দিল্লি মেট্রোর ইতিহাসে সবচেয়ে গভীর সুড়ঙ্গ নির্মাণ DMRC-এর, প্রকল্প পরিদর্শন করলেন মুখ্যমন্ত্রী
- Published by:Siddhartha Sarkar
- trending desk
Last Updated:
Delhi Meto Phase-4 News: ফেজ ৪-এ গোল্ডেন লাইন রুটে খুব শীঘ্রই মেট্রো চালুর সম্ভাবনা রয়েছে। এই রুটেই দিল্লি মেট্রোর ইতিহাসে সবচেয়ে গভীর সুড়ঙ্গ নির্মাণ করেছে ডিএমআরসি। প্রকল্পের কাজ পরিদর্শনে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্ত। তাঁর সঙ্গে ছিলেন মনজিন্দর সিং বিরসা।
ইতিহাস গড়ল দিল্লি মেট্রো। এয়ারোসিটি-তুঘলকাবাদ রুটের কাজ প্রায় শেষ। ফেজ ৪-এ গোল্ডেন লাইন রুটে খুব শীঘ্রই মেট্রো চালুর সম্ভাবনা রয়েছে। এই রুটেই দিল্লি মেট্রোর ইতিহাসে সবচেয়ে গভীর সুড়ঙ্গ নির্মাণ করেছে ডিএমআরসি। প্রকল্পের কাজ পরিদর্শনে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্ত। তাঁর সঙ্গে ছিলেন মনজিন্দর সিং বিরসা।
advertisement
দিল্লি মেট্রো রেল কর্পোরেশন (DMRC) মঙ্গলবার জানায়, এয়ারোসিটি-তুঘলকাবাদ করিডোরের (গোল্ডেন লাইন) ইগনু স্টেশন সাইটে (ছাতরপুর মন্দির থেকে) টানেল বোরিং মেশিনের মাধ্যমে ফেজ-৪-এর সবচেয়ে গভীর ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গ নির্মাণের কাজ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। সেই উপলক্ষ্যেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা ও মন্ত্রী মনজিন্দর সিংহ সিরসা প্রকল্প পরিদর্শনে যান। নতুন সুড়ঙ্গের গড় গভীরতা ২৭ মিটার। ন্যূনতম গভীরতা ১৮ মিটার ও সর্বোচ্চ ৩৯ মিটার। এটি দিল্লি মেট্রোর সবচেয়ে গভীর সুড়ঙ্গ। (Representative Image)
advertisement
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ছাতরপুর মন্দির ও ইগনু স্টেশনের মধ্যে একটি সমান্তরাল সুড়ঙ্গ নির্মাণ করা হয়েছে। তার কাজ শেষ হয়েছে ২৫ ফেব্রুয়ারি। এই রুটের আপ ও ডাউন, উভয় লাইনের টানেল নির্মাণ কাজ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে, ফেজ-২-এর ম্যাজেন্টা লাইনে হৌজ খাস স্টেশনের নীচে প্রায় ৩০ মিটার গভীরে সুড়ঙ্গ তৈরি করা হয়। এয়ারপোর্ট এক্সপ্রেস লাইনের রাজীব চৌক মেট্রো স্টেশনের নীচে প্রায় ৪৫ মিটার গভীরে আরও একটি সুড়ঙ্গ তৈরি করা হয়েছে।
advertisement
এই সুড়ঙ্গ নির্মাণে মোট ১০৪৮টি রিং বসানো হয়েছে, যার অভ্যন্তরীণ ব্যাস ৫.৮ মিটার। ইপিবিএম (Earth Pressure Balancing Method - EPBM) প্রযুক্তিতে তৈরি করা হয়েছে এই সুড়ঙ্গ। প্রি-কাস্ট টানেল রিং দিয়ে কংক্রিট লাইনিং করা হয়েছে। এই টানেল রিংগুলো মুণ্ডকা এলাকার সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় কাস্টিং ইয়ার্ডে প্রস্তুত করা হয়েছে। কংক্রিট সেগমেন্টের দৃঢ়তা নিশ্চিত করতে ব্যবহার করা হয়েছে স্টিম কিওরিং সিস্টেম। সুড়ঙ্গ খননের সময় খাড়া ঢাল, অভ্রক ও কঠিন শিলা স্তরের মতো বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয় শ্রমিকদের। স্ক্রু অগার (Screw Auger) ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রকল্প বাস্তবায়ন করাই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
advertisement