প্রত্যাবর্তন সফল দাবি রোশন গিরির || মঙ্গলবার পালটা সভা বিনয়পন্থীদের
- Published by:Arka Deb
Last Updated:
জিটিএ'র চেয়ারম্যান অনীত থাপার খাসতালুক হিসেবে পরিচিত কার্শিয়ংয়ে আজ দাপট দেখাল বিমলপন্থীরা।
advertisement
মঞ্চ থেকেই এক নেতা তো বলেই ফেললেন, "কার্শিয়াং অনীত থাপার নয়, অনীত কার্শিয়ংয়ের বাসিন্দা।" এদিনের সভায় বিমলপন্থী মোর্চার প্রথম সারির নেতাদের সুর ছিল বিনয় তামাং এবং অনীত থাপাদের বিরুদ্ধে। অবিলম্বে গত সাড়ে তিন বছরের নিটিএ'র হিসেবের অডিট দাবি করেছেন তারা। নইলে আরটিআই করা হবে। তাঁদের দাবি, পাহাড়ের উন্নয়নে কিছুই করেনি অনীতরা। যে অর্থ পেয়েছে তার ৭০ শতাংশ নেতাদের পকেট ভরিয়েছে। বাকি ৩০ শতাংশ টাকার কাজ হয়েছে। সেই কাজের মানও নিম্নমুখী।
advertisement
আজকের প্রত্যাবর্তনের সভা দেখে রোশনের বক্তব্য, "এটা তো ট্রায়াল। গুরুং এলে আরও ঘুরবে।" এ দিন তিনি অনেকটা সময় নেন কেন বিজেপির সঙ্গ ছাড়তে হল, তা বোঝাতে। প্রধানমন্ত্রী থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, একাধিক কেন্দ্রীয় ও রাজ্য বিজেপি নেতাদের একহাত নিয়ে রোশন বলেন, পাহাড়ে প্রথমে দার্জিলিং গোর্খা হিল কাউন্সিল, পরবর্তীতে জিটিএ কংগ্রেসের আমলেই হয়েছে। নেপালী ভাষার সাংবিধানিক স্বীকৃতিও কংগ্রেসের আমলে। বিজেপি মিথ্যে প্রতিশ্রুতি আর ধোঁকা ছাড়া কিছুই দেয়নি। তাই আর বিজেপি নয়।
advertisement
মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করে তিনি বলেন, উনি যা বলেন, তা করে দেখান। তাই টানা তিন বার ওনাকে মুখ্যমন্ত্রী করাই আমাদের লক্ষ্য। বিনয় তামাং এবং অনীত থাপা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ওরা গোর্খাল্যাণ্ডের দাবিকে বিক্রি করে দিয়েছে। ২০১৭ সালের আন্দোলনকে ভুল পথে ঘুরিয়েছে। ওঁদের সঙ্গে কোনও দিনও মঞ্চ শেয়ার করা হবে না। পাহাড়ে প্রচারও আলাদা আলাদা করেই করা হবে। সবমিলিয়ে একুশের লড়াইয়ের আগে পাহাড়ে মোর্চার দুই শিবিরের লড়াই জমজমাট। এর আগেও পাহাড়ে ক্ষমতার হাত বদল হয়েছে। তাতে লাভবান হয়েছে সমতলের দলগুলো। এবারে বিমল আর বিনয়ের সরাসরি লড়াইয়ে কে লাভবান হবে? বিজেপি না তৃণমূল? একুশের নির্বাচনেই তার উত্তর মিলবে। মঙ্গলবার পালটা সভার ডাক বিনয়পন্থী মোর্চার।