Best Photo: সকালে সবাই কাজে বেরচ্ছিল, হঠাৎ ঘটল আরমেরো ট্র্যাজেডি! মুহূর্তে মৃত্যু ২৩ হাজার মানুষের!

Last Updated:
Best Photo: পৃথিবীতে এমন কিছু ছবি আজ পর্যন্ত তোলা হয়েছে, যা শুধুমাত্র সৌন্দর্য নয়, বরং পৃথিবীর এক একটা অধ্যায়কে তুলে ধরেছে।
1/7
ছবির আমি, ছবির তুমি, ছবি দিয়ে যায় চেনা... ইতিহাস শুধু অক্ষরে নয়, ছবিতেও তার সাক্ষ্য বহন করে চলে। এক একটা ছবিই যেন হয়ে থাকে সময়ের দলিল। একজন ফটোগ্রাফার নিজের চোখের আয়নায় দেখেন সময়কে। তুলে ধরেন একটা মুহূর্ত। আর নিজের দক্ষতায় একটি নির্জীব বিষয়কেও তিনি করে তুলতে পারেন জীবন্ত-প্রাণচঞ্চল।
ছবির আমি, ছবির তুমি, ছবি দিয়ে যায় চেনা... ইতিহাস শুধু অক্ষরে নয়, ছবিতেও তার সাক্ষ্য বহন করে চলে। এক একটা ছবিই যেন হয়ে থাকে সময়ের দলিল। একজন ফটোগ্রাফার নিজের চোখের আয়নায় দেখেন সময়কে। তুলে ধরেন একটা মুহূর্ত। আর নিজের দক্ষতায় একটি নির্জীব বিষয়কেও তিনি করে তুলতে পারেন জীবন্ত-প্রাণচঞ্চল।
advertisement
2/7
পৃথিবীতে এমন কিছু ছবি আজ পর্যন্ত তোলা হয়েছে, যা শুধুমাত্র সৌন্দর্য নয়, বরং পৃথিবীর এক একটা অধ্যায়কে তুলে ধরেছে। হাজার না বলতে পারা কথার প্রতীকী হয়ে উঠেছে সেই ছবি। ঠাঁই করে নিয়েছে ইতিহাসের পাতায়। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া, লাইভ ভিডিয়োর এই যুগে 'স্টিল ফটোগ্রাফ' অনেকাংশেই তার কৌলিন্য হারাচ্ছে।
পৃথিবীতে এমন কিছু ছবি আজ পর্যন্ত তোলা হয়েছে, যা শুধুমাত্র সৌন্দর্য নয়, বরং পৃথিবীর এক একটা অধ্যায়কে তুলে ধরেছে। হাজার না বলতে পারা কথার প্রতীকী হয়ে উঠেছে সেই ছবি। ঠাঁই করে নিয়েছে ইতিহাসের পাতায়। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া, লাইভ ভিডিয়োর এই যুগে 'স্টিল ফটোগ্রাফ' অনেকাংশেই তার কৌলিন্য হারাচ্ছে।
advertisement
3/7
১৯৮৫ সাল। ১৩ নভেম্বরের সকাল। মানুষ সবে কাজে বেরোচ্ছে। হঠাতই কলম্বিয়ার আরমেরো নামে ছোট গ্রামটায় নেমে এল আকাশভাঙা বিপদ। গ্রামের পাশেই ছিল নেভাদো দেল রুইজ আগ্নেয়গিরি। সেখান থেকেই হঠাৎ অগ্ন্যুৎপাত শুরু হল।
১৯৮৫ সাল। ১৩ নভেম্বরের সকাল। মানুষ সবে কাজে বেরোচ্ছে। হঠাতই কলম্বিয়ার আরমেরো নামে ছোট গ্রামটায় নেমে এল আকাশভাঙা বিপদ। গ্রামের পাশেই ছিল নেভাদো দেল রুইজ আগ্নেয়গিরি। সেখান থেকেই হঠাৎ অগ্ন্যুৎপাত শুরু হল।
advertisement
4/7
শুধু কি তাই, আগ্নেয়গিরির লাভা মিশে গেল নদীর জলে, বরফ তখন লাভার আগুনে জ্বলছে। সে এক ভয়াবহ অবস্থা। এরপরই শুরু হল ভূমিধস। আর তাতেই আরমেরো-সহ আশপাশের ১৩টি গ্রাম মুহূর্তে যেন ধ্বংস হয়ে গেল। মৃত্যু হল ২৩ হাজার মানুষের। নির্মম মৃত্যু।
শুধু কি তাই, আগ্নেয়গিরির লাভা মিশে গেল নদীর জলে, বরফ তখন লাভার আগুনে জ্বলছে। সে এক ভয়াবহ অবস্থা। এরপরই শুরু হল ভূমিধস। আর তাতেই আরমেরো-সহ আশপাশের ১৩টি গ্রাম মুহূর্তে যেন ধ্বংস হয়ে গেল। মৃত্যু হল ২৩ হাজার মানুষের। নির্মম মৃত্যু।
advertisement
5/7
সেই ভয়াবহতার সময়ই তোলা হয়েছিল একটি স্টিল ফটোগ্রাফ। মেয়েটির নাম অমায়রা সানচেজ। মাত্র ১৩ বছর বয়স। ভূমিধসের সময় মেয়েটি একটি ধ্বংস হয়ে যাওয়া বিল্ডিংয়ের নিচে আটকে পড়েছিল।
সেই ভয়াবহতার সময়ই তোলা হয়েছিল একটি স্টিল ফটোগ্রাফ। মেয়েটির নাম অমায়রা সানচেজ। মাত্র ১৩ বছর বয়স। ভূমিধসের সময় মেয়েটি একটি ধ্বংস হয়ে যাওয়া বিল্ডিংয়ের নিচে আটকে পড়েছিল।
advertisement
6/7
চারিদিকে আগ্নেয়গিরির ফুটন্ত লাভা আর মাঝে সানচেজ। উদ্ধারকর্মীরা সানচেজকে উদ্ধারের আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছে। কেটে গেছে ৬০ ঘণ্টা! কিন্তু না, তাও সম্ভব হল না।
চারিদিকে আগ্নেয়গিরির ফুটন্ত লাভা আর মাঝে সানচেজ। উদ্ধারকর্মীরা সানচেজকে উদ্ধারের আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছে। কেটে গেছে ৬০ ঘণ্টা! কিন্তু না, তাও সম্ভব হল না।
advertisement
7/7
আস্তে আস্তে মৃত্যু এসে গ্রাস করল সানচেজকে। মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে এক কিশোরীর চোখের সে কী আকুল চাহনি! টানা ৬০ ঘণ্টা একইভাবে আটকে থাকার পর ১৬ নভেম্বর মৃত্যু হয় সানচেজের। প্রকৃতির নির্মমতার কাছে মানুষ যে কত অসহায়, সানচেজের এই ছবিটিই যেন তা যুগ-যুগ ধরে বুঝিয়ে দিয়ে যায়।
আস্তে আস্তে মৃত্যু এসে গ্রাস করল সানচেজকে। মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে এক কিশোরীর চোখের সে কী আকুল চাহনি! টানা ৬০ ঘণ্টা একইভাবে আটকে থাকার পর ১৬ নভেম্বর মৃত্যু হয় সানচেজের। প্রকৃতির নির্মমতার কাছে মানুষ যে কত অসহায়, সানচেজের এই ছবিটিই যেন তা যুগ-যুগ ধরে বুঝিয়ে দিয়ে যায়।
advertisement
advertisement
advertisement