ব্যস্ত জীবনযাপন এবং অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়ার অভ্যেস বাড়ছে। ফলে সারা বিশ্বেই পুরুষদের মধ্যে একটা সাধারণ সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আর সেটা হল শুক্রাণুর সংখ্যা কমে যাওয়া বা ওলিগোস্পার্মিয়া। এ ক্ষেত্রে অবশ্য পিছিয়ে নেই আমাদের দেশও। শুধু জীবনযাত্রাই নয়, কিছু শারীরিক সমস্যার জেরেও ওলিগোস্পার্মিয়া হতে পারে। আর শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে বন্ধ্যাত্বের মতো সমস্যাও আসতে পারে। যার ফলে মানসিক চাপ বাড়ে। সব মিলিয়ে রোগীর জীবনের উপর ব্যাপক প্রভাব পড়তে শুরু করে। এ-ক্ষেত্রে তাই ঝুঁকির বিষয়গুলি এড়িয়ে চলতে হবে। সেই সঙ্গে চিকিৎসা বিকল্পগুলির দিকটাও খতিয়ে দেখা বাঞ্ছনীয়।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আর সুচিন্দ্র জানাচ্ছেন কীভাবে একজন পুরুষ তার শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়াতে পারে৷ নিয়মিত ব্যায়াম এবং স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়াতে পারে এবং ফার্টিলিটিও বাড়াতে পারে। গবেষণা অনুসারে, যেসব পুরুষ নিয়মিত ব্যায়াম করেন তাদের টেসটোসটেরনের মাত্রা বেশি।ভিটামিন ডি, সি, ই, এবং CoQ10 এর মতো ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা এবং প্রচুর ফল এবং শাকসবজি খাওয়ার মতো স্বাস্থ্যকর খাদ্য, যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ শুক্রাণুর স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
এখানেই শেষ নয়, অতিরিক্ত পরিমাণ অ্যালকোহল সেবন এবং অ্যানাবলিক স্টেরয়েড ও কোকেনের মতো উপাদানও এই অবস্থার জন্য দায়ী। এ-ছাড়া মানসিক চাপ বা স্ট্রেসও সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর কারণে আচমকা ওজন বেড়ে যেতে পারে, ঘুমে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। সেই সঙ্গে ফার্টিলিটি সাইকেলেও মানসিক চাপ ব্যাপক প্রভাব ফেলে। এর বাইরে অবশ্য কিছু মেডিকেল কারণও রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম যৌনবাহিত সংক্রমণ, অ্যান্টিবায়োটিকের মতো ওষুধ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই খেয়ে নেওয়া এবং হরমোনের ভারসাম্যে ঘাটতি প্রভৃতি। আবার ভ্যারিকোসিলের জেরে স্ক্রোটাম অংশের শিরাগুলি আকারে বৃদ্ধি পায়। যার ফলে টেস্টিসে রক্তপ্রবাহে ব্যাঘাত ঘটে। শুধু তা-ই নয়, রেট্রোগ্রেড ইজাকুলেশনের কারণেও ওলিগোস্পার্মিয়া দেখা দিতে পারে।