White Hair Colouring: বেকার দামি কালার-কলপ! আমলকি আর কালো চায়ের গুণে সাদা চুল কালো টানা কয়েক মাস!

আজকাল অল্প বয়সে সাদা চুলের সমস্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বেশিরভাগ তরুণ-তরুণী অকালে চুল পাকার সমস্যায় ভুগছেন। মানসিক চাপ, খারাপ খাদ্যাভ্যাস, বায়ু দূষণ, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা এবং রাসায়নিক-ভিত্তিক পণ্যের অতিরিক্ত ব্যবহার চুলের প্রাকৃতিক রঙ দ্রুত নষ্ট করে দিতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে, লোকেরা চুলের রঙ এবং রঙ করার পণ্যের দিকে ঝুঁকে পড়ে, যা চুলের গোড়ার আরও ক্ষতি করে। আমরা আপনাকে বলব কীভাবে প্রাকৃতিক চুলের রঙ তৈরি করবেন এবং কীভাবে এটি আপনার চুলকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, রাসায়নিক ভিত্তিক চুলের রঙে অ্যামোনিয়া, হাইড্রোজেন পারক্সাইড এবং অন্যান্য ক্ষতিকারক উপাদান থাকে যা চুলকে সাময়িকভাবে কালো করে তোলে কিন্তু দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি করে। তবে, ঘরে তৈরি ভেষজ চুলের রঙ কেবল প্রাকৃতিক রঙই প্রদান করে না বরং এটিকে পুষ্টিও দেয়। এগুলি চুলের গোড়াকে শক্তিশালী করে এবং চুল পড়া কমাতে পারে। তবে, প্রাকৃতিক চুলের রঙ তাৎক্ষণিক ফলাফল দেখায় না। অতএব, ধৈর্য ধরুন এবং ধারাবাহিকতা বজায় রাখুন। অ্যালার্জির ঝুঁকি নির্ধারণের জন্য প্রথমবার ব্যবহারের আগে সর্বদা একটি প্যাচ পরীক্ষা করুন।

প্রাকৃতিক কালো চুলের রঙ তৈরি করতে আপনার ২ টেবিল চামচ মেহেন্দি গুঁড়ো, ১ টেবিল চামচ ভৃঙ্গরাজ গুঁড়ো, ১ চা চামচ নীল গুঁড়ো, ১ চা চামচ আমলকি গুঁড়ো এবং ১/২ কাপ হালকা গরম জল বা কালো চা লাগবে। সমস্ত গুঁড়ো একটি পেস্টে মিশিয়ে ৪-৫ ঘন্টা ঢেকে রেখে দিন। তারপর এই মিশ্রণ আপনার চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত লাগিয়ে ২ ঘণ্টা রেখে দিন। সাধারণ জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এবং শ্যাম্পু করা এড়িয়ে চলুন। সপ্তাহে একবার এটি ব্যবহার করুন।

এই ভেষজ চুলের রঙে থাকা আমলকি চুলকে পুষ্টি জোগায়, মেহেন্দি মাথার ত্বককে প্রশান্ত করে, ভৃঙ্গরাজ চুলের বৃদ্ধি বাড়ায় এবং নীল চুলকে আরও গভীর রঙ দিতে সাহায্য করে। নিয়মিত ব্যবহারে চুল কেবল কালো এবং চকচকে হয় না, বরং ভাঙা এবং চুল পড়াও কমায়।

আমলকি রস, নারকেল তেলে কারি পাতা ফুটিয়ে তৈরি তেল এবং রিঠা এবং শিকাকাই দিয়ে তৈরি চুল ধোয়া চুল কালো রাখার জন্য খুবই কার্যকর। একই সঙ্গে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার এবং পর্যাপ্ত জল গ্রহণও অপরিহার্য।