পরিবার, বন্ধু বা অন্যত্র৷ সম্পর্ক যেখানেই থাকুক, মনোমালিন্যও সেখানে আসন পেতে বসে৷ রাগ, ক্ষোভ এবং শেষে অনুশোচনা৷ সম্পর্ক যত ঘনিষ্ঠ, আবেগ তত বেশি৷ আমরা যতই চেষ্টা করি না কেন, ফাঁকফোঁকড় দিয়ে কখন যেন মনোমালিন্য ঠিক ঢুকে পড়ে৷ মাঝে মাঝে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়৷ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সঠিক আলোচনার অভাবে দ্বন্দ্ব বাড়ে৷ রাগ হলে সঠিক সিদ্ধান্তও নেওয়া যায় না৷ এক এক জনের রাগ হলে মাথার ঠিক থাকে না৷ মুখের অর্গলও খসে পড়ে সে সময়৷ পরে অনুশোচনার মাত্রাও হয় তীব্র৷ উত্তপ্ত কথাকাটাকাটির পর কী করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা যায়, তার জন্য রইল কিছু টিপস৷ বিবাদ যত দ্রুত সম্ভব মিটিয়ে ফেলুন৷ অযথা বেশি ক্ষণ কথা কাটাকাটি চালিয়ে যাবেন না৷ যদি বুঝতে পারেন দোষ আপনার ছিল, তাহলে ক্ষমা চাইতে বা দুঃখপ্রকাশ করতে দ্বিধা করবেন না৷ এতে আপনি অপর জনের কাছে ছোট হয়ে যাবেন না৷ মতানৈক্যর পর কিছু ক্ষণ গভীর ভাবে প্রশ্বাস নিন৷ আপনার পালস রেট এবং রক্তচাপকে স্বাভাবিক হওয়ার সময় ও সুযোগ দিন৷ চোখ বন্ধ করে থাকুন৷ মন শান্ত হবে৷ সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে৷ বদমেজাজ ও রগচটা স্বভাবের কারণে অনেকে ঘন ঘন ঝগড়া বিবাদে জড়িয়ে পড়েন৷ মেজাজের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য নিয়মিত শারীরিক অনুশীলন করুন৷ শরীরচর্চার জন্য বেশি সময় না থাকলে চট করে কয়েক পাক হেঁটে বা দৌড়ে নিন৷ সাঁতার কাটার অভ্যাস থাকলেও ভাল৷ আসবাবপত্র সরানো, দোকানবাজার করা, বাগানের পরিচর্যা-এই কাজগুলোও স্ট্রেস দূর করে৷ দিনের কিছু ক্ষণ সময় হলেও মেডিটেট করুন৷ ঠান্ডা মাথায় নিজের সমস্যা এবং আবেগ নিয়ে কথা বলুন অপর জনের সঙ্গে ৷ স্ত্রী, ঘনিষ্ঠ বন্ধু, পড়শি-যাঁর সঙ্গে কথা বলে আপনার মনের অস্থিরতা দূর হয়, তাঁর সঙ্গে কথা বলুন৷ প্রয়োজনে মনোবিদের সাহায্য নিতেও ভুলবেন না৷