Japanese Cry therapy: 'কাঁদো, কাঁদা প্র্যাকটিস করো'- কান্নায় জীবনের মানে খোঁজার পাঠ শেখাচ্ছে জাপান

Last Updated:
গোটা বিশ্ব যেখানে ভাল থাকার জন্য হাসিকেই প্রাধান্য দিচ্ছে। সেখানে জাপানিরা কিন্তু উল্টো পথে হাঁটছেন।
1/6
বিজ্ঞানমতে স্বপ্নে নিজেকে কাঁদতে দেখার অর্থ হল,আপনি মনের চাপা ইমোশন,ফিলিংস ও যন্ত্রণাগুলি কাউকে বলতে চান। সেটারাগ হতে পারে, দুঃখহতে পারে, আনন্দ হতে পারে। আপনার মনে জমা হওয়া ইমোশনগুলো বার হওয়ার রাস্তা পাচ্ছে না, তাই স্বপ্নে আসছে। অনেক ক্ষেত্রে স্বপ্নে কাঁদা ডিপ্রেশনের ইঙ্গিত হতে পারে।
গোটা বিশ্ব যেখানে ভাল থাকার জন্য হাসিকেই প্রাধান্য দিচ্ছে। করানো হচ্ছে হাসির ক্লাস। দিকে দিকে তৈরি হচ্ছে 'লাফিং ক্লাব', দুঃখ পেলে বলা হচ্ছে, 'যা হয়েছে মেনে নিয়ে এগিয়ে চলো, কারণ এগিয়ে চলাই জীবন!' সেখানে জাপানিরা কিন্তু উল্টো পথে হাঁটছেন।
advertisement
2/6
 তাঁরা বলছেন অন্য কথা, জাপানিদের মতে কেঁদে মন হালকা হওয়া যায়। ভাল থাকা যায়।
তাঁরা বলছেন অন্য কথা, জাপানিদের মতে কেঁদে মন হালকা হওয়া যায়। ভাল থাকা যায়।
advertisement
3/6
স্বপ্নে কাছের কোনও মৃত মানুষকে কাঁদতে দেখার অর্থ হল, আপনি সেই মানুষটাকে মনে মনে হারাচ্ছেন। জ্যোতিষমতে মানা হয়, স্বপ্নে কাছের কোনও মৃত মানুষকে কাঁদতে দেখার অর্থ হল, আপনি জীবনে ভুল পথে চলছেন,আপনাকে জীবনের রাস্তা বদলাতে হবে।
কেঁদে ভাল থাকার এই পদ্ধতি, এই পদ্ধতির একটি জাপানি নামও দিয়েছে তারা। এই পদ্ধতির নাম হল- 'রুইকাতসু'। যার মূল মন্ত্র হল- কাঁদো, কাঁদা অভ্যাস করো। তবে এই কান্না দুর্বলতা থেকে নয়। কষ্টকর আবেগ থেকে মুক্তির জন্য, নিজেকে আবার নতুন করে উঠিয়ে দাঁড় করানোর জন্য, আবেগ আর মনের ছেঁড়া তার আবার জোড়া লাগানোর জন্য।
advertisement
4/6
এই ঘটনা ঘটার পর হেনরির সঙ্গে সব সম্পর্ক ভেঙে ফেলেন মহিলা। দু'বছর কেটে যায়। এরপর আসে আরেকটা বড় চমক। আচমকাই এরকদিন মহিলার মেয়ে এসে তাঁকে জানান, হেনরি নাকি বদলে গিয়েছে, তাঁরা বিয়ে করছেন। মহিলা ভাবেন তিনি তাঁর মেয়েকে সবটা সত্যি জানাবেন। কিন্তু হেনরি তাঁকে হুমকি দেয় সব কথা গোপন রাখতে।
জাপানে 'রুই' শব্দের অর্থ 'কাঁদা'এবং 'কাতসু' মানে এমন কাজ বা ক্রিয়াকলাপ যাতে নিজের আত্মোন্নতি হয়। তাই একসঙ্গে এর অর্থ হল আত্মোন্নতির স্বার্থে কাঁদা। জাপানে এখন এটি শুধু ভাবনা নয়, প্রতি মুহূর্তে ছুটে চলা এই দেশে যেখানে একটা সময় মানুষ তাঁদের আবেগকে প্রকাশ করতে চেয়েছিলেন।
advertisement
5/6
 এই ভাবনার শুরুটা হয়েছিল ২০১৩ সালে। জাপানে রুইকাতসুর ভাবনা প্রথম এনেছিলেন হিডেফুমি ইওশিডা। হাইস্কুলের অবসর প্রাপ্ত এই শিক্ষক মনে করেন, কান্না মানুষের কখনই দুর্বলতা নয়। বরং, কান্না মানুষের শক্তি। আবেগ প্রকাশের অন্যতম কার্যকরী উপায়।
এই ভাবনার শুরুটা হয়েছিল ২০১৩ সালে। জাপানে রুইকাতসুর ভাবনা প্রথম এনেছিলেন হিডেফুমি ইওশিডা। হাইস্কুলের অবসর প্রাপ্ত এই শিক্ষক মনে করেন, কান্না মানুষের কখনই দুর্বলতা নয়। বরং, কান্না মানুষের শক্তি। আবেগ প্রকাশের অন্যতম কার্যকরী উপায়।
advertisement
6/6
 একই কথা বলেছে জাপানের তোহো বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে বলা হচ্ছে, নিয়মিত কান্না মানসিক উদ্বেগ কমায়, হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক রাখে। এছাড়াও, কাঁদলে ঘুমও ভাল হয়।
একই কথা বলেছে জাপানের তোহো বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে বলা হচ্ছে, নিয়মিত কান্না মানসিক উদ্বেগ কমায়, হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক রাখে। এছাড়াও, কাঁদলে ঘুমও ভাল হয়।
advertisement
advertisement
advertisement