Cyclone Montha Update: ২৪ ঘণ্টা পরই ‘তোলপাড়’...! ১১০ কিমি বেগে তেড়ে আসছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’, এবার কি জাঁকিয়ে পড়বে শীত? এল আবহাওয়ার বিরাট আপডেট

দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপ ইতিমধ্যেই ধীরে ধীরে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে৷ শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় মন্থা ল্যান্ডফল করবে অন্ধ্রপ্রদেশের কাকিনাড়াতে।

২৮ অক্টোবর মঙ্গলবার সন্ধে বা রাতে স্থলভাগে প্রবেশের প্রবল সম্ভাবনা। ল্যান্ডফলের সময় গতিবেগ সর্বোচ্চ ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।

দক্ষিণ বা মধ্য বঙ্গোপসাগরে মৎস্যজীবীদের যেতে ইতিমধ্যেই নিষেধ করা হয়েছে। ২৮ অক্টোবর মঙ্গলবার থেকে মৎস্যজীবীদের বাংলার উপকূলে সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা। ২৭ তারিখের মধ্যে গভীর সমুদ্র থেকে উপকূলে ফিরে আসতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

তামিলনাড়ুতে একটি কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় জেলেদের সমুদ্রে না যাওয়ার জন্য সতর্ক করা হয়েছে। সমুদ্রে ইতিমধ্যেই থাকা জেলেদের উচ্চ ঢেউ এবং তীব্র বাতাসের ঝুঁকির কারণে অবিলম্বে তীরে ফিরে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

শীত শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘূর্ণিঝড়টি দক্ষিণ ভারতে বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। তবে শীতকালেই কেন বেশিরভাগ ঘূর্ণিঝড় হয়? এ নিয়েই উঠছে প্রশ্ন৷

বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে শীতকালে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয় কারণ সমুদ্রের জল এখনও উষ্ণ থাকে, এমনকি আবহাওয়া ঠান্ডা হয়ে গেলেও। ঘূর্ণিঝড় তৈরির জন্য, সমুদ্র পৃষ্ঠের তাপমাত্রা প্রায় ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি হতে হবে।

উষ্ণ জল বায়ুমণ্ডলে নিম্নচাপ তৈরি করে, বায়ুমণ্ডলে নিম্নচাপ তৈরি করে। যখন এই নিম্নচাপটি তীব্র বাতাস এবং আর্দ্রতার সঙ্গে একত্রিত হয়ে ঘূর্ণিঝড় তৈরি করে, তখন ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়।

ভারতে অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়কালে, বাতাসের দিক এবং চাপ পরিবর্তিত হয়, যার ফলে বঙ্গোপসাগর এবং আরব সাগরের মতো অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। শীতের শুরুতেও এই সমুদ্রের জল বেশ উষ্ণ থাকে, যা ঝড়ের জন্য শক্তি সরবরাহ করে।

আসলে, ঠান্ডা আবহাওয়া সরাসরি ঘূর্ণিঝড়ের কারণ হয় না। বরং শীতকাল শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সমুদ্রের উষ্ণতা এবং পরিবর্তিত বাতাসের সংমিশ্রণ ঘূর্ণিঝড়ের জন্য একটি আদর্শ পরিবেশ তৈরি করে। ডিসেম্বরের পরে সমুদ্র ঠান্ডা হলে, ঝড়ের সম্ভাবনা হ্রাস পায়। ঘূর্ণিঝড়ের পরই কি জাঁকিয়ে পড়বে শীত?

সোমবার রাত থেকেই আবহাওয়ার পরিবর্তন হবে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা। মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। বুধ অথবা বৃহস্পতিবার বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।

দক্ষিণবঙ্গে আজ থেকেই হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা। উপকূলে ঝোড়ো হাওয়া। মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি। দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, হাওড়া, পুরুলিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ জেলাতে। পাহাড়েও ভারী বৃষ্টির সতর্কতা।