Air India Plane Crash Exclusive: ভেঙে পড়ার আগে কেন শক্তি হারায় এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান? প্লেন ভাঙার সব তথ্য টেলিমেট্রিতে

আহমেদাবাদে বিমান ভেঙে পড়ার ঠিক আগের মুহূর্তে কী হয়েছিল? এয়ার ইন্ডিয়া ১৭১ ভেঙে পড়া নিয়ে তথ্য পেতে তদন্তকারীরা এবার নজর দিতে পারেন আকাশে থাকা স্যাটেলাইট-ভিত্তিক টেলিমেট্রির উপর।

স্যাটেলাইট-ভিত্তিক টেলিমেট্রি একটি স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়া য দিয়ে বিমান থেকে তথ্য সংগ্রহ করে পাঠানো হয় একটি গ্রাউন্ড স্টেশন বা অন্যান্য দূরবর্তী স্থানে। এই তথ্য বিমানটির গতি, উচ্চতা এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেয়।

বিভিন্ন সেন্সর- অ্যাক্সিলোমিটার, জাইরোস্কোপ, তাপমাত্রা এবং প্রেশার সেন্সরগুলি ইতিমধ্যেই বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে তথ্য পেয়েছে। এই তথ্যগুলি উড়তে থাকা বিমানের মনিটরিংয়ের জন্য ব্যবহার করা হয়। তদন্তকারীরা মনে করছেন, বিমানে কী ধরনের যান্ত্রিক সমস্যা হয়েছিল যার ফলে এআই ১৭১ হঠাৎ শক্তি হারিয়ে ফেলে, সেই নিয়ে সঠিক তথ্য দিতে পারে এই ধরনের প্রযুক্তি।

লন্ডনগামী বিমানটি ১২ জুন দুপুর ১.৩৯ টায় সরদার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কয়েক মুহূর্ত পরে মেঘানিনগরে একটি বি জে মেডিকেল কলেজের হোস্টেল কমপ্লেক্সে বিধ্বস্ত হয়, যার ফলে ২৭০ জন নিহত হয়, যার মধ্যে ২৪১ জন বোর্ডে ছিল। শুধুমাত্র একজন যাত্রী বেঁচে ছিলেন। বি জে মেডিকেল কলেজের পাঁচজন এমবিবিএস ছাত্রও নিহত হয়।

বিমান দুর্ঘটনা তদন্ত ব্যুরো (AAIB), বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়ের একটি বিভাগ, ক্র্যাশের তদন্তের নেতৃত্ব দিচ্ছে। ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার (FDR) এবং ককপিট ভয়েস রেকর্ডার ধ্বংসাবশেষ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে, একটি গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার যা ভয়াবহ দুর্ঘটনার কারণ নির্ধারণে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।