শুধুমাত্র সৌন্দর্য সচেতন হলেই মানুষ সাবান ব্যবহার করেন তা কিন্তু নয়। এটা হল পরিচ্ছন্ন থাকার অপরিহার্য অঙ্গ। কেউ এই বিষয়ে শৌখিন, কেউ শুধু প্রয়োজনটুকু মিটিয়ে নেন। তবে সৌন্দর্য ধরে রাখতে গেলে ত্বক অনুযায়ী সাবান ব্যবহার করা প্রয়োজন। তাছাড়া এটাও মাথায় রাখতে হবে ত্বকের সমস্যার প্রধান কারণ পিএইচ স্তর। সাধারণ বাণিজ্যিক সাবানের পিএইচ মাত্রা ৯ থেকে ১১-র মধ্যে থাকে। যা ত্বকের পিএইচ মাত্রা বাড়িয়ে নানা সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। তাই কোন সাবান কোন ধরনের ত্বকের জন্য প্রয়োজন সেটা বুঝে নেওয়া জরুরি।
অ্যান্টি-ব্রন সাবান: অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, এক্সফোলিয়েটিং এবং কমেডোলাইটিক বৈশিষ্ট্য সহ অনেক সাবান এখন পাওয়া যায়। ব্রনরোধী সাবানগুলি মূলত মুখ, বুক এবং পিঠে যেখানে ব্রন বেশি হয় সেখানে ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়। দিনে দুবার ব্যবহার করতে বলেন বিশেষজ্ঞরা। অতিরিক্ত ব্যবহারে ত্বকে লাল ফ্ল্যাকি প্যাচ সৃষ্টি করতে পারে।
ভেষজ সাবান: এর মধ্যে রয়েছে ক্যামোমাইল, ল্যাভেন্ডার, পেপারমিন্ট, স্পিয়ারমিন্ট, ওটমিল এবং অ্যাভোকাডোর মতো ভেষজ উপাদান। এই সাবান অলিভ অয়েল এবং শিয়া বাটারের সঙ্গেও ব্যবহার করা যায়। অলিভ অয়েল ত্বক-পুনরুজ্জীবন এবং উজ্জ্বলতার বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত, এতে ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা র্যাডিকেলগুলিকে দূরে রাখে।
ময়েশ্চারাইজিং সাবান: এ ধরনের সাবান ত্বককে আর্দ্র করে। বিশেষ করে শুষ্ক ত্বকের জন্য এ ধরনের সাবান প্রয়োজন। এই সাবানে তেলের পরিমাণ বেশি থাকে। যেমন ক্রিম, কোকো বাটার, নিউট্রাল ফ্যাট, ল্যানোলিন ইত্যাদি থাকে। সাবানের ক্ষারীয় ভাবের জন্য ত্বক শুষ্ক ও খসখসে হয়। তাই ময়েশ্চারাইজিং সাবানে ক্ষার কম থাকে এবং নিউট্রাল হয়।