নয়াদিল্লি: মধ্য বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন দক্ষিণ-পূর্বে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় অত্যন্ত প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। শুক্রবার সকালে আইএমডি জানিয়েছে যে 'মোকা' গত ছয় ঘণ্টায় ৯ কিলোমিটার সরে গেছে। প্রতি ঘণ্টায় উত্তর দিকে এগোচ্ছে এই সাইক্লোন। ১২ মে সকাল ৫.৩০-এ ঘূর্ণিঝড়টি পোর্ট ব্লেয়ার থেকে প্রায় ৫২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল৷ বিকেলের মধ্যে সেটি আরও খানিকটা এগিয়ে এসেছে৷
মৌসম ভবন আরও জানিয়েছে, এটি উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে তীব্রতর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এটি ১৪ মে বিকেলের দিকে সিটওয়ের কাছে কক্সবাজার (বাংলাদেশ) এবং কিউকপিউ (মায়ানমার) এর মধ্যবর্তী উপকূল অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে। এটি একটি অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হচ্ছে৷ যেখানে বাতাসের গতিবেগ ১৫০-১৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় গতিতে পৌঁছে যাবে৷
ঘূর্ণিঝড় মোকা 'গুরুতর' হয়ে উঠতে পারে এই আশঙ্কায় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ) পশ্চিমবঙ্গের দিঘায় আটটি দল এবং ২০০ জন উদ্ধারকারী মোতায়েন করেছে। এনডিআরএফ-এর দ্বিতীয় ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট গুরমিন্দর সিং বলেছেন যে 'ওয়েদার ফোরকাস্ট অনুসারে, ঘূর্ণিঝড় মোচা ১২ মে একটি প্রবল ঝড়ে এবং ১৪ মে একটি অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে।'
সন্দেশখালি, হিঙ্গলগঞ্জ এবং হাসনাবাদ এলাকায়, যেখানে দুর্বল বাঁধ রয়েছে, দ্রুত মেরামতের জন্য নির্দেশ জারি করা হয়েছে। একই সঙ্গে স্থানীয় পঞ্চায়েতগুলিকে দিনরাত বাঁধ পরিদর্শনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলা উপকূলে ত্রাণ শিবিরসহ মোট ৫৬টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র সক্রিয় করা হয়েছে এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।