Antarctica: কেউ দখল করে না অ্যান্টার্কটিকা, ভয় পায় সব দেশ! কী রহস্য লুকিয়ে আছে অ্যান্টার্কটিকায় জানেন, কেন এই ভয়? শুনে কিন্তু চমকে উঠবেন

অ্যান্টার্কটিকার বরফের নীচে একটি লুকানো জগৎ রয়েছে। সেখানে পর্বতমালা, উপত্যকা, হ্রদ, নদী, এবং আগ্নেয়গিরি রয়েছে। এছাড়াও, সেখানে প্রাচীন বাস্তুতন্ত্রের অবশিষ্টাংশ এবং আদিম ব্যাকটেরিয়াও পাওয়া গেছে।

বরফের পুরু আস্তরণের নীচে অনেক পর্বতমালা এবং উপত্যকা রয়েছে। এই ল্যান্ডস্কেপটি বরফের কারণে দৃশ্যমান নয়, তবে বিজ্ঞানীরা রাডার এবং অন্যান্য উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে এটি আবিষ্কার করেছেন।

অ্যান্টার্কটিকায় অনেক লুকানো নদী এবং হ্রদ রয়েছে। এর মধ্যে কিছু হ্রদ আকারে বেশ বড়, যেমন হ্রদ ভোস্টক। পশ্চিম অ্যান্টার্কটিকার বরফের নীচে ১৩৮টিরও বেশি আগ্নেয়গিরি রয়েছে, যা পৃথিবীর বৃহত্তম আগ্নেয়গিরি অঞ্চল হিসাবে বিবেচিত।

বিজ্ঞানীরা বরফের নীচে বিভিন্ন ধরণের জীবন্ত প্রাণী যেমন ব্যাকটেরিয়া এবং অন্যান্য অণুজীব খুঁজে পেয়েছেন। এমনকি বরফের তাকের নিচে বসবাসকারী অদ্ভুত সামুদ্রিক প্রাণীরও সন্ধান পাওয়া গেছে।

বরফের নীচে প্রাচীন বাস্তুতন্ত্রের অবশিষ্টাংশও পাওয়া গেছে। এটি থেকে সেই অঞ্চলের অতীত পরিবেশ এবং জীববৈচিত্র্য সম্পর্কে মূল্যবান তথ্য পাওয়া যায়।

অ্যান্টার্কটিকার ৯০ শতাংশই পুরু বরফের আস্তরণে ঢাকা। এই বরফের পুরুত্ব প্রায় ২.২ কিলোমিটার। ৩.৪ কোটি বছর ধরে একইভাবে রয়েছে এই বরফের আস্তরণ। তবে বিজ্ঞানীরা হয়ত এখন অনুধাবন করছেন যে তারা এই বিশাল বরফের চাদরের নিচে কী রয়েছে তা খানিক অনুমান করতে পেরেছেন।

ইতিমধ্যেই বহু বিজ্ঞানী এই বিরাট বরফের আস্তরণের নিচে ৪০০ গোপন হ্রদের অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছেন। সবথেকে বড় হ্রদের নাম দেওয়া হয়েছে লেক ভস্তক। বরফের ৪ কিলোমিটার নিচে নীরবে শুয়ে রয়েছে যেন এই হ্রদ। এই হিমবাহজাত হ্রদগুলি পৃথিবীর বাকি অংশের কাছে এখনও অজানা, এমনকী এই হ্রদে প্রাণের অস্তিত্বও থাকতে পারে।

জার্মানির আলফ্রেড ওয়েগনার ইনস্টিটিউটের ড. জোয়ান ক্লাগেস অ্যান্টার্কটিকার এই বরফের আস্তরণের নিচে বহু গোপন হ্রদ খুঁজে পেয়েছেন। তাঁর দলই প্রথম অ্যান্টার্কটকার মাটি থেকে অ্যাম্বার জীবাশ্ম আবিষ্কার করেছে। এর অর্থ হল ৯ কোটি বছর আগে এই অ্যান্টার্কটিকায় কোনও রেনফরেস্ট ছিল।