এর কামড়ে। এই সাপ গোটা ভারতীয় উপমহাদেশ জুড়ে দেখা যায়। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল—রাসেল ভাইপার সাপের বিষ একেক অঞ্চলে একেক রকম প্রভাব ফেলে! কেন এমন হয়? সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা এই রহস্যের সমাধান করেছেন বলে দাবি করেছেন।
ভারতকে বলা হয় ‘সাপের কামড়ের রাজধানী’। প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ সাপের কামড়ে মারা যান। এই মৃত্যুর অনেকটাই ঘটে এক বিষধর সাপ রাসেল ভাইপার-এর কামড়ে। এই সাপ গোটা ভারতীয় উপমহাদেশ জুড়ে দেখা যায়। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল—রাসেল ভাইপার সাপের বিষ একেক অঞ্চলে একেক রকম প্রভাব ফেলে! কেন এমন হয়? সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা এই রহস্যের সমাধান করেছেন বলে দাবি করেছেন।
advertisement
2/7
কী বলছে গবেষণা?জার্নাল PLOS Neglected Tropical Diseases-এ প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, ঋতু, তাপমাত্রা ও বৃষ্টিপাতের মতো মৌসুমি উপাদান সরাসরি প্রভাব ফেলে রাসেল ভাইপারের বিষে। অর্থাৎ রাজস্থানের মতো শুষ্ক অঞ্চলে কেউ যদি রাসেল ভাইপারের কামড় খায়, তাঁর উপসর্গ হবে এক রকম। আবার কেরলের মতো আর্দ্র অঞ্চলে এই সাপের কামড় খেলে উপসর্গ হবে অন্য রকম!
কী বলছে গবেষণা? জার্নাল PLOS Neglected Tropical Diseases-এ প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, ঋতু, তাপমাত্রা ও বৃষ্টিপাতের মতো মৌসুমি উপাদান সরাসরি প্রভাব ফেলে রাসেল ভাইপারের বিষে। অর্থাৎ রাজস্থানের মতো শুষ্ক অঞ্চলে কেউ যদি রাসেল ভাইপারের কামড় খায়, তাঁর উপসর্গ হবে এক রকম। আবার কেরলের মতো আর্দ্র অঞ্চলে এই সাপের কামড় খেলে উপসর্গ হবে অন্য রকম!
advertisement
3/7
রাসেল ভাইপার কেন এত ভয়ঙ্কর?রাসেল ভাইপার (Daboia russelii) ভারতের অন্যতম ভয়ঙ্কর বিষধর সাপ। এর বিষ এতটাই মারাত্মক যে, রক্ত জমাট বেঁধে যায়, কিডনি বিকল হয়ে যেতে পারে, এমনকী মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণও হতে পারে। সময়মতো চিকিৎসা না হলে মৃত্যু নিশ্চিত।
রাসেল ভাইপার কেন এত ভয়ঙ্কর? রাসেল ভাইপার (Daboia russelii) ভারতের অন্যতম ভয়ঙ্কর বিষধর সাপ। এর বিষ এতটাই মারাত্মক যে, রক্ত জমাট বেঁধে যায়, কিডনি বিকল হয়ে যেতে পারে, এমনকী মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণও হতে পারে। সময়মতো চিকিৎসা না হলে মৃত্যু নিশ্চিত।
advertisement
4/7
সবচেয়ে অদ্ভুত বিষয় হল, ভারতের একেক অঞ্চলে পাওয়া রাসেল ভাইপারের বিষের গঠন ও প্রভাব একেক রকম।তথ্য অনুযায়ী: - ভারতে প্রতি বছর প্রায় ৫৮ হাজার মানুষ সাপের কামড়ে মারা যান। - রাসেল ভাইপারের কামড়ে যদি চিকিৎসা না হয়, তবে ৫০ শতাংশ ক্ষেত্রেই মৃত্যু হয়। - এই সাপের বিষ রক্ত পাতলা করে দেয়, যার ফলে শরীরের ভিতরে রক্তক্ষরণ শুরু হয়।
সবচেয়ে অদ্ভুত বিষয় হল, ভারতের একেক অঞ্চলে পাওয়া রাসেল ভাইপারের বিষের গঠন ও প্রভাব একেক রকম। তথ্য অনুযায়ী: - ভারতে প্রতি বছর প্রায় ৫৮ হাজার মানুষ সাপের কামড়ে মারা যান। - রাসেল ভাইপারের কামড়ে যদি চিকিৎসা না হয়, তবে ৫০ শতাংশ ক্ষেত্রেই মৃত্যু হয়। - এই সাপের বিষ রক্ত পাতলা করে দেয়, যার ফলে শরীরের ভিতরে রক্তক্ষরণ শুরু হয়।
advertisement
5/7
আবহাওয়ার প্রভাব কীভাবে পড়ে বিষে?IISc-এর Evolutionary Venomics Lab-এর গবেষকরা ভারতের ৩৪টি অঞ্চলের ১১৫টি রাসেল ভাইপার সাপের বিষ সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করেছেন। দেখা গেছে— - উচ্চ তাপমাত্রা ও কম বৃষ্টিপাতযুক্ত অঞ্চলের সাপের বিষে বিষাক্ততা বেশি। - বেশি আর্দ্রতা ও বৃষ্টিপাতযুক্ত অঞ্চলের সাপের বিষে গঠনগতভাবে ভিন্নতা থাকে।
আবহাওয়ার প্রভাব কীভাবে পড়ে বিষে? IISc-এর Evolutionary Venomics Lab-এর গবেষকরা ভারতের ৩৪টি অঞ্চলের ১১৫টি রাসেল ভাইপার সাপের বিষ সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করেছেন। দেখা গেছে— - উচ্চ তাপমাত্রা ও কম বৃষ্টিপাতযুক্ত অঞ্চলের সাপের বিষে বিষাক্ততা বেশি। - বেশি আর্দ্রতা ও বৃষ্টিপাতযুক্ত অঞ্চলের সাপের বিষে গঠনগতভাবে ভিন্নতা থাকে।
advertisement
6/7
এতদিন রাসেল ভাইপারের কামড়ে একটি সাধারণ অ্যান্টিভেনমই (antivenom) ব্যবহার করা হত। কিন্তু এখন বোঝা যাচ্ছে, সব জায়গায় এক ওষুধে কাজ হবে না।
এতদিন রাসেল ভাইপারের কামড়ে একটি সাধারণ অ্যান্টিভেনমই (antivenom) ব্যবহার করা হত। কিন্তু এখন বোঝা যাচ্ছে, সব জায়গায় এক ওষুধে কাজ হবে না।
advertisement
7/7
এই গবেষণার পর অঞ্চলভেদে ভিন্ন অ্যান্টিভেনম তৈরি করা সম্ভব হবে। ডাক্তাররাও আগে থেকেই বুঝে নিতে পারবেন, কোন অঞ্চলে কী উপসর্গ দেখা দিতে পারে। ফলে আরও দ্রুত ও সঠিক চিকিৎসা সম্ভব হবে।
এই গবেষণার পর অঞ্চলভেদে ভিন্ন অ্যান্টিভেনম তৈরি করা সম্ভব হবে। ডাক্তাররাও আগে থেকেই বুঝে নিতে পারবেন, কোন অঞ্চলে কী উপসর্গ দেখা দিতে পারে। ফলে আরও দ্রুত ও সঠিক চিকিৎসা সম্ভব হবে। এছাড়াও, ভবিষ্যতে জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সাপের বিষেরও কী পরিবর্তন হতে পারে, তা আগাম বোঝারও সুযোগ তৈরি হবে।
advertisement
advertisement
advertisement