পাগড়িতেই রহস্য! প্রতি বছর ১৫ অগাস্ট পাগড়ির রঙে, নকশায় আলাদা সংকেত মোদির! জানেন সেগুলো কী?

এ বছর ৭৯তম স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বেছে নিলেন বিশুদ্ধ গেরুয়া পাগড়ি—যা সাহস, ত্যাগ, আধ্যাত্মিকতা ও ভারতীয় সংস্কৃতির গভীর প্রতীক। লালকেল্লার প্রাচীর থেকে ভাষণ দেওয়ার সময় তাঁর মাথায় থাকা এই গেরুয়া কেবল ফ্যাশন নয়, বরং এক সাংস্কৃতিক বার্তা—জাতির নিরাপত্তা, ঐক্য ও আত্মত্যাগের শপথের প্রতীক।

প্রধানমন্ত্রীর স্বাধীনতা দিবসের পাগড়ি বরাবরই আলোচনার কেন্দ্র। প্রতিবারই তিনি এমন রং ও নকশা বেছে নেন, যা কোনও না কোনওভাবে দেশের মেজাজ, পরিস্থিতি বা বিশেষ প্রচারাভিযানকে প্রতিফলিত করে।

বিগত বছরের রঙ ও প্রতীকী অর্থ: ২০১৭ সাল — মোদির পাগড়ি উৎসবের লাল ও হলুদ, যা আনন্দ ও সমৃদ্ধির বার্তা দেয়।

২০১৮ সাল— মোদির পাগড়ি গেরুয়ার শক্তি ও সারল্য, সাহস আর ত্যাগের প্রতীক।

২০১৯ সাল— একেবারে রঙিন, যেন শিল্প ও বৈচিত্র্যের উদযাপন।

২০২০ সাল— অতিমারীর সময়ের বাস্তবতা ফুটিয়ে তুলতে গেরুয়ায় সাদার মিশেল—আশা ও সতর্কতার প্রতীক।

২০২১ সাল— গেরুয়া জমিতে গোলাপি নকশা, যা ছিল এক মিশ্র সাংস্কৃতিক আবেদন।

২০২২ সাল— 'হর ঘর তেরঙা' প্রচারে অনুপ্রাণিত তেরঙা পাগড়ি, তিন রঙের ঐক্যের বার্তা।

২০২৩ সাল— গেরুয়া পাগড়ির এক ভিন্ন রূপ—বাঁধনির নকশা তোলা সাদা-সবুজ, লোকশিল্পের গর্ব।

২০২৪ সাল— রাজস্থানের মরুভূমির ঝড় থেকে অনুপ্রাণিত কালো ডোরা কাটা হলদে-কমলা পাগড়ি।

২০২৫ সাল— এ বছর মোদি বেছে নিয়েছেন শুদ্ধ গেরুয়া, কোনও মিশ্র রং বা নকশা ছাড়া—যেন এক অটল সংকল্পের প্রকাশ। এই গেরুয়া প্রতীক ত্যাগ, শৌর্য ও নৈতিক দৃঢ়তার, যা তাঁর ঘোষিত মিশন সুদর্শন ও দেশের প্রতিরক্ষা সংকল্পের সঙ্গেও মিল খায়।