Holi 2021: হোলির বহু নাম, খেলারও নিয়ম অনেক, জানুন

Last Updated:
হোলির প্রাক্কালে দেখে নেওয়া যাক দেশের কোন প্রান্তে এই রঙের উৎসবকে কী নামে ডাকা হয় আর কী ভাবেই বা তা উদযাপন করা হয়!
1/9
রঙের উৎসব পৃথিবীর অনেক দেশেই চোখে পড়ে। রঙ যেমন নিজস্ব কোনও একটি দেশের বা জাতির নয়, তেমনই একে নিয়ে উৎসবে মেতে ওঠার রীতিও সাবেকি। তফাতটা হয় কেবল উৎসবের নামে আর খেলার ধরনে। হোলির প্রাক্কালে দেখে নেওয়া যাক দেশের কোন প্রান্তে এই রঙের উৎসবকে কী নামে ডাকা হয় আর কী ভাবেই বা তা উদযাপন করা হয়!
রঙের উৎসব পৃথিবীর অনেক দেশেই চোখে পড়ে। রঙ যেমন নিজস্ব কোনও একটি দেশের বা জাতির নয়, তেমনই একে নিয়ে উৎসবে মেতে ওঠার রীতিও সাবেকি। তফাতটা হয় কেবল উৎসবের নামে আর খেলার ধরনে। হোলির প্রাক্কালে দেখে নেওয়া যাক দেশের কোন প্রান্তে এই রঙের উৎসবকে কী নামে ডাকা হয় আর কী ভাবেই বা তা উদযাপন করা হয়!
advertisement
2/9
ফাগুয়া (Phaguwa)-ফাগ মানে আবির। যে উৎসহে ফাগ নিয়ে খেলা হয়, তাকে অসমে বলা হয়ে থাকে ফাগুয়া। এই উৎসবের আগের দিন সন্ধ্যায় হোলিকা দহনের অনুষঙ্গে কুঁড়েঘর পোড়ানো হয় অসমে। পরের দিন সবাই মেতে ওঠেন রঙের খেলায়।
ফাগুয়া (Phaguwa)-ফাগ মানে আবির। যে উৎসহে ফাগ নিয়ে খেলা হয়, তাকে অসমে বলা হয়ে থাকে ফাগুয়া। এই উৎসবের আগের দিন সন্ধ্যায় হোলিকা দহনের অনুষঙ্গে কুঁড়েঘর পোড়ানো হয় অসমে। পরের দিন সবাই মেতে ওঠেন রঙের খেলায়।
advertisement
3/9
উকুলি (Ukkuli)-গোয়ায় বসন্তকে স্বাগত জানাতে এক মাস ধরে চলে উৎসব, তাকে বলা হয় শিগমো (Shigmo)। এই বসন্ত উৎসবের একটি দিন উদযাপিত হয় রং নিয়ে খেলা করে, তাকে বলা হয় উকুলি। এই উপলক্ষ্যে গোয়ায় নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়।
উকুলি (Ukkuli)-গোয়ায় বসন্তকে স্বাগত জানাতে এক মাস ধরে চলে উৎসব, তাকে বলা হয় শিগমো (Shigmo)। এই বসন্ত উৎসবের একটি দিন উদযাপিত হয় রং নিয়ে খেলা করে, তাকে বলা হয় উকুলি। এই উপলক্ষ্যে গোয়ায় নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়।
advertisement
4/9
ধুলেটি (Dhuleti)-আহমেদাবাদের এই অভিনব হোলি উদযাপনে যুবকেরা একে অন্যের কাঁধে ভর দিয়ে অনেকটা উঁচুতে ঝোলানো দইয়ের হাঁড়ি ভাঙেন এবং ধুলো নিয়ে খেলা করেন কৃষ্ণের ননী চুরির অনুষঙ্গ স্মরণে, একেই বলা হয় ধুলেটি।
ধুলেটি (Dhuleti)-আহমেদাবাদের এই অভিনব হোলি উদযাপনে যুবকেরা একে অন্যের কাঁধে ভর দিয়ে অনেকটা উঁচুতে ঝোলানো দইয়ের হাঁড়ি ভাঙেন এবং ধুলো নিয়ে খেলা করেন কৃষ্ণের ননী চুরির অনুষঙ্গ স্মরণে, একেই বলা হয় ধুলেটি।
advertisement
5/9
লঠমার হোলি (Lathmar Holi)-রাধার গ্রাম বরসনায় এই হোলি উদযাপনে নারীরা লাঠি দিয়ে পুরুষদের পিটিয়ে থাকেন। লোকবিশ্বাস, একদা রঙ খেলতে গিয়ে রাধা এবং তাঁর প্রমীলা বাহিনির হাতে এই ভাবেই বন্ধুবান্ধব সমেত নাকাল হয়েছিলেন কৃষ্ণ!
লঠমার হোলি (Lathmar Holi)-রাধার গ্রাম বরসনায় এই হোলি উদযাপনে নারীরা লাঠি দিয়ে পুরুষদের পিটিয়ে থাকেন। লোকবিশ্বাস, একদা রঙ খেলতে গিয়ে রাধা এবং তাঁর প্রমীলা বাহিনির হাতে এই ভাবেই বন্ধুবান্ধব সমেত নাকাল হয়েছিলেন কৃষ্ণ!
advertisement
6/9
বেদার বেশ (Bedara Vesha)-কর্নাটকের এই হোলি কিন্তু প্রতি বছর নয়, বরং এক বছর অন্তর খেলা হয়ে থাকে। হোলির পাঁচ দিন আগে থেকে বসে উৎসবের আসর, সেই উপলক্ষ্যে লোকনৃত্যও হয়ে থাকে।
বেদার বেশ (Bedara Vesha)-কর্নাটকের এই হোলি কিন্তু প্রতি বছর নয়, বরং এক বছর অন্তর খেলা হয়ে থাকে। হোলির পাঁচ দিন আগে থেকে বসে উৎসবের আসর, সেই উপলক্ষ্যে লোকনৃত্যও হয়ে থাকে।
advertisement
7/9
দোলযাত্রা (Dol Jatra)-এই উদযাপনের ধরন চোখে পড়ে পশ্চিমবঙ্গে। রাধাকৃষ্ণের যুগল বিগ্রহ এই দিন দোলনায় বসিয়ে দোল দেওয়া হয়, তাই উৎসবের নাম দোলযাত্রা। অনেক ক্ষেত্রে পালকি করে দেববিগ্রহকে এলাকায় ঘোরানোর রেওয়াজও আছে।
দোলযাত্রা (Dol Jatra)-এই উদযাপনের ধরন চোখে পড়ে পশ্চিমবঙ্গে। রাধাকৃষ্ণের যুগল বিগ্রহ এই দিন দোলনায় বসিয়ে দোল দেওয়া হয়, তাই উৎসবের নাম দোলযাত্রা। অনেক ক্ষেত্রে পালকি করে দেববিগ্রহকে এলাকায় ঘোরানোর রেওয়াজও আছে।
advertisement
8/9
হল্লা মহল্লা (Holla Mohalla)-দশম ধর্মগুরু গোবিন্দ সিং (Guru Gobind Singh) শিখদের মধ্যে এই উৎসব উদযাপনের রেওয়াজ চালু করেছিলেন। এই দিনটি মূলত শিখদের যুদ্ধবিদ্যায় দীক্ষার দিন, তাই পঞ্জাবের বেশ কিছু অংশে অস্ত্র নিয়ে বীরত্বব্যঞ্জক খেলা চলে।
হল্লা মহল্লা (Holla Mohalla)-দশম ধর্মগুরু গোবিন্দ সিং (Guru Gobind Singh) শিখদের মধ্যে এই উৎসব উদযাপনের রেওয়াজ চালু করেছিলেন। এই দিনটি মূলত শিখদের যুদ্ধবিদ্যায় দীক্ষার দিন, তাই পঞ্জাবের বেশ কিছু অংশে অস্ত্র নিয়ে বীরত্বব্যঞ্জক খেলা চলে।
advertisement
9/9
য়াওসাং (Yaosang)-মণিপুরে হোলির উৎসব চলে পাঁচ দিন ধরে। তাঁরা দেবতা পাখাংবার (Pakhangba) উদ্দেশে পুজো দেন, হোলিকা দহনের অনুষঙ্গে কুঁড়েঘর জ্বালান। ছোট ছেলেমেয়েরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে চাঁদা আদায় করে। ক্রীড়া প্রতিযোগিতারও আসর বসে এই উপলক্ষ্যে।
য়াওসাং (Yaosang)-মণিপুরে হোলির উৎসব চলে পাঁচ দিন ধরে। তাঁরা দেবতা পাখাংবার (Pakhangba) উদ্দেশে পুজো দেন, হোলিকা দহনের অনুষঙ্গে কুঁড়েঘর জ্বালান। ছোট ছেলেমেয়েরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে চাঁদা আদায় করে। ক্রীড়া প্রতিযোগিতারও আসর বসে এই উপলক্ষ্যে।
advertisement
advertisement
advertisement