Superfood Cockroach Milk: পুষ্টিগুণে ঠাসা ‘এই’ আরশোলার দুধ, রয়েছে অ্যামিনো অ্যাসিড, প্রোটিনের মেগা উৎস, গরুর দুধে যা কিসসু নেই
- Published by:Debalina Datta
- news18 bangla
Last Updated:
Superfood Cockroach Milk: দুধ তো রোজই খাচ্ছেন, শরীরে পুষ্টি তো লাগছেই, কিন্তু জানেন কি গরুর দুধকে বলে বলে গোল দেবে আরশোলার দুধ
: মাতৃদুগ্ধের প্রয়োজম সবার৷ শুধুমাত্র মানুষই যে নিজের সন্তানদের বড় করতে মাতৃদুগ্ধ এবং দুধের প্রয়োজনীয়তা৷ তবে শুধু মানুষই নয়, সমস্ত প্রাণীজগতের মায়েরাই নিজেদের দুধ খাইয়েই সন্তানদের বড় করে৷ তবে সম্প্রতি এক প্রাণীর দুধের দুরন্ত গুণের খাজানা সকলকে হতবাক করে দিয়েছে৷ এই দুধ হচ্ছে আরশোলার দুধ৷ এটিকে বিজ্ঞানীরা বলছেন সুপারফুড৷ এই তথ্য কৌতূহল এবং বিতর্ক দুইয়েরই জন্ম দিয়েছে। Photo- Representative
advertisement
গবেষকরা আবিষ্কার করেছেন প্যাসিফিক বিটল যার বিজ্ঞানসম্মত নাম Diploptera punctata- অর্থাৎ সোজা বাংলায় আরশোলা নিজের বাচ্চাদের খাওয়ানোর জন্য একটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ‘দুধের মতো’ পদার্থ তৈরি করে। কিছু গবেষণায় দেখা যায় যে এই দুধে প্রোটিন ক্রিস্টাল রয়েছে যা প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড, চর্বি এবং শর্করার সঙ্গে যুক্ত হয়৷ যা গরুর দুধের চেয়ে চারগুণ বেশি পুষ্টি সরবরাহ করে।
advertisement
advertisement
তবে সব আরশোলার দুধে এই কেরামতিও নেই৷ প্যাসিফিক বিটল-রা ডিম পারে না, তাদের মহিলাদের শরীর থেকে এক রকম হালকা হলুদ দুধ নিঃসৃত হয়৷ এই দুধের ওপরের রিসার্চ নিয়ে জার্নাল অফ দ্য ইন্টারন্যাশানাল ইউনিয়ন অফ ক্রিস্টালোগ্রাফি নিজেদের পেপার বার করেছে৷ এতে রয়েছে আরশোলার দুধে নিউট্রিয়েন্টের পাওয়ার হাউস রয়েছে৷ এতে রয়েছে শরীরে প্রয়োজনীয় একাধিক অ্যামিনো অ্যাসিড এবং গ্লাইকোসিলেটেড৷ গ্লাইকোসিলেটেডের অর্থ প্রোটিনের গায়ে শর্করার কোটিং৷
advertisement
এটা কিভাবে গরুর দুধের সাথে তুলনা করে?
পুষ্টিগতভাবে, তেলাপোকার দুধ ক্যালোরি এবং প্রোটিনে দারুণ৷ এই দুধ অত্যন্ত ঘন। অন্যদিকে গরুর দুধ ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি এবং হাড়ের স্বাস্থ্য ও বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য পুষ্টির একটি প্রমাণিত উৎস। তেলাপোকার দুধের বিপরীতে, গরুর দুধ নিরাপত্তার জন্য কঠোর পরীক্ষার মধ্য দিয়ে গেছে এবং বিশ্বব্যাপী লক্ষ লক্ষ মানুষের জন্য এটি একটি খাদ্যতালিকাগত প্রধান।
পুষ্টিগতভাবে, তেলাপোকার দুধ ক্যালোরি এবং প্রোটিনে দারুণ৷ এই দুধ অত্যন্ত ঘন। অন্যদিকে গরুর দুধ ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি এবং হাড়ের স্বাস্থ্য ও বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য পুষ্টির একটি প্রমাণিত উৎস। তেলাপোকার দুধের বিপরীতে, গরুর দুধ নিরাপত্তার জন্য কঠোর পরীক্ষার মধ্য দিয়ে গেছে এবং বিশ্বব্যাপী লক্ষ লক্ষ মানুষের জন্য এটি একটি খাদ্যতালিকাগত প্রধান।
advertisement
আপাতত, আরশোলার দুধের চারপাশের হাইপ সাবধানতার সঙ্গে দেখা উচিত। এর নিরাপত্তা, দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য উপকারিতা বা এটি চির পরিচিত দুধের উৎসগুলিকে প্রতিস্থাপন করতে পারে কিনা সে সম্পর্কে কোনও বৈজ্ঞানিক ঐক্যমত নেই। যদিও তেলাপোকার দুধ পরবর্তী সুপারফুড প্রবণতার মতো শোনালেও, এটিকে ট্র্যাডিশানাল দুগ্ধজাত পণ্যের একটি কার্যকর বিকল্প হয়ে ওঠার আগে আরও গবেষণা এবং উন্নয়ন প্রয়োজন। এই কাজ যতক্ষণ না হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত, গরুর দুধের মতো পুষ্টিকেই কাজে লাগিয়ে শরীরের উন্নতি ঘটানো সম্ভব৷